ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1334 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
শরীয়ত যে সমস্ত উদ্দেশ্যে কুকুর লালন-পালনের আদেশ দিয়েছে সে সমস্ত উদ্দেশ্যে কুকুর লালন-পালন করলে ফেরেস্তা বাধাপ্রাপ্ত হবে না।অর্থাৎ ফেরেস্তা প্রবেশ করবেন।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻃَﻠْﺤَﺔَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻋَﻦْ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ:( ﻟَﺎ ﺗَﺪْﺧُﻞُ ﺍﻟْﻤَﻠَﺎﺋِﻜَﺔُ ﺑَﻴْﺘًﺎ ﻓِﻴﻪِ ﻛَﻠْﺐٌ ﻭَﻟَﺎ ﺻُﻮﺭَﺓٌ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ঘরে কুকুর বা ফটো থাকবে, সে ঘরে ফেরেস্তা প্রবেশ করবেন না।(সহীহ বুখারী-৩৩২২,সহীহ মুসলিম-২১০৬)
ঐ কুকুর ঘরে থাকলে ফেরেস্তা প্রবেশ করেন না, যে কুকুরকে লালন-পালনের অনুমোদন শরীয়ত দেয় নাই। আর যে কুকুর কে লালন-পালনের অনুমোদন শরীয়ত দিয়েছে,সে কুকুর ঘরে থাকলে ফেরেস্তা প্রবেশ করেন।
(তরহুত-তাসরিব-৬/৩৫)
কোন কোন উদ্দেশ্যে কুকুর লালন-পালন করার অনুমোদন রয়েছে- এ সম্পর্কে একটি হাদীস শুনুন-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋَﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ( ﻣَﻦْ ﺍﻗْﺘَﻨَﻰ ﻛَﻠْﺒًﺎ ، ﻟَﻴْﺲَ ﺑِﻜَﻠْﺐِ ﺻَﻴْﺪٍ ﻭَﻻ ﻣَﺎﺷِﻴَﺔٍ ﻭَﻻ ﺃَﺭْﺽٍ : ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻳَﻨْﻘُﺺُ ﻣِﻦْ ﺃَﺟْﺮِﻩِ ﻗِﻴﺮَﺍﻃَﺎﻥِ ﻛُﻞَّ ﻳَﻮْﻡٍ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি শিকারের কুকুর বা ক্ষেত পাহাড়ার কুকুর বা পশু পাহাড়ার কুকুর ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কুকুর লালন পালন করবে, তার আ'মল নামা থেকে দৈনিক দুই ক্বিরাত করে সওয়াব কর্তিত হবে।(সহীহ মুসলিম-২৯৭৪)
(২)
জ্বী, কুকুরকে যত্নসহকারে লালন পালন করার জন্য আপনি অবশ্যই সওয়াব পাবেন।
(৩)
আল্লাহ চাইলে হয়তো দিতে পারেন।তবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু নেই।
(৪)
অনুমানের ভিত্তিতেই উমরি কাযা নামাযের কাযা করতে হবে।
(৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4516
(৬)
জ্বী, জেনারেল শিক্ষার্থীরা দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার নিমিত্তে তারা যদি জেনারেল শিক্ষাকে অর্জন করে থাকে, তাহলে এর জন্য অবশ্যই ঐ শিক্ষার্থী সওয়াব পাবে।