জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَتْ إِحْدَانَا تَحِيضُ، ثُمَّ تَقْتَرِصُ الدَّمَ مِنْ ثَوْبِهَا عِنْدَ طُهْرِهَا، فَتَغْسِلُهُ وَتَنْضَحُ عَلَى سَائِرِهِ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ
‘আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমাদের কারও হায়েয হলে, পাক হওয়ার পর রক্ত রগড়িয়ে কাপড় পানি দিয়ে ধুয়ে সেই কাপড়ে তিনি সালাত আদায় করতেন।
(বুখারী হা/ ৩০৮ ; ইবনে মাজাহ হা/ ৬৩০)
শরীয়তের বিধান হলো কাপড়ে/ চাদরে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই চাদর কিংবা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। (হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ১৬১, বেহেশতি জিওর ২/৭৭ )
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পেশাব করার পর হাত ভালোভাবে ধোয়ার পরে হাতে পেশাবের গন্ধ থেকে গেলে হাতকে এখনো নাপাক বলা হবেনা।
সেটি পাক।
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার হাত পাক হয়ে গিয়েছিলো।
তাই কাপড় স্পর্শ করাতে কোনো সমস্যা হয়নি।
আপনার কাপড় গুলো পাকই আছে,নামাজ গুলিও হয়েছে।
(০২)
কোনো নামাজই বাতিল হবেনা।
সব গুলো নামাজই শুদ্ধ হয়েছে।
(০৩)
আপনি অন্যের সহায়তা নিবেন,অন্যকে দেখাবেন, যে তাহা এক দিরহাম সমপরিমাণ ছড়িয়েছে কিনা,যদি ছড়ায়,তাহলে উক্ত স্থান ধুয়ে পাক করতে হবে।
(০৪)
এভাবে নাপাক পানির ছিটা পাক কাপড়ে লাগলে সেই কাপড় নাপাক হয়ে যায়।
পাক কাপড়ে এক দিরহাম সমপরিমাণ সেই নাপাক ধোয়া ছিটা লাগলে সেই কাপড় পাক না করা ব্যাতিত তাতে নামাজ হবেনা।
আপনি যেহেতু আগে এই বিষয়ে খেয়াল করেননি,আর আপনি নিশ্চিতও নন যে কোন সময়ে ছিটা লেগেছিলো, আর কোন সময় লাগেনি।
লাগলে এক দিরহাম সমপরিমাণ লেগেছিলো কিনা।
★তো আপনি যেহেতু কোনোটিই সম্পর্কে নিশ্চিত নন,সুতরাং পূর্বের নামাজ গুলি আদায় হয়েছে ধরে নিবেন।
এখন থেকে নাপাকির ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবেন।