আবু আব্দুর রহমান সুলামী বলেন,
عن على قال دعى القراء فى رمضان فامر منهم رجلا يصلى بالناس عشرين ركعة قالوكان على يوتر بهم
আলী রাযি. রমযান মাসে কারীদের ডাকতেন। তারপর তাদের মাঝে একজনকে বিশ রাকাত তারাবী পড়াতে হুকুম দিতেন। আর বিতিরের জামাত আলী রাযি. নিজেই পড়াতেন। (বায়হাকী-৪/৪৯৬)
তারাবীহ এর সালাত প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের উপর সুন্নাতে মুআক্কাদা। এবং জামাতের সাথে আদায় করা সুন্নাতে মুআক্কাদা আ'লাল কিফায়া।
ফেকহে হানাফির নির্ভর্যোগ্য প্রসিদ্ধ গ্রন্থ "ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে" বর্ণিত আছে,
وَنَفْسُ التَّرَاوِيحِ سُنَّةٌ عَلَى الْأَعْيَانِ عِنْدَنَا كَمَا رَوَى الْحَسَنُ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى - وَقِيلَ: تُسْتَحَبُّ وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَالْجَمَاعَةُ فِيهَا سُنَّةٌ عَلَى الْكِفَايَةِ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ وَهُوَ الصَّحِيحُ، كَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ.
তারাবীহ সুন্নাতে মুআক্কাদা আলাল আইন।যেমন ইমাম আবু-হানিফা থেকে হাসানের রেওয়াতে বর্ণিত আছে।কেউ কেউ অবশ্য মুস্তাহাব ও বলেছেন।তবে প্রথম অভিমতটাই অধিক গ্রহণযোগ্য।এবং জামাতের সাথে তারাবীহের সালাত আদায় করা সুন্নাতে মুআক্কাদা আলাল কিফায়া। এভাবেই "তাবয়ীনুল হাক্বাইক্ব" নামক কিতাবে বর্ণিত আছে। এবং "মুহিতে সারাখসীতে" বর্ণিত আছে।(ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া,১/১১৬)
অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে,
وَلَوْ تَرَكَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ كُلُّهُمْ الْجَمَاعَةَ فَقَدْ أَسَاءُوا وَأَثِمُوا، كَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ.
যদি কোনো মসজিদের অধিবাসী সবাই জামাতকে ছেড়ে দেয়,তাহলে তারা গুনাহগার হবে,এভাবেই মুহিতে সারাখসীতে বর্ণিত আছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তারাবিহ এর নামায সুন্নতে মু'আক্কাদা।সবাইকে পড়তে হবে।বিনা প্রয়োজনে তরক করলে গোনাহ হবে। মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করা সুন্নতে মু'আক্কাদা আলাল কেফায়া। কিছু সংখ্যক মসজিদে আদায় করে নিলেই, সবার পক্ষ্য থেকে আদায় হয়ে যাবে। অন্যথায় সবাই গোনাহগার হবে।