আসসালামু আলাইকুম।
[১] আমার আব্বু একজনের সাথে মুরগির ব্যবসা করেন। এখন ব্যবসা টা এমন যে, আরেকজন যে আছে সে অর্থসহ অন্যান্য জিনিসপত্র এবং মুরগির বাচ্চা দেয় ও আব্বু শ্রম দেয় অর্থাৎ বাচ্চাগুলোকে পালন করে বড় করে[ওসীলা হিসেবে]।এবং বড় হওয়ার পর তা বিক্রি করে লাভ-লস যা হয় তা শুধু আব্বুরই হয় । উল্লেখ্য, প্রথমে আব্বুর কোন পুজি থাকে না, ধরুন আরেকজন উনি বাচ্চাসহ মোট ১লক্ষ টাকা খরচ করল এবং সেগুলো বড় হওয়ার পর বিক্রি করল ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকায়। এই লাভ শুধু আব্বুর ই। [উল্লেখ্য যে অন্য জন মানে পার্টনার লাভ করে ওই অন্যান্য জিনিস এ, অর্থাৎ সে যা কেনে তার চেয়ে একটু বেশিতে আব্বুর নিকট বেচে] বিপরীতে যদি ৫০হাজার টাকা লস হয় তা আব্বুর ই লস হয় ও এই লস সেই পার্টনার পরিশোধ করে ফলে আব্বু তার কাছে সেই টাকার বাকী থাকে।
এখন কথা হচ্ছে, যদি এমন হয় যে বাচ্চার সাথে তাদের খাবার দেয়া হয় ও তা নির্দিষ্ট থাকে(ধরুন ৫০ বস্তা)। এখন আমি দেখছি যে আব্বু তার প্রয়োজনে ২-৩ বস্তা খাবার বিক্রি করে ওনাকে না জানিয়ে এবং জানাতে চায় ও না। যদি ২ বস্তা বিক্রি করা হয় তবে ওই ২ বস্তা পরে এক্সট্রা খাবার হিসেবে অন্যজন দেয় কিন্তু তা তো আব্বু নিজের প্রয়োজনে মিটিয়েছে। এখন এর ভেতর কথা হচ্ছে, যদি এমন ভাবে একবার মুরগি বিক্রির পর লস হয় তাহলে তা আব্বুর বাকীর হিসেবে চলে যাচ্ছে। কিন্তু লাভ হলে তা ওনার প্রাপ্য থেকে একপ্রকার নেয়া হচ্ছে না জানিয়ে।
★এই খাবার বিক্রির টাকা সহ লাভের(যদি হয়) সব টাকা কি নাজায়েজ? না শুধু ওই খাবার বিক্রির টাকা নাজায়েজ? নাকি হারাম? [হারাম আর নাজায়েজ আলাদা হলে দুইটার বিধান একটু বলবেন]
★ এখন আমি একটি ভুল কলে বসি, যে... যেহেতু আব্বু খাবার বিক্রি করলেও তা লস হলে আব্বুর বাকী হিসাবে এসে পড়ে তাই হয়ত নাজায়েজ কিছু হবে না ভেবে আমি এর উপর খেয়াল করিনি। ফলে ওই টাকা আমার পড়াশোনা সহ পরিবারের খাওয়া দাওয়ার কাজে লাগানো হইছে। এখন আমিও হারাম/নাজায়েজ ভক্ষন করেছি। এখন এর থেকে তাওবার উপায় কি? আর এতে কি আমার পড়াশোনার সার্টিফিকেট ও তা ভিত্তিক ইনকাম হারাম হবে?[কারন, উক্ত টাকা দিয়ে আমার ssc এর ফর্ম এর টাকা দেয়া হয়েছে যা সার্টিফিকেট এর সাথে সম্পর্কিত]
[২] উপরোক্ত ঘটনা অনুযায়ী, আমার আব্বু মুরগী বিক্রি করার সময় কিছু মুরগী নিজে রেখে দেয় বা আগেই বাড়িতে বিক্রি করে। এই ব্যপারে আব্বুকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে যে তার পার্টনার জানে এবং সে কিছু বলে না কারন সে অনেক বেশি মুরগী এভাবে বেচে না ( এইটা অসম্ভব না)। আবার, কিছুদিন আগে তার পার্টনার এর সাথে অন্য একজন একই ব্যবসা করে এবং সে অনেক মুরগী বেচে ফলে তাকে সে কঠোর ভাবে নিষেধ করে। তাই আব্বু বলে যে নিষেধাজ্ঞা শুধু অই লোকের উপর করেছে কিন্তু আব্বুর উপর করিনি। এখন আমি যদি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যায় যে আসলে আব্বু ঠিক বলল নাকি ঠিক বলল বা তার এর ব্যক্তিগত বেচা জায়েজ হলো কিনা তাহলে একমাত্র উপায় হলো আব্বুর পার্টনার এর সাথে আমার ব্যক্তিগত কথা বলা। কিন্তু তা করতে গেলে পতিবারে অনেক বড় ফাসাদের আশংকা আছে। তাই আমি এক্ষেত্রে কিছু ব্যবস্থা নেইনি। এতে কি আমার গুনাহ হইছে?