আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
243 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
পায়খানা করার পর কত বদনা পানি দিয়ে পবিত্র হতে হবে/ ইস্তিঞ্জা করতে হবে?

পায়খানা করার পর  ইস্তিঞ্জা করার সময় সেই পানি দুই পায়ে লাগে (যেহেতু এই পানি নাপাকি দূর কুরার সময় পায়ে লাগে)/ এক্ষেত্রে পা গুলো কি দৌত করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ইস্তেঞ্জার ক্ষেত্রে লজ্জাস্থানে পানি দ্বারা এতটুকু ধোয়া যথেষ্ট, যে তার অন্তর নাপাকির ব্যাপারে প্রশান্ত হয়ে যায়।
তার জন্য পানি ব্যবহারের কোনো সীমা/সংখ্যা নির্দিষ্ট নেই।
বারবার হাত ধোয়াও জরুরি নয়।
অবশ্য কোনো ব্যাক্তি যদি ওয়াসওয়াসার রুগী হয়,তাহলে সে লজ্জাস্থান তিনবার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিবে।

والغسل بالماء إلی أنہ یقع أنہ طھر مالم یکن موسوساً فیقدر بثلاث (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطھارة، باب الأنجاس، ۱: ۵۴۹، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
পানি দ্বারা এতটুকু ধুয়ে নিবে যে তার অন্তরে পবিত্র হওয়া সম্পর্কে ধারণা হয়।
তবে যদি ওয়াসওয়াসার রুগী হয়,তাহলে সে লজ্জাস্থান তিনবার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিবে।

(০২)
পায়খানা করার পর ইস্তিঞ্জা করার সময় দুই পায়ে যে পানি লাগে,সেই পানিতে বাহ্যিক নাপাকি দেখা না গেলে তাহা নাপাক হবে না। 

সুতরাং এমতাবস্থায়  তাহা ধৌত করতে হবেনা।। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম যুহরী রহ.কে জনৈক ব্যক্তির (গোসলের হুকুম) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, যার গোসল করার সময় গা বেয়ে পানির ছিটা পাত্রে পড়েছিল। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, এতে ক্ষতির কিছু নেই। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১/৯২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...