জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ইস্তেঞ্জার ক্ষেত্রে লজ্জাস্থানে পানি দ্বারা এতটুকু ধোয়া যথেষ্ট, যে তার অন্তর নাপাকির ব্যাপারে প্রশান্ত হয়ে যায়।
তার জন্য পানি ব্যবহারের কোনো সীমা/সংখ্যা নির্দিষ্ট নেই।
বারবার হাত ধোয়াও জরুরি নয়।
অবশ্য কোনো ব্যাক্তি যদি ওয়াসওয়াসার রুগী হয়,তাহলে সে লজ্জাস্থান তিনবার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিবে।
والغسل بالماء إلی أنہ یقع أنہ طھر مالم یکن موسوساً فیقدر بثلاث (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطھارة، باب الأنجاس، ۱: ۵۴۹، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
পানি দ্বারা এতটুকু ধুয়ে নিবে যে তার অন্তরে পবিত্র হওয়া সম্পর্কে ধারণা হয়।
তবে যদি ওয়াসওয়াসার রুগী হয়,তাহলে সে লজ্জাস্থান তিনবার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিবে।
(০২)
পায়খানা করার পর ইস্তিঞ্জা করার সময় দুই পায়ে যে পানি লাগে,সেই পানিতে বাহ্যিক নাপাকি দেখা না গেলে তাহা নাপাক হবে না।
সুতরাং এমতাবস্থায় তাহা ধৌত করতে হবেনা।।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম যুহরী রহ.কে জনৈক ব্যক্তির (গোসলের হুকুম) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, যার গোসল করার সময় গা বেয়ে পানির ছিটা পাত্রে পড়েছিল। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, এতে ক্ষতির কিছু নেই। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১/৯২)