আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
78 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। আমাদের গার্লস স্কুলের শতবর্ষ উপলক্ষে পুণর্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত কিছু কারণে স্কুল জীবনের খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এমন কিছু বান্ধবীদের সাথে দীর্ঘদিন প্রায় ৬ বছর কোন যোগাযোগ রক্ষা করতে পারিনি যার কারণে অনেক মনোকষ্টে ছিলাম। এমন সম্পর্ক হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নিজেকে দোষী মনে হয়। গত কয়েক বছরে অনেকবার অনেকদিন খুব কষ্টে ছিলাম। এবার জানতে পারি তারা আমাদের রিউনিয়নে আসছে। কিন্তু রিউনিয়নে সন্ধ্যার পর গান বাজনা হবে এবং বর্তমান যুগের যেসব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় সেসব হবে। আমি বর্তমানে এসব গান বাজনা পরিহার করে চলার চেষ্টা করছি। তাই রেজিষ্ট্রেশন করতে দ্বিধা-দ্বন্দে ছিলাম যেহেতু রেজিস্ট্রেশনের টাকার একটা বড় অংশ হয়তো এই গান বাজনার পিছনে ব্যয় হবে। এক ধার্মিক বান্ধবী বলে যেহেতু রিউনিয়ন আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য এসব গান বাজনা নয় আর আমাদের এখানে আসার উদ্দেশ্য খারাপ না তাই আমরা যদি এভাবে নিয়ত করি যে আমাদের টাকাটা পুরোটা রেজিস্ট্রেশনের অন্য হালাল খাতে ব্যয়ের জন্য দিচ্ছি তাহলে হয়তো রেজিষ্ট্রেশন করা জায়েজ হবে। আর রিউনিয়নে এসব গান বাজনার আয়োজনের জন্য আয়োজকরা দায়ী থাকবে।  এসব শুনে দ্বিধা থাকলেও আবেগে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলি। কিন্তু প্রতিনিয়তই এখন সংশয় আর শংকায় ভুগছি যে কাজটি আদৌ ঠিক হলো কি না। আমি চাইলে হয়তো রেজিস্ট্রেশন আবার বাদ দিয়ে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো রেজিষ্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে এধরনের চিন্তা কতটুকু সঠিক?
আর যদি রেজিষ্ট্রেশন এখন বাদ দিয়ে দিতে না পারি সেক্ষেত্রে গান বাজনায় অংশ না নিয়ে সকালে সবার সাথে দেখা হওয়ার জন্য রিউনিয়নে আসা ঠিক হবে কি না?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (সূরা মায়েদা, আয়াত ২)

 আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র ইরশাদ করেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَنفِقُوا مِن طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّا أَخْرَجْنَا لَكُم مِّنَ الْأَرْضِ ۖ وَلَا تَيَمَّمُوا الْخَبِيثَ مِنْهُ تُنفِقُونَ وَلَسْتُم بِآخِذِيهِ إِلَّا أَن تُغْمِضُوا فِيهِ ۚ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ حَمِيدٌ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং যা আমি তোমাদের জন্যে ভূমি থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় কর এবং তা থেকে নিকৃষ্ট জিনিস ব্যয় করতে মনস্থ করো না। কেননা, তা তোমরা কখনও গ্রহণ করবে না; তবে যদি তোমরা চোখ বন্ধ করে নিয়ে নাও। জেনে রেখো, আল্লাহ অভাব মুক্ত, প্রশংসিত। (সূরা বাকারা, আয়াত ২৬৭) হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "

নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1982

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

নবীন বরণ অনুষ্টান যেখানে শরীয়ত বিরোধী অনেক কাজ হবে, এমন অনুষ্টানে উপস্থিত হওয়া, এবং যেকোনো প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা, কোনোটাই জায়েয হবে না।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ এর জন্য টাকা দেয়া জায়েজ হবেনা। সেখানে যাওয়াও জায়েজ হবেনা। তবে শুধু প্রথম সেশনে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার শর্তে পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে শুধু মাত্র পরিচিত বোন/বান্ধবীর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে যাওয়া যেতে পারে। কিন্তু টাকা দেয়া জায়েজ হবেনা। কারণ, আপনার প্রদত্ত টাকা কিভাবে ব্যয় করা হবে তা আপনি অবগত নন। সর্বপরি এজাতীয় অনুষ্ঠান পরিহার করাই শ্রেয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...