জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
হারাম টাকায় ব্যবসা করাও হারাম।
এথেকে উপার্জিত অর্থও হারাম বলেই বিবেচিত হবে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাংকের আয় এবং ব্যাংক লোন এর টাকা হারাম হওয়ায় সে টাকায় ব্যবসা করাও হারাম।
(ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/৩৪২)
এথেকে উপার্জিত অর্থও হারাম বলেই বিবেচিত হবে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তিনি বিনিয়োগ করলে সেখান থেকে প্রাপ্ত মুনাফা উনার (মামার) জন্য হালাল হবেনা।
সেই লভ্যাংশ এর টাকা আর বিনিয়োগের টাকা কোনোটাই ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
يَاأَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
‘হে মানুষ, যমীনে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ১৬৮]
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। (সূরা আলি ইমরান ১৩০)
হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন হানযালা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
دِرْهَمٌ رِبًا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ زَنْيَةً
জেনে-শুনে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়া আল্লাহর নিকট ৩৬ জন নারীর সাথে ব্যভিচারের চাইতে অধিক গুনাহের কাজ। (মুসনাদে আহমাদ ২১৪৫০)
তবে তার মামা যদি সেই ব্যবসায় শ্রম দেয়,তাহলে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে সে তার শ্রমের বিনিময় হিসেবে উক্ত ব্যবসার লভ্যাংশ নিতে পারবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
নিজের টাকা হালাল হলে ব্যবসায়ীক পার্টনার এর টাকা যদি হারাম হয়,তাহলে এর কারণে পুরা ব্যবসা হারাম হয়ে যাবে না; বরং কেবল হারাম অংশ এবং হারাম অংশ থেকে উপার্জিত অংশ হারাম হয়।
সুতরাং আপনার বন্ধু তার সাথে ব্যবসা করতে পারবে,তবে সতর্কতামূলক এভাবে হারাম টাকা তার ব্যবসায় বিনিয়োগ না করাই উচিত হবে।