জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো অসুস্থতার কারনে ফরজ রোযা না রাখার ইখতিয়ার/ইচ্ছা রয়েছে।
পরবর্তীতে তার কাযা আদায় করে নিতে হবে।
ইরশাদ হচ্ছে-
فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ [٢:١٨٥]
কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। {সূরা বাকারা-১৮৫}
,
অসুস্থতার কারনে কষ্ট করে রোযা রাখা মুস্তাহাব নয়।
ইমাম আহমাদ (৫৮৩২) ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "নিশ্চয় আল্লাহ্ তাঁর রুখসতগুলো গ্রহণ করাকে পছন্দ করেন যেভাবে তিনি তাঁর অবাধ্যতায় লিপ্ত হওয়াকে অপছন্দ করেন।"
সহিহ বুখারী (৬৭৮৬) ও সহিহ মুসলিম (২৩২৭)-এ আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: "রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দুটো বিষয়ের মাঝে নির্বাচন করার এখতিয়ার দেয়া হলে তিনি সহজতম বিষয়টি গ্রহণ করতেন; যতক্ষণ না সেটা পাপ হত। পাপ হলে তিনি হতেন এর থেকে সবচেয়ে দূরত্ব রক্ষাকারী ব্যক্তি।"
,
যেহেতু অসুস্থতার কারনে ফরজ রোযা আপাতত না রাখারই ইখতিয়ার,(ইচ্ছা ) রয়েছে,সুতরাং অসুস্থতার কারনে আপাতত কাজা রোযা আদায় না করার অবশ্যই ইখতিয়ার/ইচ্ছা রয়েছে।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই মুহুর্তে তার ঔষধ খাওয়া জরুরি, পরবর্তীতে সিময় সুযোগ মোতাবেক কাজা রোযা আদায় করবে।