আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
১)কোন মানুষ আমার প্রতি দয়া মায়া দেখালে যদি আমার ভালো লাগে তবে কি শিরক হবে??


২)কেউ যদি তার গার্লফ্রেন্ড কে বলে,"অন্য কারও সাথে তোমার যোগাযোগ হইলে আমার ভালো লাগে না।মনে হয় আমার পছন্দের খেলনা কেউ নিয়ে নিছে।আর কথা বলবা না অন্য কারও সাথে।"


তবে কি শিরক হবে??


৩)ধরুন,আমার কোন ফাতওয়া জানা লাগবে।ফাতওয়া না জানা পযন্ত আমার দুনিয়াবি সমস্যা হচ্ছে।


এখন আমি মনে করলাম যে অমুক মুফতির কাছ থেকে আমাকে ফাতওয়া জানতে হবে।

উনার কাছ থেকে ফাতওয়া নেওয়া ছাড়া আমি এ বিপদ থেকে মুক্তি পাব না।

মানে আমি উনাকে রক্ষাকর্তা হিসেবে মনে করলাম।

মানে কোন মানুষের উপর যেরকম ভরসা করলে শিরক হয়,সেরকম ভাবে ভরসা করলাম।

এরপর মনে হইল যে এটা শিরক হচ্ছে।

তখন আমি ভাব্লাম যে ফাতওয়া জেনে নেই আগে।তারপর তাওবা করে নিব নি।

এরপর ফাতওয়া জানলাম।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে,এখন আমি তাওবা করলেই চলবে??


তাওবা করার পর আমি কি ওই ফাতওয়া অনুযায়ী আমল করতে পারব।(উনার ফাতওয়া সঠিক আছে)


৪)কিছুদিন আগে আমি এমন একটা অবস্থায় পড়েছিলাম যখন পরাশুনা না ছাড়লে শিরক হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আমি আব্বু আম্মুকে সন্তুষ্ট করার জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এখন ওই সমস্যা কি ছিল আমি ভুলে গেছি।
এখন যদি আমি তওবা করে ফেলি আর আল্লাহর রুবিয়া,উলুহিয়া এবং গুণবাচক নাম গুলোর উপর ইমান নিয়ে আসি তবে কি আমি আব্বু আম্মুকে খুশি করার জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবো??


৫)আমি পরাশুনা নিয়ে খুব সিরিয়াস।সবসময় চেষ্টা করি পরাশুনায় ভালো করার জন্য।

একটু আগে মাজারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মাজারে শুয়ে থাকা মৃতের কাছে দুয়া করলাম যে,"আমার পরাশুনার অবস্থা ভালো করে দিন।"

আমি জানতাম যে এটা শিরক।তবে আমি আসলে নিশ্চিত না যে আমি দুয়া করছিলাম কি না।

আমার সামনে এখন দুইটা পথ আছে।


ক)  পরাশুনা ছেড়ে দেওয়া।তাহলে প্রমান হয়ে যায় যে পরাশুনার জন্য আমার এত আগ্রহ ছিল না যে আমি মৃতের কাছে দুয়া করব।

আমি পরাশুনা ছাড়তে রাজি।

কিন্তু এটা করলে আব্বু আম্মু আমার উপর অসন্তুষ্ট হবেন।


খ) শিরক করেছি মনে করে তাওবা করে নেওয়া।

আর পরাশুনা চালিয়ে যাওয়া।


কোনটা করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
না, এটা তখন শিরক হবে না।

(২)
কেউ যদি তার গার্লফ্রেন্ড কে বলে,"অন্য কারও সাথে তোমার যোগাযোগ হইলে আমার ভালো লাগে না।মনে হয় আমার পছন্দের খেলনা কেউ নিয়ে নিছে।আর কথা বলবা না অন্য কারও সাথে।"তাহলে এটা শিরক হবে না।

(৩)
"ফাতওয়া নেওয়া ছাড়া আমি এ বিপদ থেকে মুক্তি পাব না।"

এরকম কথা দ্বারা শিরক হবে না।

(৪)
আব্বু আম্মুকে খুশি করার নিমিত্তে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া শিরক হবে না।


(৫)
(ক)
মাজারে শুয়ে থাকা মৃতের কাছে দুয়া করলাম যে,"আমার পরাশুনার অবস্থা ভালো করে দিন।"

এরকম কথাবার্তা শিরক।সুতরাং এজন্য অবশ্যই তাওবাহ করতে হবে।


(খ)
পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন।

বিঃদ্রঃ
আপনি আসলে শিরকের অর্থই বুঝেননি।শিরক হল, যে ইবাদতে কোনো বান্দাকে শরীক করা।বা যে কাজ আল্লাহ ব্যতিত অন্য কেউ করতে পারে না, সেই কাজে অন্যকে শরীক করা।এগুলোই মূলত শিরক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...