ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামের জন্য বাবা মায়ের প্রতি ঘৃণা করা কখনো জায়েয হবে না।হ্যা বর্ণিত পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনি জন্মনিবন্ধন ও আইডি কার্ডের নামে পরিচয় দিবেন। দূরে কোথাও গিয়ে নাম পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। বরং যে নাম সরকারি ভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে, সেই নামের মধ্য শিরিক বা অমুসলিম জাতীয় নাম হলেই হল।
(২)
জ্বী, দু'রাকাতি নামাযের উভয় রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে সূরায়ে ইখলাছ পড়া যাবে।তবে ইচ্ছাকৃত এভাবে না পড়ে বরং ভিন্ন ভিন্ন রা'কাতে ভিন্ন ভিন্ন সূরা পড়াই উত্তম।
(৩)
কোনো নেককার ব্যক্তির সোহবতে থেকে উনার সাথে নফল ইবাদতে দীর্ঘ সময় লিপ্ত থাকলেই নামাযের স্বাদ বুঝা যাবে।
(৪)
যেই ব্যক্তি জিহাদ করে শহীদ হবে, তাকে অনেক পুরুস্কার দেয়া হবে, এর মধ্যে বড় পুরুস্কার হল, তাকে সাথে সাথে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। শুধুমাত্র ঋণ থাকলে সে জিজ্ঞাসিত হবে। জেনে রাখবেন,মাতাপিতার নাফরমানি কবিরা গোনাহ। আল্লাহই ভালো জানেন, ঐ শহীদের সাথে কিরূপ ব্যবহার করবেন।
(৫)
যদি তাকে খুজে পাওয়া না যায়, তাহলে তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।এবং নিজের জন্যও ক্ষমা চাইতে হবে। সম্ভব হলে, তার নামে কিছুটা সদকাহ করে দেওয়া উত্তম।