আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
213 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (0 points)

১)আল্লাহ তা'য়ালা নিজে কুরআন সংরক্ষণের কথা বলেন।নবিজী(স) নিজে কুরআনের প্রতিটি আয়াতের   ব্যাখ্যা করেছেন সাহাবিদের সামনে।তাহলে কুরআনের তাফসীরে, ব্যাখ্যায় মতপার্থক্য দেখা যায় কেনো? 

২)অনেকেই "বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম" কে আয়াত হিসেবে বিবেচনা করে,অনেকেই করেনা।কিন্তু কেনো এই ভিন্নতা?নবি(স) কি সুস্পষ্টভাবে বলে যান নি এইটা আয়াত কিনা?

এই বিষয়টা আমার বুঝে আসতেছে না।বিস্তারিত বর্ণনা করবেন।   

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلَّا مِلَّةً وَاحِدَةً ، قَالُوا : وَمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ؟ قَالَ : مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي ) 
উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে
তিরমিযি-২৬৪১

কুরআন আল্লাহর শ্বাসত বানী।চিরন্তন সত্যবাণী।এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নাই।আল্লাহ কুরআনকে সর্দা সংরক্ষণ করবেন।

কুরআনে অাল্লাহ নিজেই বলেছেন,কুরআনের আয়াত দুই প্রকার।কিছু আয়াত যার অর্থ সুস্পষ্ট। আর কিছুর অর্থ অস্পষ্ট। মূলত মুফাস্সিরীনে কেরামগণ এই অস্পষ্ট আয়াতের ব্যখ্যা করতে যেয়ে মতবিরোধ করেন।মতবিরোধ মূলত ভিন্ন ধারার হাদীস থাকার কারণে।হাদীসের রাবীর ধরুণ হাদীসে মতপার্থক্য হয়েছে।পরবর্তীতে ইহুদিরা কিছু জাল হাদীস শরীয়তে ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলো।যার কারণে পরবর্তীতে মুহাদ্দিসগণ সহীহ যঈফ হাদীস নির্ধারণে অনেক বেগ পেয়েছেন।


রাসূলুল্লাহ বিসমিল্লাহ সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলেছেন কি না?সেটা তো আমরা জানবো সাহাবিদের মাধ্যমে।রাসূলুল্লাহ এর কথার সারমর্ম নির্ধারণ করতে  সাহাবীদের মধ্যেও মতবিরোধ হয়েছে। তাদের কেউ কেউ বলেছেন,বিসমিল্লাহ ফাতেহার অংশ আর কেউ কেউ বলেন,ফাতেহার অংশ নয়,বরং দুই সূরার মধ্যখানে পৃথকতা সৃষ্টির জন্য আনা হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...