আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমার স্ত্রীর হায়েজ নিয়মিত এবং প্রতিমাসে হায়েজ ১০ দিন থাকে। এই মাসে তার ৩ তারিখে নিয়ম অনুযায়ী হায়েজ হয়েছে। আমার স্ত্রীকে এইমাসে গাইনেকোলজি ডাক্তার দেখাই এবং ডাক্তার তাকে কিছু হরমোন জনিত সমস্যার কারনে ঔষধ দেই যা তার ২১ দিন খাওয়ার কথা, কিন্তু আমার স্ত্রী ওই ঔষধ ১৪ দিন খাওয়ার পর ভুলবশত টানা ৩-৪ দিন খেতে ভুলে যায় যার কারনে তার আবার হায়েজ শুরু হয় যা কালো বিল্ডিং এর মত ঠিক হায়েজ এর শেষের দিকে যেমনটা যায়। ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করার পর ডাক্তার বললো ঔষধ বাদ দেওয়ার কারনে তার মাসিক চলে এসেছে।

এমতাবস্থায় এটাকে কি হায়েজ ধরবে নাকি ইস্তেহাযা ধরে নামায রোজা করবে?

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
,
★ উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতে হবে।
হায়েজ শেষ হওয়ার পরদিন থেকে পনেরো দিন গণনা করা হবে।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে।
নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মাসের শুরুতে যে হায়েজ এসেছিলো,এটি যেদিন বন্ধ হয়েছিলো,তার ১৫ দিন পর ১৬ তম দিন হতে যেই রক্ত আসবে,সেটাকে হায়েজ বলা হবে।
নামাজ রোযা বন্ধ করতে হবে।

হায়েজ শেষ হওয়ার পনেরো দিনের আগেই কোনো রক্ত আসলে সেটিকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতার রক্ত ধরা হবে।
,
এতে নামাজ আদায় করতে হবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি তিন তারিখে হায়েজ শেষ হয়ে থাকে,তাহলে তার আবার যেহেতু উক্ত স্রাব এসেছে,তাই সে হায়েজ শেষ হওয়ার ১৬ তম দিন তথা  ১৯ তারিখ থেকে আবারো হায়েজ ধরবে।
নামাজ রোযা বন্ধ রাখবে।
(এ সময়ে যদি প্রশ্নে উল্লেখিত স্রাব আসে তবে হায়েজ ধরবে,আর যদি না আসে,তাহলে তো সে পবিত্রই আছে।) 

তবে ১৯ তারিখের আগে যেই স্রাব আসবে,সেটিকে হায়েজ ধরবেনা,ইস্তেহাজা ধরে নামাজ রোযা চালিয়ে যাবে।  

আরো জানুনঃ   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 147 views
0 votes
1 answer 173 views
...