১. ঘুম কিভাবে আসে এটা বুঝাতে গিয়ে আমি বলেছি যে, "আমাদের সবকিছু ব্রেইন নিয়ন্ত্রণ করে"। তখন আমার মনে হলো আসলে আমাদের তো আল্লাহ তায়ালা নিয়ন্ত্রণ করে। - কিন্তু এটা আর উল্লেখ করেনি। - এতে কি আমার ঈমান চলে গেছে? আমার কি পাপ হয়েছে?
২. একজন অসুস্থ ব্যক্তি রোজা রাখায় আমার হয়তো শুনে এটা বিরক্ত লেগেছে। - এতে কি ঈমান ভেঙে গেছে?
৩. আমি কিছুদিন ধরে কথা বললে ভয় পেয়ে যায় যে আমার হয়তো ঈমান চলে গেছে। আমি কিভাবে বুঝবো ঈমান চলে যায়নি?
৪. আমি যদি হারাম কাজ করতে গিয়ে মনে মনে বিসমিল্লাহ চলে আসে তখন কি হবে? যেমনঃ ফেইসবুকে লগিন করার সময় ভয় লাগে যে বিসমিল্লাহ চলে আসলো কি না? বা আল্লাহর নাম চলে আসলো কি না? কারণ, ফেইসবুকে তো হারাম কাজও করে থাকি। তখন আমি লগআউট করে আবার লগিন করি। আমাকে একটু পরামর্শ দিন। এভাবে লগিন - লগআউট করা কি ঠিক?
৪.১ঃ আমি চেষ্টায় থাকি যেন ফেইসবুকে লগিন করার সময় বিসমিল্লাহ চলে না আসে। এরপর ফেইসবুকে একটি ইসলামিক ফতোয়া দেখলাম। দেখে আলহামদুলিল্লাহ বলেছি। কিংবা আমি যদি কোন কারণ ছাড়াই আলহামদুলিল্লাহ বলি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?
৪.২ঃ ফেইসবুকে খারাপ কাজ করে থাকি তাই যদি বিসমিল্লাহ/আলহামদুলিল্লাহ যদি বলে লগিন করে ফেলি তাহলে আমি আবার কি আবার লগআউট করে ঈমান এনে ফেইসবুকে ঢুকা উচিত?
৪.৩ঃ। আমি যদি বিসমিল্লাহ বলে লগিন করে থাকি তাহলে সেই লগিন থাকা অবস্থায় যতবার খারাপ কাজ করবো ততবারই কি কাফের হয়ে যাবো?
৪.৪ঃ কিবোর্ড ইন্সটল দেওয়ার সময় মাঝে মাঝে মনে মনে চলে আছে যে এই কিবোর্ড দিয়ে যতবার পাপ করবো ততবার ঈমান চলে যাবে। তখন কিবোর্ড কেটে আবার ইন্সটল করি। এই গুলা কি ঠিক নাকি বাড়াবাড়ি? এমন কি বিধান আছে যে পাপ করলেই ঈমান চলে যাবে? - এমন নিয়ত কি আসলেই সম্ভব?
৪.৫ঃঃ মোবাইলের কিবোর্ড দিয়ে তো নানা ধরনের পাপ কাজে লিপ্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ইন্সটল দেওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বা আল্লাহর নাম মনে মনে চলে আসে। অনেক বাধা দেই যেন না আসে। তবুও চলে আসে। এরপর কিবোর্ড কেটে আবার ইন্সটল দেই। এভাবে চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। শেষ বার ইন্সটল দেওয়ার সময় আল্লাহ তা'আলা আমাদের মনের ওয়াসওয়াসা ক্ষমা করে দিয়েছেন - এটা এসেছে। আমি কি সতর্কতাহিসেবে ঈমান নবায়ন করে নিবো? এই কারণে ঈমান নবায়ন করলে কি এই কিবোর্ড সফটওয়্যার দিয়ে পাপ কাজ করলে অর্থাৎ মেয়েদের সাথে চ্যাট করলে আবার ঈমান চলে যাবে?
৫. ঈমান সংক্রান্ত প্রচুর প্রশ্ন আসে। আমি নিজেকে আটকাতে পারছি না। এত প্রশ্ন আমি কোথায় করবো কার কাছে করবো? প্রশ্ন না করলে আমি কিভাবে বুঝবো আমার ঈমান চলে গেছে কি না?
৬. আমি সবসময় ভয়ে থাকি যে হয়তো এই কথার মাধ্যমে ঈমান চলে গেছে। এরপর আবার কালিমা শাহাদাত পড়ি। এই ভয় আমাকে মানষিক অসুস্থ করে দিচ্ছে।
৭. ঈমান কি করলে চলে যায় কিভাবে বুঝবো?
আমি অনেকদিন আগে কোরআন এর একটি আয়াত হয়তো আমার এক বন্ধুর কাছে নিজের মন মত ব্যাখ্যা করেছিলাম। মানে নিজের ধারণার উপর। এতে কি আমার ঈমান চলে গেছে? ঐ বন্ধুকে এখন সঠিক ব্যাখ্যা কিভাবে উপস্থাপন করবো? এমনও হতে পারে আমার ব্যাখ্যা সঠিক। কিন্ত আমি তখন তাকে মিথ্যা বলেছিলাম যে এটা আমি অন্য জনের কাছ থেকে শুনেছি। এখন এটার সমাধান কিভাবে করবো? আমি যে মিথ্যা বলেছি এটা কি তাকে বলে দিবো? তাকে কিছু না বলে কালিমা পড়লে কি ঈমান আসবে না? এটা হুজুর একটু বুঝিয়ে বলুন কিভাবেে সমাধান করতে পারি।
৮. হুজুর, আমি আগামীকাল মানষিক রুগের ডাক্তার দেখাবো। এখন আমাকে একটু পরামর্শ দিন। আমি অনেক কষ্টে আছি হুজুর। আমি বিভিন্ন জায়গায় পড়েছি যে, ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা না দিতে। কিন্তু হুজুর ঈমানের মত একটি বিষয় নিয়ে কিভাবে পাত্তা না দিয়ে থাকবো হুজুর? আমার যদি সত্যি সত্যি ঈমান গিয়ে থাকে?
৯. আমি এক জনের কাছে টাকা ধার করার নিয়ত করছিলাম।এবং নিয়ত করেছিলাম যে টাকা ৭২ ঘন্টার মধ্যে দিয়ে দিবো। আমি আমি ভাবতে লাগলাম যে ৭২ ঘন্টার মধ্যে না দিলে কি হবে? তখনই শর্তযুক্ত তালাকের চিন্তা মাথায় চলে এল। এখন এটা উচ্চারণ করে ফেলেছি কি না বুঝতে পারছি না। কয়েক মিনিট আগের চিন্তা। তবুও মনে করতে পারছি না। এখন টাকা নেওয়ার পর ৭২ ঘন্টা পর না দিলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?
আমার এখন অনেক কিছুই মনে থাকে না। এখন আমি যদি সত্যি সত্যি শর্তযুক্ত তালাক দিয়ে থাকি তখন কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন? নাকি ৭২ ঘন্টার মধ্যেই টাকা পরিশোধ করতে হবে?