আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম হজরত,

কুরআন শরীফ কে কী স্কুল ব্যাগ(এই ব্যাগ যখন বহন করা হয় তখন সেটা কাঁধে থাকে) অথবা যেকোনো ব্যাগে করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে ...না একটা ব্যাগের মধ্যে নিয়ে,ব্যাগটা হাতে করে নিয়ে যাওয়া লাগবে..

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

কোরআন মহান আল্লাহর কালাম বা বাণী। 
এর সর্বোচ্চ সম্মান মর্যাদা দিতে হবে

হাদীস শরীফে এসেছে  
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ

উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত।
মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯।

পিঠের পিছনে কুরআন শরীফ রাখার দ্বারা যদি সেই সমাজে কুরআনের অমর্যাদা বুঝা হয়,তাহলে তা মাকরুহ।
আর যদি তা না হয়,এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে পিঠের পিছনে কুরআন শরীফ রাখে,তার অন্তরে কুরআনের প্রতি অমর্যাদা উদ্দেশ্য না হয়,সম্মানই উদ্দেশ্যের হয়,    তাহলে কোনো সমস্যা নেই। 
(কিতাবুল ফাতওয়া ১/৩১৪)

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে  
وضع المصحف تحت رأسہ في
السفرللحفظ لابأس بہ
 الفتاوی الھندیۃ : ۵/۳۲۲
সফরের ভিতর হেফাজতের লক্ষ্যে মাথার নিচে কুরআন শরিফ রাখা জায়েজ আছে, এতে কোনো সমস্যা নেই।
     
অন্যত্রে এসেছে 
وَيُكْرَهُ أَنْ يَجْعَلَ شَيْئًا فِي كَاغِدَةٍ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ تَعَالَى كَانَتْ الْكِتَابَةُ عَلَى ظَاهِرِهَا أَوْ بَاطِنِهَا، (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الباب الخمس-5/322)
يكره كتابة قرآن أو إسم الله تعالى على ما يفرش لما فيه من ترك التعظيم وكذا على درهم ومحراب وجدار لما يخاف من سقوط الكتابة (طحطاوى على مراقى الفلاح، باب الحيض، مصرى-118)
 যার সারমর্ম হলো কুরআনের আয়াত বা আল্লাহর নাম এমন জায়গায় লেখা যাবেনা,যেটার দ্বারা সম্মান হানী হয়।
এ রকমটি হলে এটি নাজায়েয।
,
সুতরাং নিতম্ব,লজ্জাস্থানের সাথে স্পর্শ হওয়ার  সম্ভাবনাময় স্থানে কুরআন রাখা  মাকরুহ।

কাধে যেই ব্যাগ থাকে,সেই ব্যাগে যদি কুরআন রেখে নিয়ে যাওয়া হয়,তাতে সেটা নিতম্ব বা লজ্জাস্থানের সাথে স্পর্শ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে,বা তার কাছেও না যায়,সমাজে যদি এটাকে কুরআনের প্রতি অসম্মান মনে না করে এবং অন্তরে কুরআনের প্রতি সম্মান পুরোপুরি ঠিক থাকে, কোনো ভাবেই কুরআনের  অসম্মানিত হওয়ার সম্ভাবানা না থাকে তাহলে তা নাজায়েয হবে না।
অন্যথায় তা কুরআনের অবমাননা হওয়ার কারনে  নাজায়েজ হবে।  
,
সাধারনত পিঠ ব্যাগে কুরআন রাখলে তা অসম্মানিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে,কারন বেশির ভাগ সময়েই সেই ব্যাগ তেমন ছোট হয়না,বড়ই হয়,তাই আলাদা একটি ব্যাগে করে হাতে করে কুরআন নিয়ে যাওয়াই ভালো।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...