আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
১। আমরা আগে বিষয়টি জানতাম না আজ জানলাম - মানত করলে, পূরণ না হলে কাফফারা দেওয়া লাগে।
তো, আমরা দুজন ঠিক করেছিলাম[মুখে উচ্চারণ করেই] যে -
★আমরা সাধারণ দিনে ৫০০ দরূদ এবং শুক্রবারে ১০০০ দরূদ পড়বোই পড়বো।
★আমরা কুরআনকে যেমন প্রতিদিন পড়ি, সীরাহও তেমন প্রতিদিন পড়বো যেরূপ সাহাবাদের (রা.) সন্তানরা পড়তেন, ইন শা আল্লাহ ।
★তারপর, নজর হিফাজত করবো কঠোরভাবে,সময় নষ্ট না করার চেষ্টা করবো, বেশি বেশি দোয়া করবো।
- এখন, মাঝেমধ্যে সমস্যার জন্য এগুলো করা হইনি। কখনো হেলাফেলায় করা হইনি।
এগুলে কি মানত হয়েছে ? মাঝেমধ্যে বাদ যাওয়ায় কি মানত ভেঙ্গে গেছে ? ভাঙ্গলে কি কাফফারা দিবো ?
২। অনেক সময় আমরা বলি - আজকে আমি অমুক কাজ করবোই কারবো৷ অমুক কাজটা আমি প্রতিদিন করবো, ইন শা আল্লাহ । - এমন করে যা বলি সবগুলো কি মানত হয়ে যায় ?
৩। মানতের কাফফারা কি ?
৪। আমি জানতাম না হারামের মধ্যে পোকাও মারা যায় না। মাসজিদুন নাবাওইতে অনেক পোকা আসে শীতের শেষে। ওগুলো গায়ে উঠে যায়, বড় বড় পোকা। ভয় লাগে, তাই পোকা মেরেছি এবং এখনও মারতে হয় ঐগুলোকে ...... আমার কি গুনাহ হবে ?

পোকাগুলো অনেক বড়, সংখ্যায় অনেক বেশি আর সামনের গোটা রমাদান জোড়ে ওরা হারামে থাকবে। মানুষের গায়ে উঠে বসে থাকে, কামড় দেয়। ওদের কি একেবারেই মারা যাবে না ?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/89406/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-

হাদীস শরীফে এসেছেআব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিততিনি বর্ণনা করেছেন- 


أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَوْمًا يَنْهَانَا عَنِ النَّذْرِ وَيَقُولُ إِنَّهُ لاَ يَرُدُّ شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الشَّحِيحِ 


রাসূলুল্লাহ (সা.) একদিন আমাদের মান্নত করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেনমান্নত কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। তবে মান্নতের মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়। (মুসলিম শরীফহাদীস নং- ৪৩২৫)।

 

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিতনবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনমান্নত এমন কোনো কিছুকে আদম সন্তানের নিকটবর্তী করে দিতে পারে না যা আল্লাহ তাআলা তার জন্য তাকদীরে নির্দিষ্ট করেননি। তবে মান্নত কখনো তাকদীরের সাথে মিলে যায়। এর মাধ্যমে কৃপণের নিকট হতে ঐ সম্পদ বের করে নিয়ে আসা হয় যা কৃপণ (এমনিতে) বের করতে চায় না। -সহীহ মুসলিমহাদীস ১৬৪০

 

মান্নত শরিয়তে পছন্দনীয় নয়। শরিয়ত উদ্বুদ্ধ করে নফল সদকার প্রতিমান্নতের প্রতি নয়।

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন-

 بَاكِرُوا بِالصَّدَقَةِ ؛ فَإِنَّ الْبَلَاءَ لَا يَتَخَطَّى الصَّدَقَةَ 

তোমরা দানের ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবে। কেননা বিপদাপদ তাকে অতিক্রম করতে পারে না”। (বাইহাকী ৭৩৭৪)।

 

মান্নত করার পর তা থেকে রুজু করার কোন সুযোগ নেই। তাই মান্নতকৃত ইবাদতটি করা আবশ্যক।

وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ [٢٢:٢٩]


তাদের মানত পূর্ণ করে [সূরা হজ্জ-২৯]


মনে মনে মান্নত করলে মান্নত হয় না। মান্নত হবার জন্য মুখে উচ্চারণ করা জরুরী।


النذر لا تكفى أيجابه النية بل لابد من التلفظ به (الأشباه والنظائر-89)

সারমর্মঃ

মান্নত ছাবেত হওয়ার জন্য শুধু নিয়ত যথেষ্ট নয়,বরং উচ্চারণ করা জরুরী। 

 

المسألة الأولى فى حقيقة النذر، وهو التزام الفعل بالقول مما يكون طاعة لله عز وجل، من الأعمال قربة (احكام القرآن لابن عربى، دار الكتب العلمية-1\352، كرتاشى-2\18)

فركن النذر: هو الصيغة الدالة عليه، وه قوله: لله عز شانه على كذا، أو على كذا، وهذا هدى، أو صدقة، أو مالى صدقة أو ما أملك صدقة أو نحو ذلك (بدائع الصنائع، كتاب النذر-4\226)

সারমর্মঃ

মান্নতের রুকন হলো এমন শব্দ ব্যবহার করতে হবে,যেটি তার উপর বুঝায়,,,, 

 

وصيغته تكون بلفظ النذر نحو "نذرت" أو ما يدل على الإلزام نحو "لله علي" أو ما شابه ذلك.

সারমর্মঃ

মান্নতের শব্দ হলো যেখানে নযর তথা মান্নতের শব্দ ব্যবহার হবে।

যেমন আমি মান্নত করিলাম,বা যে শব্দ গুলো নিজের উপর কোনো কাজ আবশ্যকীয় করে নেওয়া বুঝায়,,,, 

 

★মান্নত পূরন করতে না পারলে তাকে কাফফারা আদায় করতে হবে। 


এক্ষেত্রে কসমের কাফফারাই মানতের কাফফারাহ।


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 


وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، وَيُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، قَالَ يُونُسُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ كَعْبِ بْنِ، عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شُمَاسَةَ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كَفَّارَةُ النَّذْرِ كَفَّارَةُ الْيَمِينِ " . 

হারূন ইবনু সাঈদ আইলী, ইউনুস ইবনু আবদুল আলা আহমাদ ইবনু ঈসা (রহ) ...… উকবাহ ইবনু আমির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কসমের কাফফারাই মানতের কাফফারাহ। (মুসলিম শরীফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪১০৭, ইসলামিক সেন্টার ৪১০৫)

কসমের কাফফারা সংক্রান্ত জানুনঃ- 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এগুলো মান্নতের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
তাই অনাদায়ীর দরুন কাফফারা আদায় করতে হবেনা।

(০২)
এগুলো মান্নতের অন্তর্ভুক্ত হবেনা। 

(০৩)
কসমের কাফফারাই মানতের কাফফারাহ।

কসমের কাফফারা সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৪)
ক্ষতিকর বা কষ্টদায়ক হলে মারা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...