আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in পবিত্রতা (Purity) by (39 points)
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর

আমি মারাত্মক সন্দেহ রোগে আক্রান্ত এবং আমি একজন মেয়ে কিছু প্রশ্ন ছিল, এই বিষয়ে আপনাদের ফ্রি কোর্স দেখেও মনকে শান্ত করতে পারছি না,

১.প্রস্রাব করার পর প্রস্রাবের জায়গা কতবার ধুলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে নাপাকি আর নেই?

২.তেমনি পায়খানা করার পর সেই জায়গা কতবার সাবান দিয়ে ধুতে হবে?

৩.হাত দিয়ে সেসব জায়গা ধোঁয়ার পর আলাদাভাবে সেই হাত কতবার সাবান দিয়ে ধুতে হবে? একবার ধুলে তো সন্দেহ কমে না!

৪.প্রস্রাব লাগা কাপড় শেষবার নিংড়ানোর সময় যতবারি নিংড়ানো হোক না কেন কাপড় থেকে যদি পানি পরতেই থাকে প্রতিবার তাহলে কি কাপড় পাক হবে না?

৫.বিছানায় প্রস্রাব লাগছে কিনা নিশ্চিত না হলে কি সেই বিছানায় শোয়া যাবে? যদিও মনে হয় যে প্রস্রাব লাগছে বিছানায়!

৬.প্রস্রাব ধোঁয়ার সময় শেষবার যখন ধোঁয়া হয় তখন প্যান থেকে পানি একটু ছিটে আসলে শরীর কি নাপাক হয়ে যাবে?

৭.ফরজ গোসল চলার সময় বায়ু বা প্রস্রাব নির্গত হলে গোসল কি আবার শুরু থেকে আদায় করতে হবে?

৮.প্রস্রাব/পায়খানার এসব নাপাকি নিয়ে আমি প্রচুর আতংকে থাকি, প্রস্রাব যাতে কম পায় এরজন্য পানিও কম খাই যাতে বার বার বাথরুমে যাওয়া না লাগে,এসব চাইলেও পাত্তা না দিয়ে থাকা যায় না নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়না,আল্লাহ কি আমার মতো রোগীদের পানি বা সময় অপচয়ের জন্য পরকালে মাফ করবেন?

জীবন প্রায় ধ্বংস হচ্ছে এসবের জন্য এমতাবস্থায় কি করবো হুজুর?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...