হুজুর অামি একটি পেইজে এই বক্তব্যটি দেখতে পাই
অামি নীচে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাসআলা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। এই মাসআলা জানা আমাদের সবার উপর ফরজ এবং নিজের প্রাপ্তবয়স্ক পরিবারবর্গকে শেখানোও ফরজ। অন্তত স্বামী স্ত্রীকে এবং স্ত্রীর জানা থাকলে স্বামীকে শেখানো ফরজ।
আলোচনাটি লম্বা। কাজেই আমার আলোচনা শেষ হওয়ার আগে দয়া করে কেউ কোন কমেন্ট করবেন না।
এই মাসআলাটি শরীয়তে হুরমতে মুছাহারাত নামে পরিচিত।
কোন পুরুষের নিজের মেয়ে যদি নয় বছর বয়সে পৌঁছে পিতা যেন সতর্কতা হিসেবে তাকে শরীরে স্পর্শ করে কোন আদর সোহাগ না করে।
একইভাবে মা ছেলের বয়স নয় বছর হয়ে গেলে তাকেও যেন প্রয়োজন ছাড়া শরীরে স্পর্শ করে আদর সোহাগ না করে।
কারন স্বামী বা স্ত্রী যে কোন যদি নিজের মেয়ে বা ছেলেকে স্পর্শ করতে গিয়ে তাদের যে কোন একজনের মনে শাহওয়াত চলে আসে, তবে সাথে সাথে স্বামী ও স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
একইভাবে শশুর যদি নিজের পুত্রবধুকে কিংবা শাশুড়ী যদি নিজের কন্যার স্বামীকে অথবা বিপরীত দিক থেকে কোন কারনে স্পর্শ করার সময় অন্তরে শাহওয়াত চলে আসে, তাহলে কন্যা, তার স্বামীর জন্য এবং পুত্রবধু তার ছেলের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
এই জন্য সতর্কতা হিসেবে শশুর পুত্রবধু থেকে এবং শাশুড়ী মেয়ে জামাই থেকে কখনও শারীরিক খিদমত নিবে না।
এই জন্য সতর্কতা হিসেবে শশুর পুত্রবধু থেকে এবং শাশুড়ী মেয়ে জামাই থেকে কখনও শারীরিক খিদমত নিবে না।
শশুর পুত্রবধু থেকে এবং শাশুড়ী মেয়ে জামাই থেকে নিরাপদ দূরত্ব অবলম্বন করবে।
হজরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ এবং আম্মাজান আয়েশা রাঃ পরস্পর কথা বলছিলেন।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে তাদেরকে বললেন, আমি দেখছি তোমাদের দুজনকে কুমন্ত্রণা দেয়ার জন্য শয়তান তোমাদের মাঝখানে অবস্থান করছে।
আমরা অনেক সময় নিজেকে বা নিজের স্ত্রীকে অনেক বড় মুত্তাকী মনে করি, বা মেয়েরা নিজের স্বামীকে অনেক উঁচু স্তরের বুজুর্গ মনে করে।
অনেক সময় নিজের বাবা-মা বা শশুর-শাশুড়ীকেও অনেক বড় মুত্তাকী মনে করে বা দাবী করে।
আমি প্রশ্ন করতে চাই তারা কি হজরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ ও আম্মাজান আয়েশা রাঃ এর চেয়েও বড় মুত্তাকী?
এ জন্য জরুরী হলো মেয়েরা বড় হয়ে গেলে পিতা এবং ছেলে বড় হলে মা অনেক সতর্ক থাকবে। তাদের রুম আলাদা করে দেবে।
মেয়ের বয়স পাঁচ অতিক্রম করলে তাকে স্বামী স্ত্রী আর নিজেদের বিছানায় ঘুমাতে দেবে না।
পুত্রবধূ যত আপন হোক, সে নিজের মেয়ে হয়ে যায় না, মেয়ে জামাই যত আপন হোক নিজের ছেলে হয়ে যায় না।
শরীয়ত বাস্তবতাকে খুব জ্ঞান করে। এ জন্য যে কোন ভয়াবহতার আশঙ্কায় সতর্কতা অবলম্বনকে ওয়াজিব করেছে।
কাজেই এ ধরনের নাজুকতার কথা চিন্তা করে শতভাগ সতর্কতা অবলম্বন জরুরী।
শত শত নফল পড়া আর নফল রোজা রাখার নাম বুজুর্গি নয়। বরং সঠিক ইলমের সাথে শরীয়তের সীমারেখার ভেতর চলার নাম আসল তাকওয়া ও বুজুর্গি।
আমরা যদি নিজের পরিবারে এই সতর্কতার লেহাজ না করি, যদি চিল্লা দিই আর নফল ইবাদত করি না কেন, আমরা দাইয়ুচ এর লিষ্ট থেকে নিজের নাম কাটাতে পারবো না।
আর দাইয়ুচ জান্নাতে তো যাবেই না, জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না। অথচ পাঁচশত বছরের দূরের পথ থেকেও জান্নাতের সুগন্ধ পাওয়া যাবে।
যদি আমরা এই মাসআলা নিজের প্রাপ্তবয়স্ক পরিবারবর্গ, নিজের স্ত্রী, নিজের স্বামীকে না শিখিয়ে থাকি, তাহলে অতিসত্বর তাদের শিখিয়ে দেয়া আমাদের উপর ফরজ।
আমি এখানে এই মাসআলা লিখে দিয়ে আমার ফরজ দায়িত্ব আদায় করলাম।
বর্তমান ফিতনা ও অশ্লীলতার জামানায় পরিপূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করা আকলেরও দাবী।
অনেক সময় সমস্যা হয়ে গেলে মানুষ লজ্জায় তা প্রকাশ করতে পারে না। ফলে ঐ অবস্থায় সংসার চালিয়ে যায়।
এ কারনে মওতের সময় ঈমানহারা হয়ে মারা যায়।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।
সংগৃহীত
এখন অামার প্রশ্ন হল
১ এখানে অাম্মজান অায়েশা এবং উনার পিতাকে নিয়ে যে হাদিস বলা হয়েছে তা কি সত্য
২ হুরমত সম্পকে জানানো কি ফরজ। অার তা হলে এই বিষয়ে এত কম অালোচনা হয় কেন। অামার এক খালাতো ভাই হাফেস সেও এই মাসঅালা টি জানত না।
৩ এখানে যে মর্মে ইমান হারা হওয়ার কথাটি বলা
হয়েছে তা কি সত্য।অার হলে কেন যদি বুঝিয়ে বলতেন