উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছে
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: وَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ، وَكُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, প্রতিটি মাতাল করে দেয়া বস্তুই মদ। আর প্রতিটি মদই হারাম। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২০০৩, ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৩৯০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৪৮৩০]
বিড়ি সিগারেট যেহেতু ব্যক্তিকে মাতাল করে না। আর তা মাতাল হবার জন্য খাওয়া হয় না। সেই সাথে এতে এমন কোন পরিমাণ বস্তুও নেই যে, যা সেবন করলে ব্যক্তি মাতাল হয়ে পড়বে।
তাই সিগারেট খাওয়া হারাম নয়। বরং তা মাকরূহ।দুর্গন্ধ এবং ক্ষতিকর হবার কারণে।
,
শরীয়তের বিধান হলো সিগারেট বিক্রি করা যাবে,এই ব্যাবসা জায়েজ আছে । এবং এর বিক্রির টাকাও হালাল হবে। তবে এহেন ব্যাবসা না করাই উত্তম।[ফাতাওয়া উসমানী-৩/৮৮-৮৯]
দারুলউলুম দেওবন্দ এর ফতোয়া বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশিত 22331 নং ফতোয়া তে বলা হয়েছে যে সিগারেট বিক্রয় করা জায়েজ আছে,তবে ভালো (আচ্ছা) নয়।
সিগারেট এর ব্যাবসা মাকরুহ।
(ফাতাওয়ায়ে ফরিদিয়্যাহ ৭/৫১)
চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় এ কথা প্রমানিত যে, ধুমপানকারীর প্রতিবেশী শারীরিকভাবে সমান ক্ষতিগ্রস্হ হন যতটা ধুমপানকারীর নিজের হয়ে থাকে। তাছাড়া ধুমপানের কারণে মানুষের মুখ দুর্গন্ধযুক্ত থাকে। ফলে তা অনেকের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই বিড়ি, সিগারেট খাওয়া শরীয়তের দৃষ্টিতে মাকরুহে হবে। এসব দ্রব্যে মানুষের শারীরিক ক্ষতি থাকার কারণে এগুলোর ব্যবসা করাও মাকরুহ হবে।
তবে মুফতি তাকী উসমানী দা. বা. সিগারেট বিক্রির ব্যাপারে লিখেছেন, সিগারেট বিক্রি করা যাবে এবং এর বিক্রির টাকাও হালাল হবে, তবে তাকওয়া হলো না করা, তাই না করাই উত্তম।
,
وَصَحَّ بَيْعُ غَيْرِ الْخَمْرِ) مِمَّا مَرَّ، وَمُفَادُهُ صِحَّةُ بَيْعِ الْحَشِيشَةِ (رد المحتار، كتاب الأشربة-10/35)
وَبِالْجُمْلَةِ إنْ ثَبَتَ فِي هَذَا الدُّخَانِ إضْرَارٌ صِرْفٌ خَالٍ عَنْ الْمَنَافِعِ فَيَجُوزُ الْإِفْتَاءُ بِتَحْرِيمِهِ وَإِنْ لَمْ يَثْبُتْ انْتِفَاعُهُ فَالْأَصْلُ حِلُّهُ مَعَ أَنَّ فِي الْإِفْتَاءِ بِحِلِّهِ دَفْعَ الْحَرَجِ عَنْ الْمُسْلِمِينَ فَإِنَّ أَكْثَرَهُمْ مُبْتَلُونَ بِتَنَاوُلِهِ مَعَ أَنَّ تَحْلِيلَهُ أَيْسَرُ مِنْ تَحْرِيمِهِ وَمَا خُيِّرَ رَسُولُ اللَّهِ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – بَيْنَ أَمْرَيْنِ إلَّا اخْتَارَ أَيْسَرَهُمَا (العقود الدرية في تنقيح الفتاوى الحامدية، مَسَائِلُ وَفَوَائِدُ شَتَّى مِنْ الْحَظْرِ وَالْإِبَاحَةِ وَغَيْرِ ذَلِكَ، مَسْأَلَةٌ أَفْتَى أَئِمَّةٌ أَعْلَامٌ بِتَحْرِيمِ شُرْبِ الدُّخَانِ-2/332
যার সারমর্ম হলোঃ মদ ব্যাতিত অন্যান্য সব কিছুর ব্যবসা জায়েজ আছে।
و فی بدائع الصنائع :و یجوزبیعھا عند ابی حنیفۃ رحمہ اللہ تعالیٰ مع الکراہۃ۔
(بدائع الصنائع ۴:۲۸۱کتاب الاشربۃ)
আবু হানিফা রহঃ এর নিকটে ইহার বিক্রয় জায়েজ আছে,তবে মাকরুহ।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত "মেয়ের বাবা যদি সিগারেটের ডিলার হয়,সেক্ষেত্রে এমন মেয়েকে বিবাহ করতে শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে কোনো অসুবিধা নেই।
জায়েজ আছে।
এবং বিবাহ পরবর্তী জীবনে মেয়ের বাড়ি থেকে যদি কোন হাদিয়া আসে সেক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা নেই।