আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
edited by
১)জিব্রাইলের এর নামের পর আলাইহিসসাল্লাম না বললে কি গুনাহ হবে??

২)কোন কাজ আসলে শিরক না।কিন্তু আমি শিরক বলেই জানি।কারও মন রক্ষার্থে এটা করাও কি শিরক হবে??

৩)শিরক কিনা জানি না।তবে শিরক হতে পারে বলে সন্দেহ হয়।

এমন কাজ কারও মন রক্ষার্থে করাও কি শিরক??

৪)যদি শিরক না করি তবে বাবা মা রাগ করবে,খুব দুঃখ পাবে,বাসা থেকে বের করে দিবে।

এমতাবস্থায় যদি তাদের খুশি করতে শিরক করাটাও শিরক সাব্যস্ত হবে??

এখানে কয়টা শিরক সাব্যস্ত হবে?

৫)ধরুন,কিছুদিন আগে আমি মনে করলাম যে চাকরি আমার রিজিকদাতা। কিন এরপর আমার মনে হলো, "না না না একদমই না। আল্লাহই এখন রিযিকদাতা। "

এরপর আমার মনে সন্দেহ হচ্ছিল যে আমি চাকরি কে রিযিকদাতা হিসেবে মনে করছি কি না। একবার ভাব্লাম চাকরি ছেড়ে দেই।

কিন্তু চাকরি কিন্তু চাকরি ছেড়ে দেওয়ার মতো তাওয়াক্কুল আমার ছিল না
আবার চাকরি ছেড়ে দিলে আব্বু আম্মু আমার উপর অসন্তুষ্ট হবেন।
তাই আমি নিজের মনকে বারবার বোঝালাম যে আল্লাহ একমাত্র রিযিকদাতা, চাকরি একটা উসিলা। এই আকিদা নিয়ে চাকরি করতে থাক্লাম।

এরপর মনে মাঝেমধ্যে সন্দেহ আসে যে চাকরি মনে হয় রিজিকদাতা। এরপর আমি মাথা থেকে এই চিন্তা দূর করার চেষ্টা করি এবং এসব কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলি।

এরপর এখন অন্য কোন বিষয়ে সন্দেহ হইলেও আমি সন্দেহের উপর আমল করে ফেলি।
যেমন ধরুন,নামাযের আগে সন্দেহ হইল যে হাতে নাপাক কিছু লেগে আছে কি না।তখন যদি আমি সন্দেহ দূর করার জন্য হাত ধুই, তখন আমার মনে হয় যে এখন সন্দেহ দূর করছি,কিন্তু চাকরির ব্যাপারে শিরকের সন্দেহ দূর করার জন্য চাকরি ছাড়তে পারি না কেন।


তাই আমি হাত ধুই না।সন্দেহের উপরই মন কে বুঝিয়ে আমল করি। এরকম টা আমি আরও কিছু আমলের ক্ষেত্রে ও করি।

আমার এ কাজ কি শিরক??

৬)ধরুন আমি একটা চাকরি করি।

আমার সন্দেহ হচ্ছে হয়তো কিছুদিন আগে আমি চাকরি কেই আমার রিজিক দাতা ভেবে শিরক করেছিলাম।কিন্তু আমি এখন শিওর না যে আমি চাকরি কে আমার রিযিকদাতা ভেবেছিলাম কি না।তবে ওরকম চিন্তা করিনি বলেই মনে হচ্ছে বেশি।

এখন আমি দুইটা উপায় পাচ্ছি।

ক) চাকরি ছেড়ে দেওয়া। তাহলে মন থেকেই সন্দেহ দূর হয়ে যায় যে আমি চাকরী কে রিযিকদাতা ভাবতাম না।

কিন্তু এটা করলে আমার আব্বু আম্মু আমার উপর অসন্তুষ্ট হবেন।

খ)আরেকটা উপায় হচ্ছে আমি আগে শিরক করেছিলাম এটা ধরে নিয়ে তওবা করে ফেলি এবং চাকরি চালিয়ে যাই।

আমি যদি দ্বিতীয় উপায় অবলম্বন করি অর্থাৎ স্বীকার করে ফেলি যে আগে এরকম ভাবে শিরক করছিলাম এবং তওবা করি সেটা কি চলবে??

1 Answer

0 votes
by (683,520 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/4447/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ 
শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 
যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি। 
,
কিছু বিষয় আছে এমন, যা তাওহীদ-পরিপন্থী তো নয়, তবে তা ‘তাওয়াক্কুলে’র সর্বোচ্চ স্তর থেকে নিম্নস্তরের। এ ধরনের বিষয়গুলোকে শিরক বলা স্পষ্ট ভুল।  তাওয়াক্কুলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরিপন্থী বিষয়কে তাওহীদের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে শিরক বানিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।
,
আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.

নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.

আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-
اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.

নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। -সূরা নিসা (৪) : ৪৮

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
না,এতে গুনাহ হবেনা।

(০২)
এতে শিরক হবেনা।

(০৩)
যদি কাজটি আসলেই শিরক হয়,তাহলেই কেবল শিরক হবে।
নতুবা নয়।

(০৪)
এখানে কোনোটাই শিরক বলে সাব্যস্ত হবেনা।

(০৫)
মনে মনে এসব ভাবার দ্বারা এতে কোনো শিরক হবেনা। আপনি এ সংক্রান্ত  টেনশন মুক্ত থাকুন।
তবে এহেন বিষয় ভাবার কারনে আল্লাহর কাছে মাফ চাইবেন। 

(০৬)
আপনি তওবা করে চাকুরী চালিয়ে যাবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...