ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
ঝর্ণার পানি দীর্ঘক্ষণ তথা গোসল শেষ হওয়া পর্যন্ত চালু থাকলে, সেই পানি প্রবাহিত পানির হুকুমে চলে আসে। সুতরাং প্রবাহিত পানির হুকুম আরোপিত হবে।
(২)
https://www.ifatwa.info/23740 নংফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নাপাক কাপড় ধৌত করার সময় প্রত্যেকবার ভিন্নভাবে বালতি ধুয়ে পাক করার প্রয়োজনিয়তা নাই। তৃতীয়বার কাপড়টি ধৌত করার পর বালতি এমনিতেই পাক হয়ে যাবে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় বার বালতি থেকে পানি সবটুকু ফেলে দিয়ে পরবর্তী বারের জন্য পানি নিতে হবে। (দুররে মুখতার-১/৩০৮, ফাতাওয়া আলমগীরী-১/৪২)
إنْ غَسَلَ ثَلَاثًا فَعَصَرَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ثُمَّ تَقَاطَرَتْ مِنْهُ قَطْرَةٌ فَأَصَابَتْ شَيْئًا إنْ عَصَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ وَبَالَغَ فِيهِ بِحَيْثُ لَوْ عَصَرَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ فَالثَّوْبُ وَالْيَدُ وَمَا تَقَاطَرَ طَاهِرٌ وَإِلَّا فَالْكُلُّ نَجِسٌ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.
যদি কেউ কাপড়কে তিনবার ধৌত করে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়ায়, অতঃপর কাপড় থেকে পানির ফোটা কোনো জিনিষে পড়ে, যদি তৃতীয়বার ভালভাবে নিংড়ানো হয়ে থাকে,এমনভাবে যে এরপর আর নিংড়ালে কোনো পানি বের হবে না,তাহলে কাপড় থেকে যে পানি পড়বে,সেই পানি ও কাপড় এবং হাত কোনো কিছুই নাপাক বলে বিবেচিত হবে না।আর যদি নিংড়ানো না হয়ে থাকে,তাহলে তিনবার ধৌত করার পরও কাপড় থেকে ফোট ফোটা করে পরে যাওয়া পানি নাপাক বলেই গণ্য হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রবাহিত পানি হলে তথা নাজাসত দূর করত; সমস্ত কাপড় ধৌত করা পর্যন্ত পানি চালু থাকলে,তখন একবার কাপড়কে ধৌত করে নিলেই হবে।আর তা না হলে তিনবার উপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারেই ধৌত করতে হবে।
(৩+৪)
নামাযে দু রকম কেরাত রয়েছে,
উচ্ছস্বর আর নিম্নস্বর।
যোহর এবং আসরের নামাযে নিম্নস্বরে কেরাত পড়তে হয়।হানাফি মাযহাব মতে ওয়াজিব।তবে কেউ কেউ সুন্নাতও বলেছেন।
ফজর, মাগরিব,এশা বিতির সহ বেশ কিছ জামাতের সাথে নফল নামাযে উচ্ছস্বরে কেরাত পড়তে হয়।এটাও হানাফি মাযহাব মতে ওয়াজিব।তবে কেউ কেউ সুন্নাতও বলেছেন।
উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,এক কাতার পরের লোক কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ কোনো পরিমাণ নেই।তবে যাতে অন্যর কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এবং নিম্নস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,জবান নাড়িয়ে হরফকে উচ্ছারণ করা।আর সর্বোচ্ছ পরিমাণ হল নিজ কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা বা পাশের জন কর্তৃক শ্রবণ করা।এরচেয়ে কম বেশ করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2570
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যে সমস্ত নামাযে নিম্নস্বরে তিলাওয়াতের কথা সে সমস্ত নামাযে কোনো আয়াত উচ্ছস্বরে পড়ে নিলে, এমনভাবে যে পাশের জন শুনতে পারে, তাহলে তখন সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। এবং উচ্ছস্বরের কোনো নামাযে কোনো আয়াত বা আয়াতের একাংশ নিম্নস্বরে পড়ে নিলে তখন সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।