আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
আসসালামুয়ালাইকুম,  আমি একজন সরকারী কর্মচারী। একটি সরকারি প্রকল্পে কর্মরত আছি। আমরা অনেকেই জানি যে, সরকার তার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন বড় সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান হতে সুদে লোন নেয়। আমি যে প্রকল্পে আছি তাতেও সরকার ও একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সুদি লোনের চুক্তি রয়েছে ৷ এখন, আমাদের বেতন বা অন্যান্য রেগুলার ভাতা তো সরকারি কোষাগার থেকেই হয়। কিন্তু, আমার অফিসে আমার সাথে সাথে অন্যান্য যারা এই প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত আছি তারা অতিরিক্ত একটি প্রকল্প ভাতা পেয়ে থাকি যার অর্থ সেই সুদি লোন দাতা প্রতিষ্ঠানের সুদ ভিত্তিক চুক্তির তহবিল হতে দেয়া হয়।

এমতাবস্থায়, উক্ত অর্থ কি হালাল হবে আমার জন্য?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে সূদ আদান প্রদানের সাথে যেকোনো ভাবে যুক্ত হওয়া জায়েজ নেই। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
সূদী লোন নেয়ার পর তাহা যদি হালাল টাকা দিয়ে শোধ করা হয়,তাহলে সেই লোনের টাকায় যাহা যাহা করা হবে,সবই হালাল থাকবে।

আর যদি হারাম টাকায় সেই লোন শোধ করা হয়,তাহলে সেই লোনের টাকায় যাহা যাহা করা হবে, সবই হারাম হবে।     

বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু হালাল খাত হতেই এই লোন শোধ করার সম্ভাবনা প্রবল,আর আপনারা বৈধ কোনো কাজে নিজ শ্রমের বিনিময়ে এই ভাতা নিচ্ছেন,  তাই এই অতিরিক্ত প্রকল্প ভাতা নেয়া আপনাদের জন্য জায়েজ আছে।  

তবে সূদী লেনদেনের সাথে জড়িত হওয়ার দরুন লানতপ্রাপ্ত হওয়া থেকে বাঁচতে সতর্কতামূলক জেনে শুনে  এহেন প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত না হওয়াই উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...