কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা সাধারণত নিয়ত ব্যতীত ও ইশারা ইঙ্গিত ব্যাতিত তালাক পতিত হয় না।কেনায়া তালাক তিন প্রকার যথাঃ-
(০১)
যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো,আমি তোমাকে পৃথক করে দিয়েছি, ইত্যাদি ।
(০২) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া (তালাকের তলবকে ফিরিয়ে দেয়া) উভয়টি বুঝায়।যেমন,তুমি বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি এখান থেকে চলে যাও, তুমি উঠে খাড়া হও,তুমি আমার সামনে থেকে সড়ে যাও, তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,তুমি নেকাব পরিধান করো,তুমি পর্দার আড়ালে চলে যাও,তুমি উড়না পরিধান করো,ইত্যাদি।
(০৩) যা তালাক এবং গালির উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি।
তালাকের পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট,পরিবেশ তিন প্রকার।
(১) হালতে রেযা- খুশির হালত।
(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত।
(৩) রাগান্বিত অবস্থা।
(১) হালতে রেযা বা খুশির প্রেক্ষাপট
খুশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।নিয়ত না থাকার বিষয়ে স্বামীর কথাই কসমের সাথে গ্রহণযোগ্য।
(২) মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের আলোচনা।
তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
(৩)রাগের অবস্থা।
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।
ফাতওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
فتاوی شامی (الدرّ المختار وردّ المحتار):
"(ما لم يوضع له) أي الطلاق (واحتمله) وغيره (ف) الكنايات (لا تطلق بها) قضاء (إلا بنية أو دلالة الحال) وهي حالة مذاكرة الطلاق أو الغضب.
فالحالات ثلاث: رضا وغضب ومذاكرة والكنايات ثلاث ما يحتمل الرد أو ما يصلح للسب، أو لا ولا (فنحو اخرجي واذهبي وقومي) تقنعي تخمري استتري انتقلي انطلقي اغربي اعزبي من الغربة أو من العزوبة (يحتمل ردا، ونحو خلية برية حرام بائن) ومرادفها كبتة بتلة (يصلح سبا، ونحو اعتدي واستبرئي رحمك، أنت واحدة، أنت حرة، اختاري أمرك بيدك سرحتك، فارقتك لا يحتمل السب والرد، ففي حالة الرضا) أي غير الغضب والمذاكرة (تتوقف الأقسام) الثلاثة تأثيرا (على نية) للاحتمال والقول له بيمينه في عدم النية ويكفي تحليفها له في منزله، فإن أبى رفعته للحاكم فإن نكل فرق بينهما، مجتبى.
(وفي الغضب) توقف (الأولان) إن نوى وقع وإلا لا (وفي مذاكرة الطلاق) يتوقف (الأول فقط) ويقع بالأخيرين وإن لم ينو لأن مع الدلالة لا يصدق قضاء في نفي النية لأنها أقوى لكونها ظاهرة، والنية باطنة ولذا تقبل بينتها على الدلالة لا على النية إلا أن تقام على إقراره بها عمادية، ثم في كل موضع تشترط النية فلو السؤال بهل يقع بقول نعم إن نويت، ولو بكم يقع بقول واحدة ولا يتعرض لاشتراط النية بزازية فليحفظ.
(قوله فالحالات ثلاث) لما كان الغضب يقابله الرضا فهو مفهوم منه صح التفريع.
(کتاب الطلاق، باب الکنایات، ج:3، ص:300/301/302، ط:ایج ایم سعید)
সারমর্মঃ-
কেনায়া শব্দ যেগুলোকে তালাকের জন্য গঠন করা হয়নি,এগুলোর দ্বারা তালাক হয়না,তবে তালাকের নিয়তের দরুন বা অবস্থার ইঙ্গিতের প্রেক্ষিতে তালাক পতিত হয়। সেটা হলো মুযাকারায়ে তালাকের অবস্থা,এবং রাগের অবস্থা।
তালাকের হালত, প্রেক্ষাপট তিনটি।
(১) হালতে রেযা- খুশির হালত।
(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত।
(৩) রাগান্বিত অবস্থা।
কেনায়া বাক্যও তিন প্রকার।
(১) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।
(২) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া (তালাকের তলবকে ফিরিয়ে দেয়া) উভয়টি বুঝায়।
(৩) যা তালাক এবং গালির উভয়টির সম্ভাবনা রাখে।
★যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া (তালাকের তলবকে ফিরিয়ে দেয়া) উভয়টি বুঝায়।যেমন,তুমি বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি এখান থেকে চলে যাও, তুমি উঠে খাড়া হও,তুমি আমার সামনে থেকে সড়ে যাও, তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,তুমি নেকাব পরিধান করো,তুমি পর্দার আড়ালে চলে যাও,তুমি উড়না পরিধান করো,ইত্যাদি।
★যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো,আমি তোমাকে পৃথক করে দিয়েছি, ইত্যাদি ।
★যা তালাক এবং গালির উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি।
হালতে রেযা বা খুশির প্রেক্ষাপট
খুশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।
আর রাগ ও মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া উভয়টি বুঝায়,শুধু এটি নিয়তের উপর মওকুফ থাকবে। বাকি দুই ছুরতে তালাকের নিয়ত না থাকলেও তালাক পতিত হয়ে যাবে।
★রাগ ও মুযাকারায়ে তালাকের অবস্থায় প্রথম প্রকারের শব্দ অর্থাৎ যা মহিলার কথার উত্তর হওয়া যোগ্য,তা নিয়তের উপর নির্ভরশীল হবে। আর শেষ দুই প্রকারের শব্দাবলী যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না,এবং যা তালাক এবং গালি উভয়টির সম্ভাবনা রাখে,এগুলোর দ্বারা নিয়ত ব্যাতিতই তালাক পতিত হবে।
কেননা নিয়ত অস্বীকারের বিষয়টি কাজায়ান সত্যায়ন করা হবেনা। কেননা তাহা বাহ্যিক অবস্থা থেকে আরো বেশি শক্তিশালী। আর নিয়ত তো বাতেনী তথা অভ্যন্তরীণ বিষয়।
(ফাতাওয়ায়ে শামী (৩/ ৩০১,৩০২,৩০৩)
لا تحتمل المذاكرة من الرد والتبعيد، فترجح جانب الطلاق ظاهرا فلا يصدق في الصرف عنه
সারমর্মঃ-
এক্ষেত্রে তালাকের দিকটাই প্রাধান্য পাবে। সুতরাং তাহা হতে ফেরার ক্ষেত্রে তাকে সত্যায়ন করা হবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ৪/৫৩৩ মাকতাবায়ে যাকারিয়া।)
وفي حال مذاكرة الطلاق يتوقف الأول أي ما يصلح ردا علي النية أما الاخيران وهما ما يصلح سبا وما لا يحتمل الرد والسب فيقع بهما الطلاق وان لم ينو.
