আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১. নবিজি (সা) কি কাজ কর্মের শুরুতে শুধু বিসমিল্লাহ বলতেন নাকি বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম  বলতেন?

২.  সালাতে সুরা মিলানোর সময় কি শুধু বিসমিল্লাহ বলব নাকি বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলব?

৩. আমি একাধারে ৩ বার, ১০ বার কুরআন শরীফ না দেখে ছোট সুরা, সুরা ইখলাস কিংবা বড় সুরা যদি পড়ি তাহলে কি প্রতিবার বিসমিল্লাহ বলতে হবে? একবার বিসমিল্লাহ বললে কি গুনাহ হবে?

৪.আর এভাবে তিলাওয়াতের সময় শুধু বিসমিল্লাহ পড়তে হবে নাকি বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়তে হবে? কোনটা নবিজি (সা) এর সুন্নাত আমল?
৫. কুরআন পড়ার সময় শুরুতে একবার তাউজ তাসমিয়া পড়ব নাকি প্রতি সুরার শুরুতে পড়তে হবে?

(একজনের তরফ থেকে প্রশ্ন)

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যে কোনো কাজ শুরু পূর্বে বিসমিল্লাহ শব্দ বলাই প্রচলিত।
 عن أبي هريرة قال: قال رسول الله -صلي الله عليه وسلم -: "كل كلام أو أمر ذي بال لا يفتح بذكر الله عز وجل فهو أبتر أو قال أقطع".
প্রত্যেক ঐ কাজ যা আল্লাহর যিকির ব্যতিত শুরু হবে তা বরকত শূন্য।(মসনদে আহমদ-৮৬৯৭)

আল্লাহর যিকিরের ব্যখ্যা প্রদাণ করতে মসনদে আহমদের শামেলা নুসখার ঠিকায় বর্ণিত রয়েছে,
ومنها: "كل أمر ذي بال لا يبدأ فيه "ببسم الله الرحمن الرحيم" أقطع" رواه عبد القادر الرهاوي في الأربعين عن أبي هريرة، ورمز له السيوطي في الجامع الصغير بالضعف، 
প্রত্যেক ঐ কাজ যা "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" ব্যতিত শুরু হবে,তা বরকত শূন্য।

খানার শুরুতেও বিসমিল্লাহ বলতে উৎসাহ দেয়া হয়েছে,
আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, 
 عائشة رضي الله عنها أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( إِذَا أَكَلَ أَحَدكُمْ طَعَامًا فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّه , فَإِنْ نَسِيَ فِي أَوَّله فَلْيَقُلْ : بِسْمِ اللَّه فِي أَوَّله وَآخِره ) 
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কোন ব্যক্তি খাওয়া শুরু করে তখন যেন সে বিসমিল্লাহি বলে। সে খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে তবে যেন বলে, “বিসমিল্লাহ ফী আওয়ালিহি ওয়া আখিরহু” (এর শুরু ও শেষ আল্লাহ তা’আলার নামে)।(সুনানে তিরমিযি-১৮৫৮)

উলামায়ে কেরাম বলেন, বিসমিল্লাহ্ এর পর রাহমানুর রাহিম বলাতেও কোনো সমস্যা হবে না।

ইবনে তাইমিয়াহ রাহ বলেন,
 "إذا قال عند الأكل بسم الله الرحمن الرحيم كان حسنا فإنه أكمل" 
যদি কেউ খাবার ভক্ষণের সময়, :বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' তাহলে সেটা উত্তম। কেননা এতেকরে পরিপূর্ণ ভাবে আল্লাহর যিকিরের সাথে শুরু হবে।
(অাল ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৪৮০)

ذهب الفقهاء إلى أن التسمية عند البدء في الأكل من السنن. وصيغتها : بسم الله ، وبسم الله الرحمن الرحيم..." انتهى .
খাবারের সময় শুধুমাত্র 'বিসমিল্লাহ' বা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' যেকোনো একটি বলা যাবে।(আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যা-১/২৩১)


ইমাম নববী রাহ বলেন,
"من أهم ما ينبغي أن يعرف صفة التسمية .... والأفضل أن يقول : بسم الله الرحمن الرحيم , فإن قال : بسم الله , كفاه وحصلت السنة" 
উত্তম হল, প্রত্যেক ভালো কাজের শুরুতে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' বলা। এবং শুধু যদি ' ' বিসমিল্লাহ্ ' বলে, তাহলেও এদ্বারা সুন্নত আদায় হবে।
(আল-আযকার-১/২৩১)


(২)
সালাতে সুরা মিলানোর সময় 'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' বলাই উত্তম।

(৩)
জ্বী, প্রতিবার সূরা শুরু করার সময় বিসমিল্লাহ্ বলা সুন্নত। তবে তরক হয়ে গেলে কোনো গোনাহ হবে না।

(৪)
'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 'পড়বেন।

(৫)
প্রথমে একবার আউযুবিল্লাহ পড়বেন।তারপর প্রত্যেক সূরার শুরুতে শুধুমাত্র বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়বেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...