আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (109 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমার কয়েকটি প্রশ্ন

১,ফজরের শেষ রাকাতের রুকুতে ইমামকে পাই,যখন রুকুতে যাই তার এক মুহুর্ত পর ইমামের 'সামি'আ... শুনি।

সমস্যা হল,অনেক ইমাম রুকুথেকে উঠার পর এটা বলে।তাই নিশ্চিত হতে পারছিলাম্না আমিরাকাত পেয়েছি কিনা।ওইটা শোনার সময় আড়চোখেদেখেও সিউর হতে পারিনি।পরবর্তীতে উক্ত রাকাত পাইনি ধরে এক রাকাত বাড়তি পড়ে সাহু সিজদা দিয়ে নামাজ শেষ করেছি।আমার নামাজ কি হয়েছে

২,আমি বিয়ে করার সময় স্ত্রী নামাজ পড়ত না তবে তখন দ্বীনের পথে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছিল(আগে একধরনের বেদ্বিন টাইপ ছিল,যদিও কাফির বলা যায়না)।বিয়ের বাইশ দিন পর নিয়মিত সালাত আদায় শুরু করে।এতে কি বিবাহর কোনো ক্ষতি হবে

৩,আমি যখন কুর'আন তেলাওয়াত করি, তখন যদি মনে মনে খেয়াল রাখি যে আমি ইমামতি করছি লোকেরা শুনছে,তাহলে তেলাওয়াত সুন্দর হয়।এটা কি এক ধরনের রিয়া?

৪,ইবাদাত করছি যেন আল্লাহ দেখছে আমি আল্লাহকে দেখছি,এমন টাইপ ক্ষেত্রে আল্লাহর কোনো স্বরুপ মনে অটোমেটক ভেসে উঠে।আমি বুঝতেছিনা এটা কি স্বাভাবিক কিনা।এম্নিতে আল্লাহর কাছে দুয়া করার ক্ষেত্রেও এমন হয়।এব্যাপারে কিছ্য বলুন।আর এথেকে বিরত থাকব কিভাবে।

৫,আমি যে মসজিদে নামাজ পড়ি,তারা ফজর পর পর ওয়াক্ত শেষ হবার আগেই দরজা লাগাই দেয়।আমি চাইলেও স্বস্থানে বসে যিকির আযকার করে সূর্য উঠার পর দু রাকাত সালাত আদায় করতে পারিনা,একটি হজ্ব করার যে সওয়াবের আমল সেসব পারিনা।এখন আমার কি করণীয়? আমার পূর্নাংগ নিয়াত রাখা সত্বেও যদি করতে না পারি তাহলে কি আমি সওয়াব পাব?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/6167 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
মু্ক্তাদি যদি ইমাম সাহেবকে রুকুতে পায়,এবং তৎক্ষণাৎ নামাযে শরীক হয়,এক্ষেত্রে তাসবীহ এর সংখ্যার কোনো ধর্তব্য নাই।বরং এক মুহুর্তের জন্য জন্য ইমামকে পাওয়া গেলেও উক্ত রাকাতকে পাওয়া গিয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।এমনকি যদি ইমাম রুকুর অবস্থা থেকে উঠতে ছিলেন, এমতাবস্থায় ইমাম যদি রুকুর নিকটবর্তী থাকেন,এবং দাড়ানোর হালত থেকে দূরে থাকেন,তাহলে এমতাবস্থা্য় রুকুতে শরীক মুক্তাদিকে নামাযে শরীক ধরে নেয়া হবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-২/২৯২)যেমন বর্ণিত রয়েছে-
او شرع في الانحطاط و شرع الامام في الرفع اعتد بها
(তাকরিরাতে রাফেয়ী-২/৯২)

"ومن أدرك إمامه راكعا فكبر ووقف حتى رفع الإمام رأسه" من الركوع أو لم يقف بل انحط بمجرد إحرامه فرفع الإمام رأسه قبل ركوع المؤتم "لم يدرك الركعة" كما ورد عن ابن عمر رضي الله عنهما
যে ব্যক্তি ইমামকে রুকু অবস্থায় পাবে,অতঃপর সে তাকবীর বলে দাড়াবে,এমতাস্থায় যদি ইমাম সাহেব রুকু থেকর মাথাকে তুলে নেয়,অথবা মুক্তাদি তাকবীর বলে না দাড়ায় বরং রুকু যাওয়ার জন্য ঝুকে,এবং ইমাম সাহেব মুক্তাদির রু'কুর পূর্বেই মাথাকে তুলে নেন,তাহলে বুঝা যাবে যে,মুক্তাদি রু'কুই পায়নি।যেমন ইবনে উমর রাযির আসর থেকে বুঝা যায়।(মারিকল ফালাহ-১/৪৫৫) (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু রুকুতে ইমামকে পেয়েছেন। যখন রুকুতে গিয়েছেন তার এক মুহুর্ত পর ইমামের 'সামি'আ... শুনেছেন। কাজেই বুঝা গেল, আপনি ঐ রাকাত পেয়েছেন। এখানে কোনো সন্দেহ নাই।সুতরাং পরবর্তী এক রাকাত পড়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা ছিল না।যদি চার রাকাত পর আপনি বৈঠক না করে থাকেন, তাহলে আপনাকে উক্ত নামায দোহড়াতে হবে।

(২)
বিয়ের বাইশ দিন পর স্ত্রী নিয়মিত সালাত আদায় শুরু করেছে। এতেকরে বিবাহর কোনো ক্ষতি হবে না।

(৩)
এটা কোনো রিয়া হবে না। বরং আপনি সতর্কতামূলক আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায়ের নিয়ত রাখবেন।

(৪)
বুজুর্গানে কেরাম থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, নামায হল মু’মিনের মে’রাজ স্বরূপ। যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,

قَالَ مَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ".
ঐ ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইহসান কী?’ তিনি বললেনঃ ‘আপনি এমনভাবে আল্লাহর ‘ইবাদাত করবেন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন, আর যদি আপনি তাঁকে দেখতে না পান তবে (মনে করবেন) তিনি আপনাকে দেখছেন।’  ( সহীহ বুখারী-৫০, হাদীসে জিবরাইল)

(৫)
যেহেতু আপনার পূর্ণাঙ্গ নিয়ত রয়েছে, তাই আপনি এর পূর্ণ সওয়াব পেয়ে যাবেন। কেননা প্রত্যেক আ'মল তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল বলে হাদীসে এসেছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...