আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in পবিত্রতা (Purity) by (39 points)
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর

আমি একজন মেয়ে।আমি এর আগেও নাপাকি নিয়ে অনেক প্রশ্ন করেছি তাও আমি আমার সব সন্দেহ যেনো দূর করতে পারছিনা।

প্রথমত আমি যতই পানি দিয়ে প্রস্রাব পায়খানা করার পর ধুই তত মনে হচ্ছে ধোঁয়া হচ্ছে না আমি নাপাকই আছি, এর কারণে মনে হচ্ছে আমার কাপড় নাপাক হয়ে আছে,এই কাপড় পরে অনেক পানি আর সাবান খরচ করে ধুই তাও মনে হয় কাপড় নাপাকই আছে,আর লজ্জাস্থানের নাপাকি হাত দিয়ে ধোঁয়ার পর সেই হাত আমি ধুতেই থাকি মনে হয় নখে নাপাকি আছে কিন্তু আমার নখ অনেক ছোট তাও সন্দেহের কারণে ধুতেই থাকি,প্রস্রাব করার পর যখন উঠে দাঁড়াই তখন মনে হয় এই বুঝি প্রস্রাব বের হলো, ধোঁয়ার পর ওই ভেজা অবস্থায় হাঁটি চলি বসি বা নিচু হই যাই করি মনে হয় প্রস্রাবের ফোঁটা পড়তেই আছে, এমনকি গোসল শেষে মনে হয় প্রস্রাব ঝরতেই আছে, আমি কখনো নিজ চোখে লজ্জাস্থান শুকনো অবস্থায় কিছু বের হতে দেখিনি কিন্তু প্রস্রাব করার পর আর গোসল শেষে যখন ভেজা থাকে তখন মনে হতেই থাকে কিছু বের হচ্ছে, এগুলো কি আমার ব্যবহার করা পানি ই? নাকি আসলেই ভেজা অবস্থায় প্রস্রাব বের হচ্ছে হুজুর? আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি হুজুর এসবের কারণে, এসব সন্দেহের কারণে কি আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাবো হুজুর? নাকি কি করবো আমি?

1 Answer

0 votes
by (676,360 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 
   

হাদীস শরিফে এসেছে,

عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

ঈসা ইবন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩২৬)
 
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ الْحَكَمِ، أَوِ ابْنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ .
حكم : صحيح

নাসর ইবনুল মুহাজির ..... হাকাম বা ইবনু হাকাম তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পেশাবান্তে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন এবং তাঁর লজ্জাস্থানে পানি ছিটান (অর্থাৎ লজ্জাস্থান হালকাভাবে ধৌত করার পর উযূ করেন)।
(আবু দাউদ ১৬৮)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি পেশাবের পর লজ্জাস্থানে পানি ঢেলে দিবেন।
এক্ষেত্রে লজ্জাস্থানে হাতের ব্যবহার হলে হাত ধুয়ে নিবেন। 
এরপর আর নাপাক বের হওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহ করবেননা।

এর দ্বারা আপনার শরীর ও হাত পাক হয়ে যাবে,এরপর কোনো ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবেননা।

মনে যেটাই আসুক,আপনি মনে করবেন যে আপনি পাক।
সুতরাং এক্ষেত্রে আশা করি সমস্যা হবেনা।

ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির আমল জানুনঃ- 

সমাধান না হলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 85 views
0 votes
1 answer 134 views
...