আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in পবিত্রতা (Purity) by (23 points)
edited by
https://ifatwa.info/46355/ নং ফতওয়ার কমেন্টে একটি প্রশ্ন ছিলো।

আরো প্রশ্ন, নফস মানে তো আমাদের মন। ১.আমাদের মন আমাদের ওয়াসাওয়াসা কেনো দেয়? আর সেটা ভালো কাজে উৎসাহে না দিয়ে কেনো খারাপ কাজে উৎসাহ দেয়?

২.আমার যদি মনে আসে এক ওয়াক্ত নামায না পড়লে কিচ্ছু হবেনা। আল্লাহ মাপ করবেন। এটা কি নফসের না শয়তানের ওয়াসাওসা?

যেই ওয়াসাওয়াসা গুলো আমার রমজানের বাইরে হতো, সেটা এবার রমাজানে হয়েছে। আমি জানি রমজানে খারাপ শয়তান বন্ধি থাকে। ৩.এগুলো কি নফসের ওয়াসাওয়াসা ছিলো?৪.যদি নফসের হয়ে থাকে তাহলে নপস কেনো শয়তানের মত একই রকম ওয়াসাওয়াসা দেয়? বরং শয়তানের থেকে বেশি। ৫.আমরা বলি তার মন ভালো। একজন হযরত বলেছিলেন, তিনি তার মনকে বা নফসকে ভরসা বা ভালো মনে করেন না, এরকম একটা কথা। হযরতের নাম আমার শিওর মনে নেয়, তাই বলছি না, হযরত আলী রাঃ হবেন হয়তো।

তাহলে তিনি একথা কেনো বলেছিলেন?

৭.ইসলাম কি মনকে প্রাধান্য দেয়া উচিত নাকি বিবেককে? যেমন আমার আম খেতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু আম খেলে আমার সুগার বাড়তে পারে। কিন্তু না খেতে পারলে মন খারাপ হবে?৮.এক্ষেত্রে কি করবো আমি?

প্রশ্নগুলো প্রায় একই রকম মনে হলেও আলাদা আলাদাভাবে উত্তর  দিতে পারলে আমার জন্য অনেক ভালো হবে। হয়তো আপনাদের কষ্ট হবে।

জাযাকাআল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (567,630 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
নফসের একটা বৈশিস্ট হচ্ছে, সে সব সময় খারাপ কাজের প্রতি উৎসাহিত করবে । কিন্তু ভালো কাজের দিকে আহবান করবে না।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, (হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম বললেন) 
وَمَا أُبَرِّئُ نَفْسِي إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي إِنَّ رَبِّي غَفُورٌ رَّحِيمٌ. 

আমি নিজের নফসকে পবিত্র মনে করি না। নিশ্চয়ই নফস (সবাইকেই) মন্দ কাজের নির্দেশ দিয়ে থাকে, একমাত্র ওই ব্যক্তি ছাড়া যার প্রতি আমার প্রতিপালক অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয় আমার প্রতিপালক ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সূরা ইউসুফ: ৫৩)
.
অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যার প্রতি দয়া করেন, কেবল সে-ই নফসের কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে থাকতে পারে।

আল্লাহ সুবহানু তায়ালা আল্লাহর রাসুল (স) কে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম একটি দায়িত্ব ছিল "মানুষের অন্তর কে পরিশুদ্ধ করা "

আল্লাহ সুবহানু তায়ালা একই সুরাতে সাতবার কসম খেয়ে বলেছেন

قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا

সেই সফলকাম হয়েছে যে নিজ আত্বাকে পরিশুদ্ধ করেছে। [সুরা শামস ৯১:৯]

وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا

এবং সেই ব্যর্থ হয়েছে যে নিজ আত্বাকে কলূশিত করেছে । [সুরা শামস ৯১:১০]

কাজেই আমরা যদি নিজেদের সফলকাম করতে চাই, ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচতে চাই তাহলে আমাদের নফস কে পরিশুদ্ধ করতে হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নফস মহান আল্লাহরই সৃষ্টি,আমাদের পরীক্ষা করার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা এটিকে সৃষ্টি করেছেন।
   
এটি যে ওয়াসওয়াসা দেয়, ভালো কাজে উৎসাহে না দিয়ে খারাপ কাজে উৎসাহ দেয়,এসবই মহান আল্লাহ আমাদের পরীক্ষার জন্য করেছেন।

(২.৩)
নফসের ওয়াসওয়াসা।
তবে শয়তান বিষয়টি আপনার নফসে উদ্রেক করতে পারে।

(০৪)
নফস শয়তান থেকেও মারাত্মক। 
কেননা শয়তান নিজে তার নফসের আনুগত্যের কারনেই আদম আঃ কে সেজদাহ না করে অভিশপ্ত হয়েছে।
তাই নফস বেশি সমস্যা কর।
শয়তানও এর ফাঁদে পড়েছিলো। 

(০৫)
নফসের উপর শিওর নেই,আস্থা নেই,তাই এই কথা বলেছেন। 

(০৭)
বিবেককে প্রাধান্য দেয়া উচিত।

 (০৮)
এক্ষেত্রে আপনি বিবেককে প্রাধান্য দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (23 points)
মাশা-আল্লাহ, উত্তর গুলো অনেক সুন্দর ছিলো। অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ আপনাদের।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...