ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ اِذَا قُرِیٴَ الۡقُرۡاٰنُ فَاسۡتَمِعُوۡا لَہٗ وَ اَنۡصِتُوۡا لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ ﴿۲۰۴﴾
আর যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন তোমরা মনোযোগের সাথে তা শুন এবং নিশ্চুপ হয়ে থাক যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয়।
(সুরা আল আ'রাফ ২০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا وَإِذَا قَالَ (غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ) فَقُولُوا آمِينَ وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ . فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعِينَ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অনুসরণ করার জন্যই তো ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন তাকবীর বলেন, তোমরাও তাকবীর বলো। যখন তিনি কিরাআত পড়েন তখন তোমরা নীরব থাকো। যখন তিনি গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম ওয়ালায-যুআলীন বলেন, তখন তোমরা আমীন বলো। যখন তিনি রুকূ করেন, তখন তোমরাও রুকূ করো। আর যখন তিনি সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলেন, তখন তোমরা আল্লাহুম্মা রাববানা ওয়ালাকাল হামদ বলো। যখন তিনি সাজদাহ করেন, তখন তোমরাও সাজদাহ করো। তিনি বসা অবস্থায় সালাত পড়লে তোমরাও সকলে বসা অবস্থায় সালাত পড়ো।
(বুখারী ৭২২, ৭৩৪; মুসলিম ৪১৪-১৭, নাসায়ী ৯২১-২২, আবূ দাঊদ ৬০৩, আহমাদ ৭১০৪, ৮২৯৭, ৮৬৭২, ৯০৭৪, ৯১৫১, ২৭২০৯, ২৭২১৫, ২৭২৭৩, ২৭৩৮৩; দারিমী ১৩১১, মাজাহ ৯৬০, ১২৩৯।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ইমামের ইক্তেদা রত অবস্থায় নামাজের মধ্যে ছানা পড়া অবস্থায় ইমাম সাহেব যদি কিরাআত পাঠ করা শুরু করে দেয়,তাহলে মুক্তাদী চুপ হয়ে যাবে।
এবং যতটুকু ছানা পাঠ করেছে,ততটুকুর উপর ক্ষান্ত করে ইমামের কিরা'আত শুনবে।
(০২)
হ্যাঁ হবে।
তবে সেই গুনাহ গুলো ছেড়ে দিতে হবে,আল্লাহর কাছে উক্ত গুনাহের প্রতি লজ্জিত অনুতপ্ত হয়ে দোয়া করতে হবে ,আগামীতে না করার উপর ওয়াদাবদ্ধ হতে হবে।
(০৩)
না,অন্য আলাদা ফেরেশতা থাকেনা।
(০৪)
না,করা যাবেনা।
তবে যারা প্রতি মাসে এসব রোযা রাখেন,আশা করা যায় যে তারা এমনিতেই এসব রোযারও ছওয়াব পাবেন।
তবে সেগুলির নিয়ত করা যাবেনা।
(০৫)
এটি স্পষ্ট সূদ।
(০৬)
যদি ইমামের আওয়াজ শোনা যায়,তাহলে ইমামেরই অনুসরণ করবেন
(০৭)
এটি সঠিক।
এভাবে অনুপস্থিত ব্যাক্তির নিকটে উকিলের মাধ্যেম সালাম পৌছে দেয়ার প্রচলন ইসলামে রয়েছে।
(০৮)
এটি সঠিক।
তবে এটিকে আবশ্যকীয় পন্থা বা শরীয়তের অংশ মনে করবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৯)
আলাদা আলাদা থাকবে।
মিলিয়ে নয়।