বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
নফসের একটা বৈশিস্ট হচ্ছে, সে সব সময় খারাপ কাজের প্রতি উৎসাহিত করবে । কিন্তু ভালো কাজের দিকে আহবান করবে না।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, (হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম বললেন)
وَمَا أُبَرِّئُ نَفْسِي إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي إِنَّ رَبِّي غَفُورٌ رَّحِيمٌ.
আমি নিজের নফসকে পবিত্র মনে করি না। নিশ্চয়ই নফস (সবাইকেই) মন্দ কাজের নির্দেশ দিয়ে থাকে, একমাত্র ওই ব্যক্তি ছাড়া যার প্রতি আমার প্রতিপালক অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয় আমার প্রতিপালক ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সূরা ইউসুফ: ৫৩)
.
অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যার প্রতি দয়া করেন, কেবল সে-ই নফসের কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে থাকতে পারে।
আল্লাহ সুবহানু তায়ালা আল্লাহর রাসুল (স) কে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম একটি দায়িত্ব ছিল "মানুষের অন্তর কে পরিশুদ্ধ করা "
আল্লাহ সুবহানু তায়ালা একই সুরাতে সাতবার কসম খেয়ে বলেছেন
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا
সেই সফলকাম হয়েছে যে নিজ আত্বাকে পরিশুদ্ধ করেছে। [সুরা শামস ৯১:৯]
وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا
এবং সেই ব্যর্থ হয়েছে যে নিজ আত্বাকে কলূশিত করেছে । [সুরা শামস ৯১:১০]
কাজেই আমরা যদি নিজেদের সফলকাম করতে চাই, ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচতে চাই তাহলে আমাদের নফস কে পরিশুদ্ধ করতে হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নফস মহান আল্লাহরই সৃষ্টি,আমাদের পরীক্ষা করার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা এটিকে সৃষ্টি করেছেন।
এটি যে ওয়াসওয়াসা দেয়, ভালো কাজে উৎসাহে না দিয়ে খারাপ কাজে উৎসাহ দেয়,এসবই মহান আল্লাহ আমাদের পরীক্ষার জন্য করেছেন।
(২.৩)
নফসের ওয়াসওয়াসা।
তবে শয়তান বিষয়টি আপনার নফসে উদ্রেক করতে পারে।
(০৪)
নফস শয়তান থেকেও মারাত্মক।
কেননা শয়তান নিজে তার নফসের আনুগত্যের কারনেই আদম আঃ কে সেজদাহ না করে অভিশপ্ত হয়েছে।
তাই নফস বেশি সমস্যা কর।
শয়তানও এর ফাঁদে পড়েছিলো।
(০৫)
নফসের উপর শিওর নেই,আস্থা নেই,তাই এই কথা বলেছেন।
(০৭)
বিবেককে প্রাধান্য দেয়া উচিত।
(০৮)
এক্ষেত্রে আপনি বিবেককে প্রাধান্য দিবেন।