আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
367 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

১।কোন মহিলাকে যদি তার স্বামি বলে চলে যেও যখন ইচ্ছা। বাধা দিব না। তোমাকে অধিকার দিয়েই দিয়েছি। এইভাবে বললে স্ত্রী কয় তা-*** অধিকার পায়?? এইভাবে যদি আরো ২/৩ বার কথা হয়ে থাকে তাহলে মহিলা কয় তা-*** মালিক হয়?

২।  কোন মহিলা যদি ওয়াসওয়াসার কারনে তা*** গ্রহনের মতো কোন শব্দ বিড়বিড় করে বলে ফেলে কিন্তু তার উদ্দেশ্য না থাকে তা*** গ্রহনের। তার কানে শব্দ এসেছিল কিনা সেটা নিয়েও যদি সে সন্দেহে পরে যায়। তাহলে হুকুম কি?? এই ধরনের ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তির অন্যমনস্ক হয়ে বলে ফেলা কথা বা উদ্দেশ্যহিন কথার জন্য কি তার উপর তা*** পতিত হবে?? যদি সে সাথে সাথেই মনে না করতে পারে বা বিষয় টি নিয়ে সন্দেহে পরে যায়। তাহলে সে কি ধরে নিবে তার তা** হয়েছে নাকি হয়নি?

৩। কোন স্ত্রী যদি তার নিজের উপর *** নেয় , অর্থাত স্পষ্ট শব্দে নিজেকে তা*** দেয় তাহলে  সেটা কি রজয়ী নাকি বায়ে*.??

৪। কাবিন নামার ১৮ নাম্বার কলামে যদি মহিলাকে তা** অধিকার দেওয়া হয়,, আর মহিলা যদি মুখে নিজেকে *** দেয়,, তাহলে কি পতিত হয় যদি সেসব শর্ত না পাওয়া যায়??

৫। মহিলা যদি পর পর দুইবার নিজের উপর *** প্রদান করে তাহলে কয় তা** হবে?? ৬ নং এর আলোকে

৬। মহিলার স্বামী কখনোই তাকে বলেনি নিজের উপর **** প্রদানের ক্ষমতার কথা,,, সে কেনায়া বাক্য বলে অনেক সময় অধিকার দিয়েছে। যেমনঃ ভালো না লাগলে চলে যেও, অধিকার দিয়ে দিসি তোমাকে,,ভালো না লাগলে সংসার কইরো না এই ধরনের কথা বলেছে কয়েকবার। আবার বলেছিল তা*** তুমি দিলেও হবে আমি দিলেও হবে,, তুমি ই পেপার সিগ্নেচার করে পাঠিয়ে দিও,,, পরে আমিও সিগ্নেচার করে দিব নে। এতে স্ত্রী কয় **** অধিকার পেয়েছে বা কোন ধরনের অধিকার পেয়েছে??

৭। হুজুর কোন মহিলা *** এর ওয়াসওয়াসায় থাকলে  সে কি ইস্তেখারার নামায পড়তে পারবে বা পড়লে সে জানতে পারবে তার তা** হয়েছে কিনা?? সে দ্বিধা দন্ধে আছে,,, সে উচ্চারণ করে শব্দ বলেছিল কিনা।  বা তার তা** হয়েছে কিনা। এই অবস্থায় মনকে শান্ত করার জন্য কি ইস্তেখারার নামায পরলে সমাধান পাওয়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
উক্ত কথা বলার সময়ে স্বামী যত তালাকের নিয়ত করবে, স্ত্রী তত তালাকেরই মালিক হবে। স্ত্রী তত তালাকের অধীকারী হবে।

(২)
এরকম ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তির তালাক পতিত হবে না। হ্যা, যদি ঐ ব্যক্তির নিশ্চিতরূপে তালাকের কথা স্বরণে থাকে, এবং ঐ ব্যক্তি স্বীকার করে, তবেই তালাক পতিত হবে।


(৩)
রেজয়ী হবে।

(৪)
যদি শর্ত না পাওয়া যায়, তাহলে স্ত্রী তালাকের মালিক হবে না।

(৫)
দুইবার বললে দুই হবে।

(৬)
এক্ষেত্রে স্বামীর নিয়ত দেখতে হবে।সে যেহেতু স্পষ্টকরে তালাকের সংখ্যা উল্লেখ করেনি। তাই স্ত্রী কয় তালাকের মালিক হবে, তা স্বামীই নির্ধারণ করবে।সুতরাং স্বামীর নিয়ত অনুযায়ী স্ত্রী তালাকের মালিক হবে।

(৭)
পড়লে পড়তেও পারেন।

তবে মুফতিকে জিজ্ঞেস করার পরও মনের মধ্যে ওয়াসওয়াসা থাকার অর্থ হল, শয়তান আপনার অন্তরে বাসা বেধে নিয়েছে।তাই শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বাচতে সর্বদা পবিত্র থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...