আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম
রাসুল সাঃ আঃ , সুদ আদান-প্রদান কারী, এবং এর সহায়তাকারী প্রত্যেকের উপর লানত করেছেন।

ইন্সুরেন্স জব কেমন?পরিবার বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজছে।এদিকে ব্যাংকার,ইন্সুরেন্স জব হোল্ডার বা সুদ রিলেটেড কর্মের সাথে জড়িত প্রস্তাবই বেশি আসছে।পরিবারকে এ সম্পর্কে বুঝানো হলে তারা আগে কিছুটা বুঝলেও এখন আর বুঝতে চাচ্ছেনা।পরিবার একটি ছেলেকে পছন্দ করেছে,এবং তারা সেখান থেকে পিছু ফিরতে চাচ্ছেনা।কিন্তু মেয়ে এই প্রস্তাবে অনাগ্রহী কারণ জবটা সুদ রিলেটেড।এ ছাড়া মেয়ের আর কোন সমস্যা নেই। মেয়েটা কি তার সিধান্তে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে আছে?ইসলাম তো কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করাকে সাপোর্ট করেনা।এক্ষেত্রে কি করণীয় মেয়ে এবং তার পরিবারের?সুদী প্রতিষ্ঠানের প্রতিটা সেক্টর কি সুদ ভিত্তিক হয়ে যায় সাহায্য কারী হওয়ার কারনে???
উত্তর দিয়ে সাহায্য করবেন ইনশাআল্লাহ
জাজাকাল্লাহ খইরন

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


ব্যাংকে চাকুরীজীবীরা সাধারণতঃ সুদী কারবারের সাথে জড়িত। আর সুদের সাথে জড়িত ব্যক্তির সাথে আত্মীয় করা থেকে প্রতিটি মুমিনেরই বিরত থাকা উচিত।
,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا خَطَبَ إِلَيْكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوهُ، إِلاَّ تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الأَرْضِ، وَفَسَادٌ عَرِيضٌ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কাছে এমন লোক বিবাহের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমরা পছন্দ কর, তখন বিবাহ দিয়ে দাও [মাল-সম্পদের দিকে লক্ষ্য করো না]। যদি তা না কর তবে দেশে ফিতনা ও ব্যাপক ফাসাদ দেখা দেবে। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১০৮৪, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৯৬৭]


সুদী প্রতিষ্ঠানের কোন কোন সেক্টরে চাকুরী জায়েজ নেই, বিস্তারিত  জানুনঃ- 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
সুদী কারবারে জড়িত সকল প্রকার চাকুরী হারাম।আর হারাম মাল দ্বারা ভালো কিছু আশা করা যায়না। 

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মেয়ের জন্য করনীয় হলো যথাসম্ভব এমন বিবাহে কখনো রাজি হবেনা।

হ্যা যদি এছাড়া তার নিকট আরো কোনো অপশন না থাকে, তাহলে তিনি বিবাহ বসতে পারবেন,তার নিকট থেকে শুধুমাত্র শরয়ী ভরণপোষণ নিতে পারবেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত খরচ,অপচয় ইত্যাদির জন্য  আর কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা। এবং গ্রহণ করা জায়েযও হবে না।

স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীর।সে যেখান থেকেই ভরণপোষণ সংগ্রহ করুক,সেটা স্ত্রী গ্রহন করতে পারবে,এতে গুনাহ শুধুমাত্র স্বামীরই হবে।
স্ত্রীর নয়।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...