আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
শেষ এ প্রশ্ন একটু ভালোভাবে দেখবেন।।

ঘটানা শুরু হয় ডিসেম্বর এর ১৩ তারিখ আমি তালাক এর মাসালা পরে ওয়াসওয়াসায় ভুগছিলাম তো এগুলা থেকে মুক্তি পেতে ভাবি যে একবার শর্ত দিয়েই দেই তাই আমি বলি,ও যদি কোনো ছেলের সাথে নাচে তাহলে ওর সাথে আমার তালাক হয়ে যাবে,এখানে আমি বিবাহের সাথে নিসবত করে বলেছিলাম কি বলিনি তখন আমার মনে নেই একটুও মনে পরছিলো না যে আমি বিবাহের পর তালাক এভাবে বলেছিলাম নাকি শুধু তালাক বলেছিলাম।তো এক বড় ভাই মোটামুটি মুফতি ই বলা চলে ওনাকে জিগ্যেস করেছিলাম যে এখন যে আমার মনে পড়ছেনা আমার করণীয় কি? তো সে বল্লো যে আপনার মনের মধ্যে যেটা বেশি মনে হয় সেটাই ধরা হবে,আর মুফতি ওলি ওল্লাহ সাহেব বলেছিলেন যে বিবাহের সাথে নিসবত করেছেন কি করেন নি আপনার মনে না থাকলে,ইসলাম এর মুল বিধান তালাক না হওয়া তাই শর্ত পরবেনা।তো আমি আমার বড় ভাই এর কথা মতো মনে করতে থাকি যে আমার মন কোনটা বেশি বলে নিসবত করেছিলাম কি করিনি তো আমি ধরে নিয়েছলাম হয়তো নিসবত করেছিলাম এজন্য এটা ধরেই আমি সবাইকে মাসালা জিগ্যেস করেছি যে আমি বিয়ের সাথে নিসবত করে বলেছিলাম যে ও যদি কোনো ছেলের সাথে নাচে তাহলে ওর সাথে বিয়ে হলে বিয়ের পর তালাক হয়ে যাবে।
নাকি সবার কাছে সিকারক্তি দিয়েছি  যে আমি নিসবত করেছি  মানে ধরে নিয়েছিলাম যে হয়তো নিসবত করেছি তাই যে বাক্যটার সিকারক্তি দিয়েছি ওইটা ধরা হবে?

বি দ্র:

এর উত্তরে আপনারা বলেছেন যে যেহতু আমার মনে হয়েছে যে নিসবত করেছি তাই ওই হিসেবে ধরে নিয়ে আপনাদের কাছে জিজ্ঞাস করেছি তাই শর্ত পরবে।

1.এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, আমি যেই বাক্য টার সিকারক্তি দিয়েছিলাম  ওইটাই ধরা হবে?আমি আপনাদের প্রশ্ন করার সময় বলেছিলাম যে"ও যদি কোনো ছেলের সাথে নাচে তাহলে ওর সাথে আমার বিয়ে হলে বিয়ের পর তালাক হয়ে যাবে"।তো এখন এটাই ধরা হবে?[আসলে মনে অনেক সন্দেহ আসে যে আমি অন্য কিছু বলে ফেল্লাম কিনা]

বিস্তারিত বলবেন।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


পূর্বের কিছু ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে তালাক পতিত হওয়ার জন্য জরুরি হলো সেই মহিলা তার বিবাহিতা স্ত্রী হতে হবে অথবা অবিবাহিত অবস্থায় তালাক দিলে শর্তযুক্ত বাক্যে ঐ মহিলার দিকে বিবাহের নিসবত করতে হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ الشَّعْبِیِّ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ قَالَ لامْرَأَتهِ: کُلُّ امْرَأَةٍ أَتَزَوَّجُهَا عَلَیْک فَهَیَ طَالِقٌ، قَالَ: فَکُلُّ امْرَأَةٍ یَتَزَوَّجُهَا عَلَیْهَا، فَهِیَ طَالِقٌ.
(ابن أبي شیبة، المصنف، 4: 65، رقم: 17838، الریاض: مکتبة الرشد)
সারমর্মঃ  
হযরত শা'বী রহঃ থেকে বর্ণিত, তাকে এক ব্যাক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো,যে বলেছিলো,আমি যেই মহিলাকেই বিবাহ করবো,সে তালাক।
হযরত শা'বি রহঃ ফায়সালা দিলেন সে যেই মেয়েকেই বিবাহ করবে,সে তালাক প্রাপ্তা হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ   

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যেহেতু আপনার প্রবল ধারনা এমনই,আর স্বীকারোক্তিও এমনটিই প্রদান করেছিলেন,সুতরাং  প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিবাহের দিকে নিসবত করে শর্তযুক্ত তালাক হবে। 
সুতরাং সেই মেয়ে যদি বিবাহের পূর্বে যদি শর্তের খেলাফ কাজ করে,তাহলে তাকে বিবাহ করলে তার উপর এক তালাক পতিত হবে।
তখন তাকে নিয়ে ঘর সংসার করতে চাইলে  নতুন করে তাকে আবার বিবাহ করে নিতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...