আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
279 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (51 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।স্ত্রী যদি বলে স্বামিকে আমি তুমাকে আর বিশ্বাস করব না কোনদিন ও।স্বামী যদি বলে বিশ্বাস ছাড়া কোন সম্পর্ক টিকে না,সুখ থাকে না।বিশ্বাস না করলে থাকিও না,চলে যাও।এসব কথা যদি  স্বামী অভিমান করে বলে  বা তালাকের নিয়তে না বলে তাহলে কি তালাক হবে?

২।কোন স্ত্রী যদি রাগ করে স্বামীকে বলে এবার প্রেম করব অন্য জনের সাথে,বিয়ে করব ইত্যাদি ইত্যাদি। স্বামীও যদি বলে কর গা,আমি তাই আছি যে কেউ থাকবে না।এসব কথা  যদি স্বামি তালাকের নিয়তে না বলে তাহলে কি তালাক হবে? আর স্ত্রীও যদি নিজের দিকে ইন্গিত না করে বলে তাহলে কি তালাক হবে?

৩।শায়েখ কোন স্ত্রীকে তার স্বামী তালাকের অধিকার  দিলে স্ত্রী যদি রাগ করে বলে "আমি তুমার বউ নই,একদম কথা বলবা না বা বউ ডাকবা না"। বউ যদি নিজের দিকে  ইন্গিত না করে এসব বলে তাহলে কি তালাক হবে?আর স্বামী যদি বলে ঠিক আছে তাহলে?  আসলে আমি জানার জন্য প্রশ্নটা করেছি।

৪।কোন স্ত্রী যাকে  স্বামী তালাকের অধিকার  দিয়েছে।সে যদি রাগ করে স্বামীকে bye, কথা বলবে না একদম, মেসেজ দিবা নাএসব বলে তাহলে কি তালাক হবে?কথা গুলো মেসেজে বা মুখে বললে কি সমস্যা হবে?

৫।আমি ৩ মাস আগে শপথ করে বলেছিলাম আমার বোরকা বোনকে পড়তে দিব না।অনেক রেগে গিয়ে বলেছিলাম।ওর উপর প্রচন্ড রেগে ছিলাম।আর কি কি বলেছি আমার মনে নেই।আমার খুব ভয় হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছ কোন এরকম বলেছি কিনা শপথ করে " পড়তে দিলে মুসলমান থাকব না"।জানি না আমি বলেছি কিনা।বোনকেও জিগ্যেস করেছি ও বলেছে ওর মনে নেই আমি কি কি বলেছিলাম।আম্মুর বোরকা আমাকে পড়তে দিয়েছিল।পুরাতন হয়ে গেছে আমি পড়ি না। বোন পড়তেছে।আমার শপথের কথা মনে ছিল না।হঠাৎ মনে পড়ায় আমি ওকে বারন করেছি না পড়ার জন্য।বলেছি দরকার পরলে আমি কিনে দিব তবু আমার বোরকা পরবি না।আমার সব জামা পরলেও আমার কোন বোরকা পরবি না।আমি বার বার বারন করার পর ও বোন আমার বোরকা মানে মা যা  দিছে আমাকে বোরকা সেইগুলো পরে যায়।এতে কি আমার শপথ ভেন্গে যাবে?শায়েখ  আমার ভয়  হচ্ছে আমি কি মুসলিম থাকব না?আমি বিবাহিত।আর এই প্রশ্নটা করায় আমার ঈমানের কি কোন ক্ষতি হবে শায়েখ?

৬।কেউ নামাজরত অবস্হায় মনে মনে আল্লাহর সাথে কথা বললে মানে কান্নাকরে মনে মনে বুঝালে সেখানে মনে মনে তালাকের কথা চিন্তায় আসলে বা মনে মনে বললে কি তালাক হয়?

৭।কোন স্ত্রীকে যদি তার স্বামী তুই তাই করে বলে।স্ত্রীও যদি রাগ করে বলে এমন স্বামীর সাথে থাকব না বা চাই না যে কোন ধরনের সম্মান করতে পারে না,চলে যাব।স্বামীও যদি বলে থাকিস না,যা গা।এসব কথায়,স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
স্ত্রী যদি বলে স্বামিকে আমি তুমাকে আর বিশ্বাস করব না কোনদিন ও।স্বামী যদি বলে বিশ্বাস ছাড়া কোন সম্পর্ক টিকে না,সুখ থাকে না।বিশ্বাস না করলে থাকিও না,চলে যাও।এসব কথা যদি স্বামী অভিমান করে বলে  বা তালাকের নিয়তে না বলে, তাহলে তালাক হবে না।

(২)
কোন স্ত্রী যদি রাগ করে স্বামীকে বলে এবার প্রেম করব অন্য জনের সাথে,বিয়ে করব ইত্যাদি ইত্যাদি। স্বামীও যদি বলে কর গা,আমি তাই আছি যে কেউ থাকবে না।এসব কথা  যদি স্বামি তালাকের নিয়তে না বলে তাহলে তালাক হবে না। আর স্ত্রীও যদি নিজের দিকে ইন্গিত না করে বলে তাহলেও তালাক হবে না।

(৩)
শায়েখ কোন স্ত্রীকে তার স্বামী তালাকের অধিকার দিলে স্ত্রী যদি রাগ করে বলে "আমি তুমার বউ নই, একদম কথা বলবা না বা বউ ডাকবা না"। বউ যদি নিজের দিকে  ইন্গিত না করে এসব বলে, তাহলে  তালাক হবে না। আর স্বামী যদি বলে ঠিক আছে তাহলেও তালাক হবে না।

(৪)
কোন স্ত্রী যাকে স্বামী তালাকের অধিকার দিয়েছে। সে যদি রাগ করে স্বামীকে bye, কথা বলবে না একদম, মেসেজ দিবা না, এসব বলে তাহলেও তালাক হবেনা।কথা গুলো মেসেজে বা মুখে, যেভাবেই বলা হোক, কোনো সমস্যা হবে না।

(৫)
আপনি যদি আল্লাহর নামে কসম করে বলে থাকেন, তাহলে এখন কাফফারা দিবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/102

(৬)
কেউ নামাজরত অবস্হায় মনে মনে আল্লাহর সাথে কথা বললে মানে কান্নাকরে মনে মনে বুঝালে সেখানে মনে মনে তালাকের কথা চিন্তায় আসলে বা মনে মনে বললেও তালাক হবে না।

(৭)
কোন স্ত্রীকে যদি তার স্বামী তুই তাই করে বলে।স্ত্রীও যদি রাগ করে বলে এমন স্বামীর সাথে থাকব না বা চাই না, যে কোন ধরনের সম্মান করতে পারে না, চলে যাব।স্বামীও যদি বলে থাকিস না, যা গা।এসব কথায়,স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...