আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
153 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
মুহতারাম, আমি জেনারেল লাইন থেকে অনার্স করেছি। বয়স ২৬ প্লাস চলছে। IOM এর আলিম কোর্সে ভর্তি হতে চাচ্ছি ইন শা আল্লাহ। কিন্তু আমার বাবা-মা বিষয়টি জানেন না। তারা জানলে আমাকে অনুৎসাহিত করতে পারেন এবং বাঁধার সম্মুখীনও হতে পারি। পরিস্থিতি সাপেক্ষে বল্লাম। আমার প্রশ্ন হলোঃ
১. এক্ষেত্রে বাবা-মা'র অনুমুতি নেয়া কি জরুরি? নাকি বিষয়টি গোপনে রেখে আমি ইলম অর্জন করে যেতে পারবো?
২. অন্যান্য যেকোন ব্যাপারে বাবা-মা'র অনুমুতি নেয়ার ব্যাপারে শরীআহ কি বলে? অর্থাৎ আবশ্যক কিনা?
৩. বাবা-মা'র সাথে অন্যায় আচরণ হয়ে গেলে তাদের কাছ হতে কিভাবে মাফ নেয়া যেতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হযরত আনাস ইবনে মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ

 ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺑْﻦِ ﻣَﺎﻟِﻚٍ ﻗَﺎﻝَ : ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲِّ ﺻﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋﻠﻴﻪِ ﻭﺳﻠَّﻢ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝَ :  ﻃَﻠَﺐُ ﺍﻟﻌِﻠْﻢِ ﻓَﺮِﻳْﻀَﺔٌ ﻋَﻠَﻰْ ﻛُﻞِّ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ 

 জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।)(সুনানু ইবনি মা’জা-২২৪)

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
  
وَفَرْضٌ عَلَى كُلِّ مُكَلَّفٍ وَمُكَلَّفَةٍ بَعْدَ تَعَلُّمِهِ عِلْمَ الدِّينِ وَالْهِدَايَةِ تَعَلُّمُ عِلْمِ الْوُضُوءِ وَالْغُسْلِ وَالصَّلَاةِ وَالصَّوْمِ، وَعِلْمِ الزَّكَاةِ لِمَنْ لَهُ نِصَابٌ، وَالْحَجِّ لِمَنْ وَجَبَ عَلَيْهِ وَالْبُيُوعِ عَلَى التُّجَّارِ لِيَحْتَرِزُوا عَنْ الشُّبُهَاتِ وَالْمَكْرُوهَاتِ فِي سَائِرِ الْمُعَامَلَاتِ. وَكَذَا أَهْلُ الْحِرَفِ، 
প্রত্যেক মুকাল্লাফ-মুকাল্লাফাহ(আক্বেল-বালেগ নর-নারী)এর উপর দ্বীনের প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জনের পর ফরয হচ্ছে,ওজু,গোসল,নামায এবং রোযা,এর জ্ঞান অর্জন করা। এবংনেসাবপ্রাপ্ত মালের মালিকের উপর যাকাতের জ্ঞান অর্জন করা। এবং যার উপর হজ্ব ফরয,তার জন্য হজ্বের বিধি-বিধান অর্জন করা। এবং ব্যবসায়ীদের উপর ব্যবসা সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করা।এজন্য ফরয,যাতে তারা উক্ত বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন অস্পষ্টতা,সন্দেহ ও অপছন্দনীয় দিবসসমূহ থেকে অনায়াস বেছে থাকতে পারে।ঠিকতেমনিভাবে পেশাজীবীদের জন্য সংশ্লিষ্ট পেশা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা ফরয। ইবনে আবেদীন শামী রাহ.জ্ঞান শিক্ষা ফরয সম্পর্কিত একটি মূলনীতি তুলে ধরেন।যাকে আমাদের সামনে আসলে,ভবিষ্যৎ অনেক অস্পষ্টতা দূরবিত হয়ে যাবে ইনশা'আল্লাহ।

বিস্তারিত জানুন-1893 

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সুতরাং আপনার প্রতি আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, যদি আপনি ফরজ ইলম অর্জন না করে থাকেন,সেক্ষেত্রে পিতা মাতা জানলে নিষেধ করার সম্ভাবনা থাকলে তাদেরকে না জানিয়েই ভর্তি হওয়া। এক্ষেত্রে বিষয়টি গোপন রেখেই  দ্বীনী জ্ঞান অর্জন করতে থাকা যাবে।

আরো জানুনঃ

কিন্তু আপনার যদি ফরজ ইলম আগে থেকেই অর্জন হয়ে থাকে,আর এখানে পড়াশোনার যাবতীয় খরচ যদি বাবা মা থেকেই নেন,সেক্ষেত্রে তাদেরকে বিষয়টি জানিয়ে নিবেন।     

(০২)
তাদের হক সংশ্লিষ্ট হলে অনুমতি নিতে হবে।
নতুবা তারা জানতে না চাইলে সব বিষয় জানানো আবশ্যক নয়।

(০৩)
এভাবে বলতে হবেঃ
আমি আপনার সাথে জীবনে যত ভুল করেছি,যত অন্যায় আচরণ করেছি,সব গুলো থেকে মাফ চাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...