আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
259 views
in পবিত্রতা (Purity) by (0 points)
হাদিস থেকে যে বর্ণনা পাওয়া যায় সে অনুযায়ী ফরজ গোসলের জন্য প্রথমে লজ্জাস্থান ধুয়ে তারপর ওযু করে(পা ব্যাতীত) সমস্ত শরীর পানি দিয়ে ধুয়ে শেষে পা ধুতে হয়।কিন্তু আমাদের বেশীরভাগ বাসাতেই টয়লেট ও গোসলখানা একসাথে থাকে।তাই ওখানে ওযু করার সময় 'বিসমিল্লাহ' বলে সম্ভব হয় না।তো এই পরিস্থিতিতে যদি আমি বাইরে থেকে প্রথমে ওযু করে তারপর ভিতরে গিয়ে লজ্জাস্থান ধুয়ে গোসল সম্পন্ন করি তাহলে গোসল সঠিক হবে?মানে ওযু করার পর লজ্জাস্থান পরিস্কার করলে গোসল হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
মুসলমানদের জন্য উচিৎ সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে এটাস বাথরুম তৈরীর দিকে না যাওয়া।প্রয়োজনে বাথরুম এবং ওজু খানার মধ্যে গ্লাস বা কোনো কিছু দ্বারা পৃথকতা সৃষ্টি করা প্রতিটি মুসলমানের উচিৎ।যাতেকরে সুন্নাত মুস্তাহাব আদায় পূর্বক ওজুকে সমাপ্ত করার সুযোগ বাকী থাকে।কেননা বাথরুমে ওজু করলে দু'আ পড়া যায় না।এমনকি বিনা প্রয়োজনে কাশি দেওয়াও মাকরুহ হয়।(ফাতাওয়ায়ে উসমানি-১/১১৪) এসম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- 1731


ধারাবাহিক তারতীব এটাই যে,প্রথমে আপনি নিজের লজ্জাস্থানকে পরিস্কার করবেন,তারপর ওজু করে গোসলকে সমাপ্ত করবেন।সুতরাং বক্ষমান পরিস্থিতিতে আপনি প্রথমে বাথরুমের ভিতরে থেকে লজ্জাস্থানকে ধুয়ে নিবেন।তারপর বাথরুম থেকে বের হয়ে ওজু সমাপ্ত করে,আবার বাথরুমে গিয়ে গোসলকে সমাপ্ত করবেন।

আপনি প্রশ্নে যে সূরত বা পদ্ধতিকে বর্ণনা করেছেন,সেটাও আপনি করতে পারেন।কেননা এগুলো সুন্নত বা মুস্তাহাব।সুতরাং আপনার গোসলে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 211 views
0 votes
1 answer 778 views
...