ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/445 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
মুসাল্লির এমন নড়াচড়া যা নামায পরিপন্থী, তা দু-ভাগে বিভক্ত-
(ক)পরিমাণে সামান্য, যাকে শরয়ী পরিভাষায় 'আ'মলে ক্বালীল' বলা হয়ে থাকে।
(খ)পরিমাণে বেশী যাকে শরয়ী পরিভাষায় 'আ'মলে কাসির' বলা হয়ে থাকে।
নামাযরত অবস্থায় মুসাল্লির কোনো প্রকার হারকাত/নড়াচড়া 'আ'মলে কাছির' বলে প্রমাণিত হলে,উক্ত মুসাল্লির নামায সর্বসম্মতিক্রমে ফাসিদ হয়ে যাবে।
আ'মলে কাছির নির্ণয়ে ফুকাহায়ে কেরামের মধ্য যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে।যথা-এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/445
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় দুনু হাতকে পিছনের দিকে নেওয়া হয়, তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।নতুবা ফাসিদ হবে না।
(২)
নামাজে খুব কম সময়ের জন্য এক পা যদি খুব কম জায়গায় মানে আরেক পায়ের একটু পিছনে যায় তাহলে নামাজ ভঙ্গ হবে না।
(৩)
কোনো অদৃশ্য নাপাক যুক্ত কাপড় শুকিয়ে গেলে, তা অপবিত্রই থাকবে।
(৪)
কোনো অদৃশ্য নাপাক যুক্ত কাপড় তিনবার না ধুয়ে দুইবার ধুইলে এবং তা শুকিয়ে নিলেও পবিত্র হবে না।
তবে যদি পুকুরে বা নদীতে ধৌত করা হয়, তাহলে একবার ধৌত করলেও পবিত্র হয়ে যাবে।
(৫)
যে কাপড় দিয়ে ঘর মুছা হবে, সেটাকে একই বালতিতে একই পানিতে বার বার ধোয়া যাবে।
(৬)
মেয়েরা যদি এমন কোনো জামা পরে যা হাটুর কিছু উপরে এবং ঢিলেঢালা পায়জামা পড়ে, তাহলে এদ্বারা পর্দা হবে না। বরং মাথা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীর ভালোমত ঢেকে রাখতে হবে।
(৭)
নামাজে যদি ঢিলেঢালা পায়জামা, হাফহাতা বা ফুলহাতা গেন্জি (মেয়েদের যা তেমন ঢিলেঢালা হয় না),আর একটি বড় হিজাব যা দেহের অনেক অংশ আবৃত করে এমন পোশাক পড়ে মেয়েরা নামাজ পড়তে পারবে। নামাযের জন্য শর্ত হল, সতর ঢেকে রাখা।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/975
(৮)
না, এতেকরে ইসরাফ বা অপচয় হবে।প্রথম থেকেই মনযোগ সহকারে তিনবার ধৌত করে নিবেন।
(৯)
জ্বী, অজু হবে।