উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো বাথরুমে যাওয়ার পূর্বে এবং পরে বিসমিল্লাহ পড়া যাবে।
তবে বাথরুমের ভিতরে কোনো দোয়া ইত্যাদি পড়া যাবেনা।
মনে মনে পড়া যাবে।
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ২/১৮৪)
,
বাথরুমের ভিতর লিখিত আয়াত হাদীস দোয়া নিয়ে যাওয়া নিষেধ সুতরাং বাথরুমে প্রবেশের পর বিসমিল্লাহ বলাও নিষেধ।
তবে প্রবেশের আগে বা পরে বিসমিল্লাহ পড়ার অবকাশ রয়েছে, এতে কোনো সমস্যা নেই।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত "বাইরে থেকে বিসমিল্লাহ বলে অজু শুরু করে বাথরুমে বাকি ওযু সম্পন্ন করা যাবে"।
তবে এক্ষেত্রে বাথরুমে অযু করার বিধান জেনে নিয়ে সে অনুযায়ী আমল করতে হবে।
,
★★বাথরুমে অযু গোসল করার বিধানঃ
বাথরুমে যদি বেশি পরিমাণ পানি ঢালা হয় যার ফলে সেখান থেকে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয় তাহলে এর দ্বারা উক্ত এলাকা পাক হয়ে যাবে।
(আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৩৩)
তখম সেখানে অযু গোসল করা জায়েজ হবে।
যেমন রাসূলুল্লাহ ﷺ জনৈক বেদুঈন এর মাসজিদে পেশাব করার ফলে তাতে পানি ঢালার নির্দেশ দিয়েছিলেন। (বুখারী ২১৯)
পাক হয়ে যাওয়ার পর সেখানে অযু গোসল করতে কোন বাঁধা নেই।
,
★তবে অযু গোসলের জায়গা আলাদা করাই ভালো,এটাই সর্বোচ্চ সতর্কতা।
হাদিস শরিফে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন মুগাফফাল রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي مُسْتَحَمِّهِ ، فَإِنَّ عَامَّةَ الْوَسْوَاسِ مِنْهُ
তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় পেশাব না করে। কেননা, অসওয়াসা সাধারনণতঃ এজন্যই সৃষ্টি হয়। (আবু দাউদ ২৭, তিরমিযী ২১)
তাছাড়া সেখানে মানুষের পেশাব থাকে,যেটা নাজাসাতে গলিযা (কঠোর নাপাক)। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
استنزهوا من البول فإن عامة عذاب القبر منه
তোমরা পেশাবের অপবিত্রতার ব্যাপারে সতর্ক থাক। কারণ অধিকাংশ কবরের আযাব এর কারণে হয়ে থাকে। (দারাকুতনী ৪৭৬)