আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ

১. রেফারেন্সসহ সূরা ইয়াসিন এবং সূরা ওয়াক্বিয়াহ এর ফযিলতগুলো জানতে চাই ।

২. সুদ খাওয়া হারাম এই ব্যাপারে কুরআন হাদীসে অনেক স্পষ্ট করেই বা আছে । তবে আমার প্রশ্ন হলো কেউ বৃদ্ধ বয়সে বা চাকুরীর শেষ জীবনে পেনশন এর টাকা ব্যাংকে রেখে যে সুদ গ্রহণ করে এটা কি জায়েয ? যেহেতু অন্য কোনো আয়ের ব্যবস্থা নেই এমতাবস্থায় সে পেনশন এর টাকা ব্যাংকে রেখে সেটার সুদ খাবে নাকি পেনশন এর টাকাগুলোই খরচ করে খাবে ?  অনেকেই বিষয়টা নিয়ে তর্ক করে , দ্বিমত পোষণ করে তাই ব্যাপারটা ভালোভাবে রেফারেন্সসহ জানতে চাই ।

৩. ছেলেদের স্বর্ণ পরা হারাম তা জানি । তবে অনেকে বলে " ১ টি আংটি পরিমাণ স্বর্ণ পরলে তা জায়েয" - এই কথার কি কোনো ভিত্তি আছে ? নাকি এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট কথা ?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
ফজরের পর সুরা সুরা ইয়াসিন আর রাতে সুরা সুরা ওয়াকিয়া পড়া সংক্রান্ত হাদীসঃ
 
★দারেমী শরীফে এসেছেঃ

عن عطاء بن أبي رباحٍ قال: بلغني أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: من قرأ یٰٓس في صدر النہار قضیت حوائجہ۔ (رواہ الدارمي) (فضائل اعمال / فضائل قرآن ۱؍۵۲ إشاعۃ دینیات دہلي)

হজরত আতা বিন আবি রাবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আমি শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, তার সব হাজত (প্রয়োজন) পূর্ণ করা হবে।’

অন্যত্রে এসেছেঃ 

عن شہر بن حوشب قال: قال ابن عباس رضي اللّٰہ عنہ : من قرأ یٰسٓ حین یصبح، أعطي یسر یومہ حتی یمسي، ومن قرأ ہا في صدر لیلۃ أعطي یسر لیلتہ حتی یصبح۔ (المسند للإمام الدارمي، بحوالہ: أحکام القرآن للقرطبي ۲؍۱۵)

হজরত ইয়াহইয়া ইবনে কাসির রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে।’

আরো জানুনঃ 

★হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ [রা.] বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

من قرأ سورةالواقعة كل ليلة لم تصبه فاقة ابدا"

 যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না। হজরত ইবনে মাসউদ [রা.] তাঁর মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সুরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন। [বাইহাকি:শুআবুল ঈমান-২৪৯৮](মিশকাত পৃঃ ১৮৯)

আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত হাদীস গুলো যদিও জয়ীফ,তব মুহাদ্দিসিনে কেরামগন যেহেতু বলেছেন যে ফাজায়েলের ক্ষেত্রে জয়ীফ হাদীস মানা যাবে,তাই অনেকেই উলামায়ে কেরামগন দের পরামর্শ মোতাকেব  উক্ত হাদীসের উপর আমল করেন।        
,
★★তবে কিছু উলামায়ে কেরামদের মত হলো   কুরআনের অন্যান্য আয়াত তেলাওয়াত করলে প্রতিটি অক্ষরে যে পরিমাণ ছওয়াব পাওয়া যায় এই সূরা তেলাওয়াত করলেও তার প্রতিটি অক্ষরে সেই পরিমাণ ছওয়াব পাওয়া যাবে। তবে কুরআনে মাত্র কয়েকটি সূরা রয়েছে যেগুলোর অতিরিক্ত কিছু ফযিলত রয়েছে যা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। সহীহ হাদীসে সূরা ইয়াসিনের অতিরিক্ত কোনো ফযিলত বর্ণিত হয় নি। দু একটি দুর্বল হাদীসে এ সূরার বিভিন্ন ফযিলত বর্ণনা করা হয়েছে।  

(০২)
চাকুরী শেষ হওয়ার পর তথা চাকুরী থেকে অবসরের পর পেনশনের টাকা উত্তোলন না করে ব্যাংকে রেখে বা অন্য ব্যাংকে রেখে দিয়ে এর লাভ খাওয়া সূদের অন্তর্ভুক্ত।
বিধায় তাহা হারাম।
,  
আরো জানুনঃ

(০৩)
স্বর্ণ সংক্রান্ত বিষয়টি বানোয়াট কথা।     

তবে ছেলেদের রুপা পরিধান সংক্রান্ত বিষয় হাদীস শরীফে এসেছে,বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...