আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
edited by
১)* কোন লোক তার গার্লফ্রেন্ড কে খুব ভালবাসে। কখনোই চায় না তাদের বিচ্ছেদ ঘটুক। কখনোই কষ্ট দিতে চায় না।

তাঁর মনে হলো যদি কখনো এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যে তার গার্লফ্রেন্ড কে ছেড়ে না দিলে শিরক হবে তখন সে কি করবে?
তার মনে হইল হয়তো সে তবুও তার গার্লফ্রেন্ড কে ছাড়তে পারবে না। কেননা তাতে তার গার্লফ্রেন্ড কষ্ট পাবে।

এরপর তাঁর মনে হইল আমি এসব কি ভাবতেছি?
যদি কখনও এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েই যায়,যে ওকে না ছাড়লে শিরক হবে,তবে আমি অবশ্যই ওকে ছেড়ে দিব। শিরক করব না ইংশাআল্লাহ।
কিন্তু তার বার বার মনে হচ্ছে হয়তো ছাড়তে পারব না।

এখন যদি সে তার গার্লফ্রেন্ড কে ছেড়ে না দেয় তবে কি শিরক হবে??কি
২)ধরুন,কেউ তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসে।অনেক গল্প করে।মাঝে মধ্যে স্ত্রীর আবদার পুরন করতে গিয়ে হারাম কাজ করে ফেলে।

এরপর সে একদিন ভালোবাসার ক্ষেত্রে শিরক হয় এটা জানতে পারে।

এখন তার সন্দেহ হয় যে,সে কি ভালবাসার ক্ষেত্রে শিরক করছে কি না??

তাই সে একবার ভাব্ল,সে স্ত্রী কে তালাক দিবে।পরে তার মনে হল যে তালাক দিলে তার স্ত্রী মনে খুব কষ্ট পাবে।

তাই,সে ভাবল,শিরক হলেও তালাক দিবে না সে।

এই ব্যাক্তি কি মুশরিক হিসেবে গন্য হবে???

৩)* কোন লোক তার স্ত্রী কে খুব ভালবাসে। কখনোই চায় না তাদের বিচ্ছেদ ঘটুক। কখনোই কষ্ট দিতে চায় না।

তাঁর মনে হলো যদি কখনো এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যে তার স্ত্রী  কে ছেড়ে না দিলে শিরক হবে তখন সে কি করবে?
তার মনে হইল হয়তো সে তবুও তার স্ত্রী কে ছাড়তে পারবে না। কেননা তাতে তার গার্লফ্রেন্ড কষ্ট পাবে।

এরপর তাঁর মনে হইল আমি এসব কি ভাবতেছি?
যদি কখনও এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েই যায়,যে ওকে না ছাড়লে শিরক হবে,তবে আমি অবশ্যই ওকে ছেড়ে দিব। শিরক করব না ইংশাআল্লাহ।
কিন্তু তার বার বার মনে হচ্ছে হয়তো ছাড়তে পারব না।

এখন যদি সে তার স্ত্রী  কে ছেড়ে না দেয় তবে কি শিরক হবে??

৪)কারও মন রক্ষার্থে শিরক করাও কি শিরক?

যে এমন করবে তার জন্য কি একটা শিরক সাব্যস্ত হবে নাকি দুইটা?


৫)কোন ব্যাক্তি কি নবি (সা) এর চেয়ে বেশি ভালো ভাবে কুরআন এর ব্যাখ্যা বুঝতে পারে??

1 Answer

0 votes
by (714,160 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার এমন প্রশ্ন যাতে না রয়েছে দুনিয়াবী কল্যাণ না আখেরাতের কল্যাণ। এমন প্রশ্ন সত্যিই বিব্রতকর।এমন প্রশ্নের কল্পনা থেকে আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুক।

হ্যা, যদি পরিস্থিতি পরিবেশ এমন হয় যে, হয়তো আল্লাহর সাথে শিরক করতে হবে? নতুবা স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে হবে, তাহলে এমতাবস্থায়ও শিরক করা যাবে না। বরং প্রয়োজনে স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,160 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...