হযরত আনাস ইবনে মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ
ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺑْﻦِ ﻣَﺎﻟِﻚٍ ﻗَﺎﻝَ : ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲِّ ﺻﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋﻠﻴﻪِ ﻭﺳﻠَّﻢ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝَ : ﻃَﻠَﺐُ ﺍﻟﻌِﻠْﻢِ ﻓَﺮِﻳْﻀَﺔٌ ﻋَﻠَﻰْ ﻛُﻞِّ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ
জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।)(সুনানু ইবনি মা’জা-২২৪)
وَفَرْضٌ عَلَى كُلِّ مُكَلَّفٍ وَمُكَلَّفَةٍ بَعْدَ تَعَلُّمِهِ عِلْمَ الدِّينِ وَالْهِدَايَةِ تَعَلُّمُ عِلْمِ الْوُضُوءِ وَالْغُسْلِ وَالصَّلَاةِ وَالصَّوْمِ، وَعِلْمِ الزَّكَاةِ لِمَنْ لَهُ نِصَابٌ، وَالْحَجِّ لِمَنْ وَجَبَ عَلَيْهِ وَالْبُيُوعِ عَلَى التُّجَّارِ لِيَحْتَرِزُوا عَنْ الشُّبُهَاتِ وَالْمَكْرُوهَاتِ فِي سَائِرِ الْمُعَامَلَاتِ. وَكَذَا أَهْلُ الْحِرَفِ،
প্রত্যেক মুকাল্লাফ-মুকাল্লাফাহ(আক্বেল-বালেগ নর-নারী)এর উপর দ্বীনের প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জনের পর ফরয হচ্ছে,ওজু,গোসল,নামায এবং রোযা,এর জ্ঞান অর্জন করা। এবংনেসাবপ্রাপ্ত মালের মালিকের উপর যাকাতের জ্ঞান অর্জন করা। এবং যার উপর হজ্ব ফরয,তার জন্য হজ্বের বিধি-বিধান অর্জন করা। এবং ব্যবসায়ীদের উপর ব্যবসা সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করা।এজন্য ফরয,যাতে তারা উক্ত বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন অস্পষ্টতা,সন্দেহ ও অপছন্দনীয় দিবসসমূহ থেকে অনায়াস বেছে থাকতে পারে।ঠিকতেমনিভাবে পেশাজীবীদের জন্য সংশ্লিষ্ট পেশা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা ফরয। ইবনে আবেদীন শামী রাহ.জ্ঞান শিক্ষা ফরয সম্পর্কিত একটি মূলনীতি তুলে ধরেন।যাকে আমাদের সামনে আসলে,ভবিষ্যৎ অনেক অস্পষ্টতা দূরবিত হয়ে যাবে ইনশা'আল্লাহ।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সুতরাং আপনার প্রতি আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, যদি আপনি ফরজ ইলম অর্জন না করে থাকেন,সেক্ষেত্রে পিতা মাতা জানলে নিষেধ করার সম্ভাবনা থাকলে তাদেরকে না জানিয়েই ভর্তি হওয়া। এক্ষেত্রে বিষয়টি গোপন রেখেই দ্বীনী জ্ঞান অর্জন করতে থাকা যাবে।
কিন্তু আপনার যদি ফরজ ইলম আগে থেকেই অর্জন হয়ে থাকে,আর এখানে পড়াশোনার যাবতীয় খরচ যদি বাবা মা থেকেই নেন,সেক্ষেত্রে তাদেরকে বিষয়টি জানিয়ে নিবেন।
(০২)
তাদের হক সংশ্লিষ্ট হলে অনুমতি নিতে হবে।
নতুবা তারা জানতে না চাইলে সব বিষয় জানানো আবশ্যক নয়।
(০৩)
এভাবে বলতে হবেঃ
আমি আপনার সাথে জীবনে যত ভুল করেছি,যত অন্যায় আচরণ করেছি,সব গুলো থেকে মাফ চাই।