জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
যেহেতু এখানে স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা সেই মজলিসের সাথেই সংযুক্ত,পরে আর তালাকের ক্ষমতা থাকবেনা, স্বামীর কোনো কথা/ইঙ্গিত দ্বারা এটি যেহেতু বুঝা যায়নি।
তাই এখানে স্ত্রী তালাক দেয়ার আগ পর্যন্ত তার এই তালাকে তাফবিজের ক্ষমতা থাকবে।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।
(০৩)
হ্যাঁ এখন ঐ নারী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হয়েছেন।
তবে মনে মনে এমন কথা বলে ঐ কাজ করার মাধ্যমে কোনো তালাক পতিত হয়নি।
(০৪)
না,এতে তালাক হবেনা।