আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
483 views
in সালাত(Prayer) by (49 points)
reshown by
আমি একাকি এক কাতারে সালাত আদায় সম্পর্কে একটি হাদিস পড়লাম তিরমিজি শরিফের ২৩১ নাম্বার আয়াত

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত ওয়াবিসাহ ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ، أَنَّ رَجُلاً صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُعِيدَ الصَّلاَةَ.
এক ব্যক্তি (জামাতে নামায পড়া অবস্থায়)কাতারের পিছনে একাকী নামায আদায় করেছিল,তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ তাকে পূনরায় নামায দোহড়ানোর আদেশ দিলেন।

মোল্লা আলী কারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
(فَأَمَرَهُ أَنْ يُعِيدَ الصَّلَاةَ) : اسْتِحْبَابًا لِارْتِكَابِهِ الْكَرَاهَةَ، قَالَ الطِّيبِيُّ: إِنَّمَا أَمَرَهُ بِإِعَادَةِ الصَّلَاةِ تَغْلِيظًا وَتَشْدِيدًا.
রাসূলুল্লাহ সাঃ তাকে মুস্তাহাব হিসেবে নামায দোহড়ানোর আদেশ দিয়েছিলেন।কেননা কাতারে একাকী নামায আদায় করা মাকরুহ।অর্থাৎ নামায তো আদায় হবে।তবে মাকরুহে তানযিহি হবে।
ইমাম তিবি রাহ বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ এজন্য নামাযকে দোহড়ানোর আদেশ দিয়েছিলেন,যাতেকরে লোকদের অন্তরে কাতারের পিছনে একাকী নামায পড়া সম্পর্কে ভয় ঢুকে যায়।যাতেকরে তারা আর কখনো এমনটা না করে।নামায যে হয়নি, সে হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাঃ আদেশ দেননি।(মিরকাতুল মাফাতিহ-১১০৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,060 points)
+1
জ্বী,আপনার নামায আদায় হয়ে যাবে,তখন যেহেতু আপনি একাই।তাই আপনি মজবুর।সুতরাং এমতাবস্থায় আপনার নামায মাকরুহ হবে না।জাযাকুমুল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 203 views
...