আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
reshown by
১/ক্লাসে অনেক্ সময় একজনকে পড়া ধরলে পাশ থেকে আরেকজন উত্তর বলে দেয়।এটা কি জায়েজ?

২/ক্লাস টেস্ট বা সাধারণ কোনো পরীক্ষা নিলে এতে দেখাদখি করলে কি গুনাহ হবে?

৩/আমার শ্বাসকষ্ট এর সমস্যা থাকার কারণে টিকাদাতা বলেছে শ্বাসকষ্ট থাকলে টিকা দেওয়া যাবে না(এতে শূকরের চর্বি থাকায় আমিও দিতে ইচ্ছুক নই ) আমার শ্বাসকষ্ট  কমবেশি সারা বছর ধরেই থাকে।এখন আশঙ্কা করছি টিকা কার্ড ছাড়া ssc পরীক্ষা দিতে যদি বাধা দেয়। এক্ষেত্রে আমার জন্য টিকা না দিয়েও টিকা কার্ড ব্যবহার করা জায়েয হবে কি?

৪/পরীক্ষায় অন্যরা একজন অপর জনকে বলে দেওয়ার সময় তা যদি আমার কানে আসে যেটা  আমার মনে নেই তবে চেষ্টা করলে মনে পরতে পারে এমতবস্থায় আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এটি ধোকার অন্তর্ভুক্ত বিধায় তাহা জায়েজ নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ     

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

(০২)
ক্লাস টেস্ট বা সাধারণ কোনো পরীক্ষাতেও দেখাদখি করলে গুনাহ হবে।
কেননা এগুলো সবই ধোকা দেওয়ার অন্তর্ভুক্ত।  

আরো জানুনঃ 

(০৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনাকে যদি এ সংক্রান্ত কোনো  অভিজ্ঞ ডাক্তার টিকা নিতে স্পষ্ট  নিষেধ করে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি টিকা নিবেননা।
সেই ছুরতে আপনার জন্য টিকা না নিয়েও টিকা কার্ড ব্যবহার করা জায়েজ হবে।

(০৪)
যেহেতু আপনার অনিচ্ছায় এটি আপনার কানে এসেছে,সুতরাং এতে আপনার কোনো  সমস্যা হবেনা।
গুনাহ হবেনা।
হ্যাঁ যদি  আপনি ইচ্ছাকরেই তাহা শোনেন,বা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করে ,তাহলে সেই ছুরতে আপনার গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...