আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
277 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম। 

[১] আমার আব্বু একজনের সাথে মুরগির ব্যবসা করেন।  এখন ব্যবসা টা এমন যে, আরেকজন যে আছে সে অর্থসহ অন্যান্য জিনিসপত্র এবং মুরগির বাচ্চা দেয় ও আব্বু শ্রম দেয় অর্থাৎ বাচ্চাগুলোকে পালন করে বড় করে[ওসীলা হিসেবে]।এবং বড় হওয়ার পর তা বিক্রি করে লাভ-লস যা হয় তা শুধু আব্বুরই হয় । উল্লেখ্য, প্রথমে আব্বুর কোন পুজি থাকে না, ধরুন আরেকজন উনি বাচ্চাসহ মোট ১লক্ষ টাকা খরচ করল এবং সেগুলো বড় হওয়ার পর বিক্রি করল ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকায়। এই লাভ শুধু আব্বুর ই। [উল্লেখ্য যে অন্য জন মানে পার্টনার লাভ করে ওই অন্যান্য জিনিস এ, অর্থাৎ সে যা কেনে তার চেয়ে একটু বেশিতে আব্বুর নিকট বেচে] বিপরীতে যদি ৫০হাজার টাকা লস হয় তা আব্বুর ই লস হয় ও এই লস সেই পার্টনার পরিশোধ করে ফলে আব্বু তার কাছে সেই টাকার বাকী থাকে।

এখন কথা হচ্ছে, যদি এমন হয় যে বাচ্চার সাথে তাদের খাবার দেয়া হয় ও তা নির্দিষ্ট থাকে(ধরুন ৫০ বস্তা)। এখন আমি দেখছি যে আব্বু তার প্রয়োজনে ২-৩ বস্তা খাবার বিক্রি করে ওনাকে না জানিয়ে এবং জানাতে চায় ও না। যদি ২ বস্তা বিক্রি করা হয় তবে ওই ২ বস্তা পরে এক্সট্রা খাবার হিসেবে অন্যজন দেয় কিন্তু তা তো আব্বু নিজের প্রয়োজনে মিটিয়েছে। এখন এর ভেতর কথা হচ্ছে, যদি এমন ভাবে একবার মুরগি বিক্রির পর লস হয় তাহলে তা আব্বুর বাকীর হিসেবে চলে যাচ্ছে। কিন্তু লাভ হলে তা ওনার প্রাপ্য থেকে একপ্রকার নেয়া হচ্ছে না জানিয়ে। 

★এই খাবার বিক্রির টাকা সহ লাভের(যদি হয়) সব টাকা কি নাজায়েজ? না শুধু ওই খাবার বিক্রির টাকা নাজায়েজ? নাকি হারাম? [হারাম আর নাজায়েজ আলাদা হলে দুইটার বিধান একটু বলবেন]

★ এখন আমি একটি ভুল কলে বসি, যে... যেহেতু আব্বু খাবার বিক্রি করলেও তা লস হলে আব্বুর বাকী হিসাবে এসে পড়ে তাই হয়ত নাজায়েজ কিছু হবে না ভেবে আমি এর উপর খেয়াল করিনি। ফলে ওই টাকা আমার পড়াশোনা সহ পরিবারের খাওয়া দাওয়ার কাজে লাগানো হইছে। এখন আমিও  হারাম/নাজায়েজ  ভক্ষন করেছি। এখন এর থেকে তাওবার উপায় কি? আর এতে কি আমার পড়াশোনার সার্টিফিকেট ও তা ভিত্তিক ইনকাম হারাম হবে?[কারন, উক্ত টাকা দিয়ে আমার  ssc এর ফর্ম এর টাকা দেয়া হয়েছে যা সার্টিফিকেট এর সাথে সম্পর্কিত]

[২] উপরোক্ত ঘটনা অনুযায়ী, আমার আব্বু মুরগী বিক্রি করার সময় কিছু মুরগী নিজে রেখে দেয় বা আগেই বাড়িতে বিক্রি করে। এই ব্যপারে আব্বুকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে যে তার পার্টনার জানে এবং সে কিছু বলে না কারন সে অনেক বেশি মুরগী এভাবে বেচে না ( এইটা অসম্ভব না)। আবার, কিছুদিন আগে তার পার্টনার এর সাথে অন্য একজন একই ব্যবসা করে এবং সে অনেক মুরগী বেচে  ফলে তাকে সে কঠোর ভাবে নিষেধ করে। তাই আব্বু বলে যে নিষেধাজ্ঞা শুধু অই লোকের উপর করেছে কিন্তু আব্বুর উপর করিনি। এখন আমি যদি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যায় যে আসলে আব্বু ঠিক বলল নাকি ঠিক বলল বা তার এর ব্যক্তিগত বেচা জায়েজ হলো কিনা তাহলে একমাত্র উপায় হলো আব্বুর পার্টনার এর সাথে আমার ব্যক্তিগত কথা বলা। কিন্তু তা করতে গেলে পতিবারে অনেক বড় ফাসাদের আশংকা আছে। তাই আমি এক্ষেত্রে কিছু ব্যবস্থা নেইনি।  এতে কি আমার গুনাহ হইছে?

by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম। 
--- এই ইমোজি দেয়া অংশ এডিট করা হয়েছে। এইটি খেয়াল করার অনুরোধ রইলো নাইলে পুরো বিষয় টা পালটে যেতে পারে আমার ভুলের জন্য।

1 Answer

0 votes
by (584,580 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/19200 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ব্যবসা বানিজ্য সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبا )
আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করোছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।(সূরা বাকারা-২৭৫)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ وَلاَ تَقْتُلُواْ أَنفُسَكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয়, তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা-২৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত ক্রয়-বিক্রয়ে শরয়ী বিক্রয়নীতির খেলাফ অনেক ধারা-উপধারা রয়েছে,তবে উমুমে বালওয়া তথা সমাজে ব্যাপক প্রচলনের দরুণ তাতে শীতিলতা চলে আসবে,বিধায় এছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা না থাকলে উক্ত পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় করা বা লোনদেন করা জায়েয হবে।(শেষ)

আপনার বাবার ব্যবসা নিয়ে যা আপনি লিখেছেন, তাতে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে। সুতরাং আপনাকে বলবো যে, আপনি এ বিষয়ে আমার সাথে ফোনে কথা বলবেন।

আমরা যা বুঝেছি, সেই আলোকে বলেছি।প্রয়োজনে আপনি প্রশ্নটিকে ইডিট করে দিবেন।বা কেমন্ট করবেন।একই বিষয়ে বারংবার প্রশ্ন করবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (584,580 points)
সংযোজন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...