আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
346 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
retagged by
আসসালামু আলাইকুম
আমি যে হোস্টেলে থাকি সেখানে হোস্টেলে উঠার সময় একটা লিফলেট আমাদের দিয়েছিলো সেখানে বেশ কিছু নিয়ম আর রুম ভাড়া বিষয়ে লেখা ছিল।তার মধ্যে একটি নিয়ম ছিলো ওয়াটার হিটার ব্যবহার করা যাবে নাহ।

তারপর আমি প্রায় ৩ মাস পর হোস্টেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে ওয়াটার হিটার ব্যবহারের অনুমতির কথা বললে তিনি বলে যে তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলবেন।
পরে তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন যে সে তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তিনি তার সাথে কথা বলতে পারেন নি।আর তিনি আমাকে বলেন যে, "তুমি মাঝে মাঝে ব্যবহার করো আর ধরা পড়লে কাউকে আমার কথা বইলো নাহ। আর ধরা পরলে আমি তোমাকে এইটা ব্যবহার করতে নিষেধ করে দিবো"।

--->আমার প্রশ্ন হলো মুসলমানরা শর্তের উপরে থাকে এটা কোন কোন ধরনের শর্ত?যেমন এখানে আমার উঠার সময়ই আমার কাছ থেকে এই শর্ত পালনের অঙ্গীকার আদায়ের প্রয়োজন ছিলো।
আমার কথা হলো তারা যদি সঠিকভাবে ইসলামি নিয়মানুসারে সঠিকভাবে আমার উপর আইন বর্তাতে না পারে তাহলে কেনো আমি এই নিয়ম মানতে যাবো?(আমার এই প্রশ্নটা জীবনের যেকোনো বিষয়ে হওয়া সমস্যা জন্য।)
--->আর উল্লেখিত ব্যাক্তি আমাকে যেই ভাবে অনুমতি দিয়েছেন তাতে কি আমার জন্য ওয়াটার হিটার ব্যবহারের অনুমতি আছে?
closed

1 Answer

0 votes
by (573,630 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রশ্নে উল্লেখিত হোস্টেলের নিয়মাবলীতে যেহেতু লেখা আছে যে ওয়াটার হিটার ব্যবহার করা যাবেনা,আর আপনি নিয়ম পড়েই সেই হোস্টেলে উঠেছেন,তাই কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া উক্ত হোস্টেলে থাকা অবস্থায় ওয়াটার হিটার ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।
,
হ্যাঁ যদি কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়,তাহলে এটি ব্যবহার করা যাবে।

উল্লেখ্য,  হোস্টেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে ওয়াটার হিটার ব্যবহারের অনুমতির কথা বললে তিনি আপনাকে বলেছেন যে,
"তুমি মাঝে মাঝে ব্যবহার করো আর ধরা পড়লে কাউকে আমার কথা বইলো নাহ"।

সুতরাং তার এহেন কথার ভিত্তিতে উক্ত হোস্টেলে ওয়াটার হিটার ব্যবহার বৈধ হবেনা।

এটি কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেয়ার শামিল।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
আপনি যেকোনো শর্ত মানার উপর ওয়াদাবদ্ধ হলে শরীয়াহ কোনো ফরজ ওয়াজিব জাতীয় কাজের খেলাফ না হলে সেই  শর্ত মেনে চলা আপনার জন্য আবশ্যক। 
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত হোস্টেলের নিয়ম যেহেতু শরীয়াহ খেলাফ নয়,তাই উক্ত শর্ত মানতে হবে।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 162 views
...