আর তালাকের আলোচনার অবস্থায় প্রথম প্রকারের শব্দ অর্থাৎ যা মহিলার কথার উত্তর হওয়া যোগ্য,তা নিয়তের উপর নির্ভরশীল হবে। আর শেষ দুই প্রকারের শব্দাবলী যে শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না,এবং যা তালাক এবং গালি উভয়টির সম্ভাবনা রাখে,এগুলোর দ্বারা নিয়ত ব্যাতিতই তালাক পতিত হবে।
(শরহে বিকায়া, কিতাবুত তালাক অধ্যায়। ২/৭৭)
"ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া) তে বর্ণিত রয়েছে,
لَا يَقَعُ بِهَا الطَّلَاقُ إلَّا بِالنِّيَّةِ أَوْ بِدَلَالَةِ حَالٍ كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ. ثُمَّ الْكِنَايَاتُ ثَلَاثَةُ أَقْسَامٍ (مَا يَصْلُحُ جَوَابًا لَا غَيْرُ) أَمْرُك بِيَدِك، اخْتَارِي، اعْتَدِّي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا لَا غَيْرُ) اُخْرُجِي اذْهَبِي اُعْزُبِي قُومِي تَقَنَّعِي اسْتَتِرِي تَخَمَّرِي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَشَتْمًا) خَلِيَّةٌ بَرِيَّةٌ بَتَّةٌ بَتْلَةٌ بَائِنٌ حَرَامٌ
কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা নিয়ত ব্যতীত বা তালাকের ব্যাপারে ইশরা ইঙ্গিত ব্যতীত তালাক পতিত হয় না।কেনায়া তালাক তিন প্রকার যথাঃ-
(১)
যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো। (২) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া উভয়টি বুঝায়।যেমন,তুমু বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,তুমি নেকাব পরিধান করো,তুমি পর্দার আড়ালে চলে যাও,তুমি উড়না পরিধান করো। (৩) যা তালাক এবং গালি উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি।
পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট তিন প্রকারঃ যথাঃ-
وَالْأَحْوَالُ ثَلَاثَةٌ (حَالَةُ) الرِّضَا (وَحَالَةُ) مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ بِأَنْ تَسْأَلَ هِيَ طَلَاقَهَا أَوْ غَيْرُهَا يَسْأَلُ طَلَاقَهَا (وَحَالَةُ) الْغَضَبِ
পরিবেশ ও পরিস্থিতি তিন প্রকার।(১) হালতে রেযা- খুশির হালত(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত(৩) রাগান্বিত অবস্থা।
(১) হালতে রেযা বা খুশির প্রেক্ষাপট
فَفِي حَالَةِ الرِّضَا لَا يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي الْأَلْفَاظِ كُلِّهَا إلَّا بِالنِّيَّةِ وَالْقَوْلُ قَوْلُ الزَّوْجِ فِي تَرْكِ النِّيَّةِ مَعَ الْيَمِينِ
খশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।নিয়ত না থাকার বিষয়ে স্বামীর কথাই কসমের সাথে গ্রহণযোগ্য।
(২) মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের আলোচনা
وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي
তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
(৩)রাগের অবস্থা
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية............... وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
★উল্লেখ্য, মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে কেনায়া কিছু বাক্যের ক্ষেত্রে স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলেও সর্বাবস্থায় তালাক পতিত হয়ে যায়।
ফাতাওয়ায়ে শামী,শরহে বিকায়াহ সহ বিভিন্ন ফিকহের কিতাবে তাহা স্পষ্ট আকারে উল্লেখ রয়েছে।
তবে কিছু ফাতওয়ার কিতাবে এক্ষেত্রে উল্লেখ রয়েছে যে এমতাবস্থায় কাজায়ান তালাক হয়,দিয়ানাতান তালাক হয়না।
তাই এক্ষেত্রে ফতোয়া প্রদানের ক্ষেত্রেও মুফতী সাহেবদের মাঝে কিছু ভিন্নতা দেখা যায়।
জামিয়া ইউসুফ বিন নুরী টাউন ফতোয়া বিভাগের (144211200060) নং ফতোয়াতেও এক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় তালাক পতিত হওয়ার কথা রয়েছে। কাজায়ান, দিয়ানাতান এর কথা উল্লেখ নেই।
★সুতরাং সব কিছু বিবেচনা করে আমরা বলবো যে মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে স্বামী যদি দুই প্রকারের শব্দাবলী ( যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না,এবং যা তালাক এবং গালি উভয়টির সম্ভাবনা রাখে।) বলে,সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক এক তালাকে বায়েন ধরে নিয়ে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।