জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদিস শরিফে এসেছেঃ-
وَعَن عَمرِو بنِ شُعَيبٍ، عَن أبِيهِ، عَن جَدِّهِ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَرْحَمْ غِيرنَا، وَيَعْرِفْ شَرَفَ كَبيرِنَا».حديث صحيح رواه أَبُو داود والترمذي، وَقالَ الترمذي: «حديث حسن صحيح».وَفي رِوَايَةِ أبي دَاوُد: «حَقَّ كَبيرِنَا».
আমর ইবনে শুআইব রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতা থেকে এবং তিনি (শুআইব) তাঁর (আমরের) দাদা (আব্দুল্লাহর ইবনে আমর) রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে আমার দলভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান জানে না।’’আবু দাঊদের এক বর্ণনায় আছেঃ আমাদের বড়দের অধিকার জানে না।’’
[তিরমিযি ১৯২০, আহমদ ৬৬৯৪, ৬৮৯৬, ৭০৩৩]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বড়দের আদেশ মানা উচিত,তাদের সাথে অসম্মান প্রদর্শন করা উচিত নয়।
,
যেহেতু বেশি ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্যেও ক্ষতিকর, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত স্ত্রীর জন্য করনীয় হলো শাশুড়ীর কথা মেনে দিনের বেলা বেশি না ঘুমানো।
তবে স্ত্রীর প্রবল ঘুমের কারনে শাশুড়ীর এই আদেশ না মানার কারনে (যদি বেয়াদবি না করে) তাহলে তার গুনাহ হবেনা।
স্ত্রী যদি তার স্বামীর হক যথাযথভাবে আদায় করার পাশাপাশি অন্য সময় অতিরিক্ত ঘুমায়,তাহলে এটি সেই অন্যায় কাজগুলোর মধ্যে পড়বেনা, যে অন্যায় কাজগুলোতে বাধা দেওয়ার কথা এসেছে।
বাস্তবিকই এটি যেহেতু অন্যায় কাজ নয়,সুতরাং স্বামী যদি তার স্ত্রীকে এই যে বেশি ঘুমাবার বিষয়ে কিছু না বলে তাহলে স্বামী অন্যায় কাজে সমর্থন করলোনা।