আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
আমার গত মাসের ৫ তারিখ ৩ মাসের বেবি মিসক্যারেজ হয়ে যায়।৫ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত থেমে থেমে হালকা করে ব্লিডিং হয়।তবে আমি ১০ দিনের হিসেব করে ১৫ তারিখ থেকেই নামাজ আদায় করেছিলাম।এরপর সুস্থ হলে আমি একদিন একটা পিল খেয়েছিলাম।এরপর গ্যাপ দেওয়ায় গত ৩১ তারিখ আমার আবার ব্লিডিং হয়।এটাকে আমি হায়েজ ভেবে গত ৩ দিন নামাজ আদায় করেনি।তবে আমার প্রথম ২ দিন ই ব্লিডিং হইছে।এখন গতকাল হালকা খয়েরি রঙের স্রাব হয়েছে।আর সারাদিন কিছুই হয়নি বলে আমি আজ রোজা রেখেছি।একটু আগে দেখলাম হালকা স্রাব হইছে তাও হালকা কালো।তো আমার এটা কি ইস্তেহাজা নাকি হায়েজ ধরবো।আমি কি নামাজ আদায় করবো, রোজা রাখবো?
নাকি হায়েজ ধরে আরো ২ দিন অপেক্ষা করবো।নরমালি আমার হায়েজ ৫ দিন বা ৬ দিন থাকে।সেক্ষেত্রে আজ আমার ৪ দিন চলছে।

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম   


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোনিম্ন সময়সীমা ৩ দিন।

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার হায়েজ ৩১ তারিখে শুরু হয়েছিলো।
এরপর ১ তারিখে হায়েজ এসেছিলো। 
২ তারিখে হালকা খয়েরি রঙের স্রাব হয়েছে।আর সারাদিন কিছুই হয়নি।
আর আজ তথা ৩ তারিখে আগে দেখেছেন হালকা স্রাব হইছে তাও হালকা কালো।

সুতরাং এ সবগুলি দিনই হায়েজের অন্তর্ভুক্ত হবে।

আপনি নামাজ রোযা আদায় করবেননা।
হায়েজ পুরোপুরি  বন্ধ হয়ে গেলে তখন আপনি নামাজ রোযা আদায় করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...