আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in পবিত্রতা (Purity) by (136 points)
আসসালামুআলাইকুম।

1.আমার ঘাড় এ এবং পিঠ এ ব্রণ উঠলে যেহেতু শুকাতে সময় লাগে ব্যান্ড এইড লাগিয়ে রাখি। মাঝে মাঝে ব্যান্ড এইড সহ ই গোসল করি। এক্ষেত্রে ঝর্ণায় গোসল করা হলে যেহেতু প্রবাহিত পানি আমি ধরে নেই যে যদি ব্যান্ড এইড এ নাপাকী লেগেও থাকে তা ঝর্নার পানি তে পবিত্র হয়ে যাবে। এটি কি ঠিক আছে?
2.ঝর্নার বা টেপ এর পানি তে কল ছেড়ে রেখে সরাসরি কল এর নিচে কতক্ষণ কাপড় ধৌত করলে প্রবাহিত পানি এর হুকুম এ টা পবিত্র হবে? যখন আমার মনে হবে যে আর নাপাকী নেই তখন? নাকি নির্দিষ্ট কোনো সময় পর? দয়া করে জানাবেন।

3. নামাজে কোনো সূরা বা দোয়া পড়ার সময় অনিচ্ছাকৃত ভাবে কোনো হরফ বা ছোট কোনো অংশ যেমন সুবহানাল্লাহ এর "হানা" ইত্যাদি খুবই সামান্য জোরে হয়ে গেলে(মেয়েদের নামাজ) কি নামাজ এ সমস্যা হবে?

4. একইভাবে নামাজের কোনো দোয়া /সুরার সামান্য ছোট কোনো অংশ আস্তে হয়ে গেলে, যেটা কানে আসেনি/এসেছে কিনা নিশ্চিত নই, বাকি অংশ শুনেছি, এরূপ হলে নামাজে কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
ঝর্ণার পানি দীর্ঘক্ষণ তথা গোসল শেষ হওয়া পর্যন্ত চালু থাকলে, সেই পানি প্রবাহিত পানির হুকুমে চলে আসে। সুতরাং প্রবাহিত পানির হুকুম আরোপিত হবে।

(২)
https://www.ifatwa.info/23740 নংফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নাপাক কাপড় ধৌত করার সময় প্রত্যেকবার ভিন্নভাবে বালতি ধুয়ে পাক করার প্রয়োজনিয়তা নাই। তৃতীয়বার কাপড়টি ধৌত করার পর বালতি এমনিতেই পাক হয়ে যাবে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় বার বালতি থেকে পানি সবটুকু ফেলে দিয়ে পরবর্তী বারের জন্য পানি নিতে হবে। (দুররে মুখতার-১/৩০৮, ফাতাওয়া আলমগীরী-১/৪২)

إنْ غَسَلَ ثَلَاثًا فَعَصَرَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ثُمَّ تَقَاطَرَتْ مِنْهُ قَطْرَةٌ فَأَصَابَتْ شَيْئًا إنْ عَصَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ وَبَالَغَ فِيهِ بِحَيْثُ لَوْ عَصَرَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ فَالثَّوْبُ وَالْيَدُ وَمَا تَقَاطَرَ طَاهِرٌ وَإِلَّا فَالْكُلُّ نَجِسٌ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.
যদি কেউ কাপড়কে তিনবার ধৌত করে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়ায়, অতঃপর কাপড় থেকে পানির ফোটা কোনো জিনিষে পড়ে, যদি তৃতীয়বার ভালভাবে নিংড়ানো হয়ে থাকে,এমনভাবে যে এরপর আর নিংড়ালে কোনো পানি বের হবে না,তাহলে কাপড় থেকে যে পানি পড়বে,সেই পানি ও কাপড় এবং হাত কোনো কিছুই নাপাক বলে বিবেচিত হবে না।আর যদি নিংড়ানো না হয়ে থাকে,তাহলে তিনবার ধৌত করার পরও কাপড় থেকে ফোট ফোটা করে পরে যাওয়া পানি নাপাক বলেই গণ্য হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রবাহিত পানি হলে তথা নাজাসত দূর করত; সমস্ত কাপড় ধৌত করা পর্যন্ত পানি চালু থাকলে,তখন একবার কাপড়কে ধৌত করে নিলেই হবে।আর তা না হলে তিনবার উপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারেই ধৌত করতে হবে।

(৩+৪)
নামাযে দু রকম কেরাত রয়েছে,
উচ্ছস্বর আর নিম্নস্বর।
যোহর এবং আসরের নামাযে নিম্নস্বরে কেরাত পড়তে হয়।হানাফি মাযহাব মতে ওয়াজিব।তবে কেউ কেউ সুন্নাতও বলেছেন।
ফজর, মাগরিব,এশা বিতির সহ বেশ কিছ জামাতের সাথে নফল নামাযে উচ্ছস্বরে কেরাত পড়তে হয়।এটাও হানাফি মাযহাব মতে ওয়াজিব।তবে কেউ কেউ সুন্নাতও বলেছেন।
উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,এক কাতার পরের লোক কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ কোনো পরিমাণ নেই।তবে যাতে অন্যর কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এবং নিম্নস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,জবান নাড়িয়ে হরফকে উচ্ছারণ করা।আর সর্বোচ্ছ পরিমাণ হল নিজ কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা বা পাশের জন কর্তৃক শ্রবণ করা।এরচেয়ে কম বেশ করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2570

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যে সমস্ত নামাযে নিম্নস্বরে তিলাওয়াতের কথা সে সমস্ত নামাযে কোনো আয়াত উচ্ছস্বরে পড়ে নিলে, এমনভাবে যে পাশের জন শুনতে পারে, তাহলে তখন সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। এবং উচ্ছস্বরের কোনো নামাযে কোনো আয়াত বা আয়াতের একাংশ নিম্নস্বরে পড়ে নিলে তখন সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 174 views
...