আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in পবিত্রতা (Purity) by (48 points)
আমি টয়লেট করবার পরে সময় নিয়ে টিস্যু ব্যবহার করি৷ এরপর আবার ভালো করে পানি গোপনাংগের যেখান দিয়ে প্রসাব বের হয় সে নির্গমন জায়গা ধুয়ে দি৷ স্বাভাবিকভাবে গোপনাংগের মাথার ভিতরের অংশে পানি ঢালায়, আর পরে বাতাস না লাগায় অংশটা ভিজে থাকে অনেক সময় ধরে৷
আজও এভাবে ধুয়ে দিয়ে এরপর গোসল করে লুংগি পরে নি৷ এর কিছু সময় পরে কোন কারণে গোপনাংগের মুখের দিকে চাপ পড়ে, আর ভিতর থেকে হালকা পানি বের হয়ে লুংগিতে লাগে।

আমার প্রসাবের কোনরুপ চাপ আসেনি, আবার তখন ভালো করে ধুয়ে দিয়েছিলাম পানি দিয়ে৷ তাই আমার মনের বিশ্বাস এটা প্রসাব না, আগের পানি যেটা শুকায় নি৷ সব মিলিয়ে এটাকে পবিত্র ধরে নিয়েছি৷ আমার এসব ব্যাপারে ওয়াসওয়াসা বেশি, আর সতর্ক থাকার চেষ্টা করি। শুধু হাতে লাগায় হাত ধুয়ে নিয়েছি৷ এটাকে কি পবিত্র ধরে নেবো? কারণ আমার মতে এটা প্রসাব না, আবার মযিও না৷

1 Answer

0 votes
by (567,630 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم



মৌলিকভাবে অযু ভঙ্গের কারণ ৭টি। যথা-

১. পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া। যেমন বায়ু, পেশাব পায়খানা, পোকা ইত্যাদি। (হেদায়া-১/৭)

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ

শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

বিস্তারিত জানুনঃ 

۔
قال في الہدایۃ: المعاني الناقضۃ للوضوء کل ما خرج من السبیلین، لقولہ تعالیٰ: {اَوْ جَآئَ اَحَدٌ مِنْکُمْ مِنَ الْغَآئِطِ} [المائدۃ: ۶]
সারমর্মঃ
অযু ভঙ্গের কারন, পায়খানা বা পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া। 

وقیل رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: وما الحدث؟ قال: ما یخرج من السبیلین۔ (ہدایۃ ۱؍۲۲)
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো হদস কি?
তিনি জবাব দিলেন যেটি পায়খানা বা পেশাবের রাস্তা দিয়ে বের হয়।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
অযু ভঙ্গ হওয়ার জন্য পেশাবের রাস্তা দিয়ে  সামান্য কিছু বের হওয়াই যথেষ্ট। 
এখানে কোনো পরিমান নির্দিষ্ট নেই।
সামান্যও যদি বের হয়,তাহলেও অযু ভেঙ্গে যাবে।
উক্ত পানিকে নাপাক বলা হবে।
 
বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,  
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই হালকা ফোটা পানিতে পেশাবের গন্ধ পান কিনা,সেটা লক্ষ্য করবেন।

পেশাবের গন্ধ না থাকলে,আর সেই পানি লিঙ্গের মাথায় জমে থাকা যদি হয়,যাহা গোপনাংগের মাথার ভিতরের অংশে পানি ঢালার কারনে বাস্তবিক ভাবে চোখেই দেখা যায়,লিঙ্গের মাথাতেই থাকে,ভিতর থেকে আসা পানি না হয়,এমন পানি হলে নাপাক হবেনা।
,
হ্যাঁ যদি এটি লিঙ্গের অল্প হলেও ভিতর থেকে, ছিদ্র হতে আসে,তাহলে এটিকে নাপাক বলা হবে।

★প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে এই পানি লিঙ্গের ভিতর থেকে বের হয়েছে,সুতরাং এই পানি স্পষ্ট নাপাক। 

এক্ষেত্রে এক দিরহাম থেকে কম হলে উক্ত স্থান পাক করতে হবেনা।
তবে পুনরায় অযু করতে হবে।    
আর যদি এক দিরহাম সমপরিমাণ হয় বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে অযুও করতে হবে,উক্ত স্থান পাকও করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...