আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)

আসসালামু আলাইকুম 

কিছু বিষয়ে জানতে চাচ্ছি

 

#/ সুদী ব্যাংকে চাকরি করার ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা কি?

 

#/ সুদী ব্যাংকে টাকা জমা রাখার ব্যাপারে ইসলামের নির্দশনা কি?

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, 

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

ব্যাংকের চাকুরি হারাম হওয়ার মূল কারণ দু’টি।যথা-

১-হারাম কাজে সহায়তা করা।

২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকা।

হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন স্তর আছে। শরীয়তে সব প্রকার সহায়তা হারাম নয়।বরং সে সব সহায়তাই হারাম যা সরাসরি হারাম কাজের সহিত জড়িত থাকে। যেমন, সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লিখে রাখা। সুদী টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে উসুল করা, ইত্যাদি ইত্যাদি।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-

যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়,যে তার সাক্ষী হয়, এবং যে দলিল লিখে রাখে, তাদের সকলের উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন।(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

তবে যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে  সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।

প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে বেতনের উৎস কি হবে? কর্মিবৃন্দকে কোথা থেকে দেওয়া হবে?

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/398

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ آكِلَ الرِّبَا، وَمُؤكِلَهُ، وَشَاهِدَيْهِ، وَكَاتِبَهُ.

যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, যে সাক্ষী থাকে এবং যে ব্যক্তি সুদের হিসাব-নিকাশ বা সুদের চুক্তিপত্র ইত্যাদি লিখে দেয় সকলের প্রতি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা‘নত করেছেন। -(মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৬৬০; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৩৩৩; জামে তিরমিযী, হাদীস ১২০৬)

যেহেতু আপনার বর্ণিত প্রশ্ন সুদের সাথে সম্পর্কিত, তাই এ পেশা গ্রহণ করা কখনো কারো জন্য জায়েয হবে না।কেননা সুদের সাথে সম্পর্কিত সকল প্রকার চাকুরী হারাম ও নাজায়েয।

২. সুদি ব্যাংকে টাকা রাখা জায়েয নেই। যদি কেউ টাকা রাখার পর সেখান থেকে সুদ পায় তাহলে ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত সুদকে সদকাহ করতে হবে। কোনো মতেই নিজের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। আরো জানুন:  https://ifatwa.info/33809/

 তবে সাধারণত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এব্যাপারে পরিপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দেয় যে, তারা সুদের ভিত্তিতে নয়; বরং লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে ইসলামের পূর্ণ রীতি মেনে ব্যাংকিং করে, সেহেতু একাউন্ট খোলাটা কিছু আলেম জায়েয মনে করেন। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো ইসলামের পূর্ণ রীতি মেনে ব্যাংকিং করে কিনাএ নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ আছে। তাই তাদের সঙ্গে কোনো ধরণের মুনাফা-চুক্তি না করাটাই হল তাকওয়ার পরিচায়ক। তবে প্রয়োজনের খাতিরে একাউন্ট খোলা নিষেধ নয়। আর যে লভ্যাংশ দিবে, তা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দেওয়াটাই উত্তম হবে। কেননা الضرورات تبيح المظورات তীব্র প্রয়োজন নিষিদ্ধ বিষয়কে বৈধ করে দেয়। (শরহুল কাওয়ায়িদিল ফিক্বহ লিজ জারক্বা, কায়দা নং-২০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...