বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কারো সম্পর্কে মন্তব্য করার পূর্বে এই হাদীস লক্ষ্যণীয়।
হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا )
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বোখারী-৬০৬১)
ছারছিনা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা নেছারুদ্দীন আহমদ রহঃ (১৮৭৩-১৯৫২) তিনি বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব, ধর্ম প্রচারক, পীর ছিলেন।
তিনি ফুরফুরা শরীফের খলিফা ছিলেন। যিনি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী বিদ্যাপীঠ ছারছিনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বরিশাল বিভাগের অন্যতম ধর্ম প্রচারক ছিলেন। এছাড়াও তিনি ছারছিনা শরীফের পির ছিলেন, তিনি বরিশাল অঞ্চলে বহু ইসলামী প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। ইসলাম প্রচারে তিনি বহু অবদান রেখেছেন।
মিলাদ কিয়াম ইত্যাদি কিছু বিষয় নিয়ে তাদের সাথে অন্যান্য উলামাদের সাথে মতপার্থক্য রয়েছে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
1402 নং ফাতাওয়ায় বর্ণিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের যে বড় দশটি আকিদা বর্ণিত রয়েছে,ছারছিনা পীর সাহেব এর আকিদা এর খেলাফ নয়।
বিধায় তারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অন্তর্ভূক্ত।হ্যা শাখাপ্রশাখা গত অল্প কিছু মাস'আলা মাসাঈল নিয়ে অন্যান্য উলামাদের সাথে তাদের কিছুটা মতপার্থক্য রয়েছে।তাদের কর্মপদ্ধতি অন্যান্যদের কর্মপদ্ধতি চেয়ে কিছু আলাদা।সেটা ইজতেহাদী মতপার্থক্য। এর জন্য তাদের আকিদা বিশুদ্ধ নয়,এমনটা বলা যাবে না।
তাদের আকিদা বিশুদ্ধ। আপনার কাছে যদি তাদের তাদের কোনো মতামত অশুদ্ধ মনে হয়,কমেন্টে উল্লেখ করবেন।