ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
স্ত্রী যদি বলে স্বামিকে আমি তুমাকে আর বিশ্বাস করব না কোনদিন ও।স্বামী যদি বলে বিশ্বাস ছাড়া কোন সম্পর্ক টিকে না,সুখ থাকে না।বিশ্বাস না করলে থাকিও না,চলে যাও।এসব কথা যদি স্বামী অভিমান করে বলে বা তালাকের নিয়তে না বলে, তাহলে তালাক হবে না।
(২)
কোন স্ত্রী যদি রাগ করে স্বামীকে বলে এবার প্রেম করব অন্য জনের সাথে,বিয়ে করব ইত্যাদি ইত্যাদি। স্বামীও যদি বলে কর গা,আমি তাই আছি যে কেউ থাকবে না।এসব কথা যদি স্বামি তালাকের নিয়তে না বলে তাহলে তালাক হবে না। আর স্ত্রীও যদি নিজের দিকে ইন্গিত না করে বলে তাহলেও তালাক হবে না।
(৩)
শায়েখ কোন স্ত্রীকে তার স্বামী তালাকের অধিকার দিলে স্ত্রী যদি রাগ করে বলে "আমি তুমার বউ নই, একদম কথা বলবা না বা বউ ডাকবা না"। বউ যদি নিজের দিকে ইন্গিত না করে এসব বলে, তাহলে তালাক হবে না। আর স্বামী যদি বলে ঠিক আছে তাহলেও তালাক হবে না।
(৪)
কোন স্ত্রী যাকে স্বামী তালাকের অধিকার দিয়েছে। সে যদি রাগ করে স্বামীকে bye, কথা বলবে না একদম, মেসেজ দিবা না, এসব বলে তাহলেও তালাক হবেনা।কথা গুলো মেসেজে বা মুখে, যেভাবেই বলা হোক, কোনো সমস্যা হবে না।
(৫)
আপনি যদি আল্লাহর নামে কসম করে বলে থাকেন, তাহলে এখন কাফফারা দিবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/102
(৬)
কেউ নামাজরত অবস্হায় মনে মনে আল্লাহর সাথে কথা বললে মানে কান্নাকরে মনে মনে বুঝালে সেখানে মনে মনে তালাকের কথা চিন্তায় আসলে বা মনে মনে বললেও তালাক হবে না।
(৭)
কোন স্ত্রীকে যদি তার স্বামী তুই তাই করে বলে।স্ত্রীও যদি রাগ করে বলে এমন স্বামীর সাথে থাকব না বা চাই না, যে কোন ধরনের সম্মান করতে পারে না, চলে যাব।স্বামীও যদি বলে থাকিস না, যা গা।এসব কথায়,স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক হবে না।