আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,084 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আমার আর আমার স্বামীর চ্যাটিংয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আমি বলি তাহলে এখন কি করবেম থাকবেন আমার সাথে? সে বলে যদি বলি না। তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে। তার অন্তরে এমনটা ছিল না। আমি আবার বলছি তাহলে বাড়িতে কথা বলেন। আমি তর্ক করছিলাম অভিমানে সে বলেছে। প্লিজ মেহেরবানি করে উত্তর দিন শায়েখ।

1 Answer

0 votes
by (58,470 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/9044/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তে বিশেষ প্রয়োজনে,যখন স্বামী স্ত্রীর মাঝে  বনিবনা কোনো ভাবেই সম্ভবপর হয়না,তখন এক তালাক দেওয়ার বিধান এসেছে। বিনা কারণে তালাক প্রদাণ করা হারাম। এর শাস্তি আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে অবশ্যই পেতে হবে।

তালাক সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: أبغض الحلال إلى الله تعالى الطلاق»

অর্থ:রাসূলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাকের নিকট সর্বাপেক্ষা অপছন্দনীয় হালাল হচ্ছে 'তালাক'। (আবু দাউদ-২১৭৮)

শরিয়তের পরিভাষায় প্রশ্নে উল্লেখিত জাতীয় শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

বিস্তারিত জানুনঃ  

https://ifatwa.info/7162/

  https://ifatwa.info/2190/

তিন তালাকের বিধান: https://ifatwa.info/3190/?show=3190#q3190

★★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 "তোমার সাথে সম্পর্ক নাই, বা তোমার সাথে থাকবো না, তোমার সাথে আমার কোন লেনদেন নাই"" এগুলি কেনায়া শব্দ। তালাকের নিয়ত ছাড়া উক্ত শব্দগুলি বললে তালাক হবে না। আর যদি এই শব্দ গুলো বলার দ্বারা স্বামী তালাকের নিয়ত করে থাকেতাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে। এগুলো বলার সময় প্রত্যেকবার  তালাকের নিয়ত করে থাকে, তাহলে প্রত্যেকবার এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। যদি সব মিলে এক তালাক বা  দুই তালাক হয়, তাহলে যেহেতু এটি তালাকে বায়েন। তাই তাকে নিয়ে ঘর সংসার করতে চাইলে নতুন করে আবার বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।  এই ভাবে যদি তিন তালাক পতিত হয়ে যায়, তাহলে ঐ স্ত্রী তার উপর একেবারে হারাম হয়ে যাবে। শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত তাকে আর কোনো বিবাহ করেও রাখা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
হুজুর আপনিতো বলেছেন তোমার সাথেই সম্পর্ক শেষ তুই বাদ এসব স্বামী বললে তালাক হয়ে যাবে। মানে যদি স্বামী তালাকের হুমকি দেয় তারুর স্ত্রী ও বলে তালাক দে তারপর  স্বামী যদি বলে তোর সাথেই সম্পর্ক শেষ তুই বাদ এসব বললে তালাক হয়ে যাবে। এখানে বলছেন তালাক হবেনা আমরা তাহলে মানবো কোনটা?
by
স্বামী যদি স্ত্রীকে বলেন  আমি কিন্তু আল্লাহর কসম তোমাকে তালাক দেবো  বলে যদি  বলেন এখন শুরু করবো বলে ১ বলেন কিন্তু  তালাক শব্দ উচ্চারণ না করে তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে??  স্বামীকে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে ১ দিয়ে আমি ১ তালাক বুঝাইনি তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য বলেছি তাহলে কি তালাক হবে 
by (4 points)
এটা কেমন ফতোয়া ভাই?কারো যদি কেনায়াতে এক তালাকে বায়েন হয় তাহলে নতুন করে বিয়ে না করলে অথবা ইদ্দতের মধ্যে বা পরে যতবারই কেনায়া শব্দ দ্বারা তালাক দিক তাতে ওই এক তালাকেই বায়েন থেকে যাবে।কিন্তু আপনি বলতেছেন যতবার নিয়ত করবে ততবারই বায়েন হবে। 
বায়েন তো বায়েন এর সাথে মিলিত হয় না।হা নতুন করে বিয়ে করলে বা ইদ্দতের মধ্যে রজয়ী তালাক দিলে তাহলে মিলিত হবে।
এমন ভাবে লিখে ফতোয়া দিলে তো মানুষে খাওয়া ঘুম হারাম হয়ে যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...