আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
closed by
অস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১। বোর্ড পরীক্ষায় অনেক সময় ক্লাসের গার্ডে থাকা টিচার স্টুডেন্টদের বলে দেয় সবাই যেন আস্তে কথা বলে দেখাদেখি করে।এমনকি কেউ দেখাত না চাইলে অন্য স্টুডেন্ট টিচারকে বললে টিচার অনেক সময় দেখাতে নির্দেশ করে।এমতাবস্থায় দেখাদেখি করা কি জায়েজ হবে?

২। ক্লাস এর ফার্স্ট গার্ল হওয়ায় বোর্ড পরীক্ষায় অনেক সময় টিচাররা এসে প্রশ্নে উত্তর লিখে দিতে বলে এবং পরে তা ক্লাসে দিয়ে দেয় দেখে লেখার জন্য।কোনোভাবে এড়াতে না পারলে এই প্রশ্নে লিখে দেওয়া কি আমার জন্য জায়েজ হবে?

৩।ক্লাসে টিচাররা পড়া ধরার সময় ক্লাসের অন্য স্টুডেন্টরা পাশ থেকে উত্তর বলে দেয়।এটা কি জায়েজ?

৪।আমার এজমা থাকায় টিকাদাতা বলেছে এজমা থাকা অবস্থায় টিকা দেওয়া যাবে না।এখন টিকা কার্ড ছাড়া যদি বোর্ড পরীক্ষা দিতে না দেয় তাহলে কি আমি নকল টিকা কার্ড ব্যবহার করতে পারব?
closed
by (18 points)
৫।দোকান থেকে কেনা অনেক পণ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে জা mushbooh অর্থাৎ হালাল হারাম উভয় উৎস থেকেই নেওয়া হয়ে থাকতে পারে ।আর সব উপকরণ হালাল পেলে বা দুই তিনটা mushbooh উপকরণ পেলে তা কি খাওয়া যাবে? যদি mushbooh উপকরণ ও থাকে এবং হালাল ট্যাগ দেওয়া থাকে তাহলে কি তা খাওয়া যাবে?
by (682,400 points)
(০৫)
এমনটি হলে সন্দেহজনক হওয়ায় তাহা এড়িয়ে চলবেন। 

1 Answer

0 votes
by (682,400 points)
edited by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


অন্যের খাতা দেখে পরীক্ষা দেওয়া শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। 

কারণ পরীক্ষা হল মেধা যাচাইয়ের স্থান। আর মেধা নির্ণিত হবে প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আলাদাভাবে। 
,
সুতরাং যার যে মেধা সেটি সত্যিকার যাচাই হবে যদি তার নিজস্ব মুখস্ত ও যোগ্যতা থেকে উত্তর প্রদান করে। 
,
কিন্তু কারো কাছ থেকে  জিজ্ঞাসা করে লিখলে বা দেখে লিখলে সেক্ষেত্রে ধোঁকার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। কারণ সে যা জানে না। তাও সে জানে বলে প্রকাশ করছে।
,
ফলে পরীক্ষক খাতা দেখে ভাববে উক্ত ছাত্রটি আসলে মেধাবী। কিন্তু আসলেতো মেধাবী নয়।  এ ধোঁকাবাজীর কারণে উক্ত পদ্ধতিটি জায়েজ নয়।

তাছাড়া পরীক্ষার্থীকে এ শর্তে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করানো হয় যে, সে কারো কাছ থেকে দেখে বা বলে লিখবে না। এবং সে কাউকে কোন কিছু দেখাবে না এবং বলেও দিবে না। এ শর্ত সাপেক্ষে পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীকে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। এ জায়েজ শর্ত পালন করা উক্ত পরীক্ষার্থীর উপর আবশ্যক। 
,
কিন্তু খাতা দেখানো, বা নিজে দেখে লেখা, কিংবা বলে দেয়া বা বলে নেয়ার মাধ্যমে উক্ত শর্তটি লঙ্ঘিত করা হয়। যা জায়েজ হবে না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ     

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
এমতাবস্থায় দেখাদেখি করা জায়েজ হবেনা।
এখানে গার্ডে থাকা টিচারদেরও গুনাহ হবে।

(০২)
জায়েজ হবেনা।
এতে গুনাহের সহযোগিতা করা হবে,যাহা জায়েজ নেই।
 
(০৩)
এটিও জায়েজ নয়।

(০৪)
নকল টিকা কার্ড ব্যবহার করা সরকারের পক্ষ থেকে আইনত নিষিদ্ধ। 
তাই এটিকে ইসলাম বৈধতা দেয়না।

আপনি বিষয়টি নিয়ে এই বিষয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।     
যদি আসলেই অভিজ্ঞ ডাক্তারগন আপনার জন্য টিকা নেয়া মারাত্মক ক্ষতি বা অসুস্থতা মারাত্মক ভাবে বেড়ে যাওয়ার শংকা বোধ করেন,তাহলে আপনি ইস্তেগফার পাঠের সহিত প্রশ্নে উল্লেখিত পন্থা অবলম্বন করতে পারেন।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...